ফাতিমা জান্নাত বলছি। আমার ৩১তম প্রশ্ন।❓❓❓
ক) ইসলাম ধর্মে একজন স্ত্রী এবং দাসীর মধ্যে পার্থক্য?
খ) একজন দাসীর জীবন কি কোন সুস্হ, স্বাভাবিক এবং মানবিক জীবন?
ইসলাম ধর্মে একজন পুরুষ দুধরনের নারীর সাথে হালালভাবে যৌনসম্পর্ক করতে পারবে।
1. বিবাহিত স্ত্রী
2. মালিকানাধীন দাস
এবং এই নিয়মটি স্বয়ং আল্লাহ পবিত্র কোরানে বহু সূরায় বলেছেন। একজন মুসলিম পুরুষ সামর্থ্য এবং পরিস্হিতি হলে স্ত্রীর পাশাপাশি দাসীদের সাথে যৌনসম্পর্ক করতে পারবেন।
দাসী রাখার প্রথাটা আজকের পৃথিবীতে নেই কিন্তু কালকের পৃথিবীতে যুদ্ধবিগ্রহের পর যদি এই প্রথা আবার শুরু হয় ইসলামিক নিয়মে ওটা শতভাগ বৈধ। এবং একজন পুরুষের জন্য স্ত্রী যেমন চারজন পর্যন্ত নির্ধারিত দাসীর কিন্তু কোন লিমিট নেই। শত, হাজারও হতে পারে।
যাইহোক দাসী আর স্ত্রীর মধ্যে ঠিক কি কি মিল আছে তা নিয়ে এক মুসলিম ভাইয়ের তৈরি করা একটা চার্টের লিখাগুলো নীচে দিলাম। উনি দাসীকে আবার সন্মানসূচক ‘উপপত্নি’ নামক অস্থির, অপরুপ, অসাধারন উপাধি দিয়েছেন। 👏
১- স্ত্রী স্বামীর সাথে চুক্তির মাধ্যমে বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হয় যা বৈধ ও সামাজিকভাবে স্বীকৃত একটি বন্ধন।
উপপত্নী মুনিবের সাথে অলিখিত, সামাজিকভাবে স্বীকৃত একটি বৈধ জৈবিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
২- স্বামী ব্যতিত অন্য কেউ স্ত্রীর সাথে যৌন সম্পর্ক করতে পারবেনা।
মুনিব ব্যতিত অন্য কেউ উপপত্নীর সাথে যৌন সম্পর্ক করতে পারবেনা।
৩-স্বামীর সন্তানদের জন্য তার স্ত্রী হারাম।
মুনিবের সন্তানদের জন্য তার উপপত্নি হারাম।
৪- স্ত্রীর সন্তান স্বাধীন এবং বৈধ।
উপপত্নীর সন্তান স্বাধীন এবং বৈধ।
৫- স্ত্রী সন্তান স্বামীর সম্পদের উত্তারাধিকারী।
উপপত্নির সন্তান মুনিবের সম্পদের উত্তারাধিকারী।
এবার আমি একজন স্ত্রী আর দাসী/ উপপত্নির মধ্যে কি কি পার্থক্য দেখতে পেয়েছি তা নিয়ে একটু বলি।
🍃একজন নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার পর সে যদি রাজী হয়ে বিয়েতে কবুল বলে তবে তাকে স্ত্রী বলা হয়।
🍂 যখন যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পরাজিত দলের নারীদের ধরে এনে জয়ী দলের পুরুষ যোদ্ধাদের মাঝে বন্টন করে দেওয়া হয় তখন তাদের দাসী বলে। দাসীদের জন্য রাজী হওয়া, সম্মতি দেওয়া, কবুল বলা এরকম কোন অপশন ই থাকেনা।
🍃 স্ত্রীর জীবন সঙ্গীকে স্বামী/ বর/ হাজব্যান্ড বলে।
🍂 দাসীর সঙ্গীকে মুনিব বলে। মুনিব মানে মালিক। জী জ্বলজ্যান্ত একজন নারীর মালিক!
🍃 একজন স্ত্রীর সাথে যৌনসম্পর্ক কিংবা আজল করার সময় তার অনুমতি লাগে।
🍂 একজন দাসীর সাথে যৌনসম্পর্ক এবং আজল করতে কোন অনুমতির দরকার হয়না। এবং কারো অনুমতি ব্যতীত যৌনসম্পর্ক করাকে আমরা ধর্ষন বলি।
🍃 একজন স্ত্রীকে বিয়ের সময় দেনমোহর দিতে হয় যেটা পরবর্তীতে তার কাছে গচ্ছিত সম্পদ হিসেবে থাকে।
🍂 একজন দাসীকে কোন দেনমোহর দেওয়া হয়না।
🍃 একজন স্ত্রীকে তার মাহরাম পুরুষ ব্যতীত সবার সামনে পর্দা করতে হবে।
🍂 একজন দাসীকে স্বাধীন নারীর মতো পর্দা করতে হবেনা। কোন পুরুষের সামনেই না।
🍃 একজন স্বামী চাইলে তার স্ত্রীকে কখনো হস্তান্তর করতে পারবেনা।
🍂 একজন মুনিব চাইলে তার দাসীকে অন্য মুনিবের( ওয়ালী) কাছে হস্তান্তর করতে পারবে।
🍃 স্ত্রী তার স্বামীর সম্পদের একটা অংশের উত্তরাধিকারী হয়। এবং তাদের সন্তানরা আলাদা অংশের উত্তারাধিকারী হয়।
🍂 দাসী কখনোই তার মনিবের সম্পদের কোন অংশ পাবেনা। যদি মনিবের সন্তান তার গর্ভে আসে তবে ঐ সন্তান উত্তারাধিকারী হবে কিন্তু দাসী কোন অবস্হায় কিছু পাবেনা।
🍃 শারিরীক এবং মানসিকভাবে সন্তুষ্ট না থাকলে একজন স্ত্রী তার স্বামীকে তালাক দেওয়ার নিয়ম আছে। স্বামী তালাক না চাইলেও।
🍂 শারিরীক এবং মানসিকভাবে সন্তুষ্ট না থাকলেও একজন দাসী কোন অবস্হায় তার মুনিবকে ত্যাগ করতে পারবে না। ত্যাগের অধিকারটা শুধুই মুনিবের। মুনিব ড্রাগসখোর হোক, জুয়ারী হোক, চরিত্রহীন কিংবা ধ্বজভঙ্গ হোক তাকে দাসী কখনোই ছেড়ে যেতে পারবেনা।
🍃 কোন নারীর স্বামী জীবিত থাকা অবস্হায় তাকে অন্য কোন পুরুষ বিয়ে এবং যৌনসম্পর্ক করতে পারবে না। সেই স্বামী তার কাছে থাকুক কিংবা অনেক দূরে।
🍂 একজন যুদ্ধবন্দীনি দাসীর স্বামী যদি জীবিত থাকে কিন্তু নিজে যুদ্ধবন্দী না হয় তাহলে ইসলাম অনুসারে তাদের বিয়ে বাতিল বলে গন্য করা হবে। এবং বন্টনের পর ঐ নারীর সাথে তার মুনিব বৈধভাবে যৌনসম্পর্ক করতে পারবে। জী স্বামী জীবিত থাকা সত্ত্বেও মুনিব তার সাথে সহবাস করতে পারবে।
🍃 একজন স্ত্রীর সন্তান থাকুক কিংবা না থাকুক স্বামীর মৃত্যুর পর সে স্বামীর সম্পদের একটা অংশ পাবে যা দিয়ে সে জীবন কাটাতে পারবে।
🍂 একজন দাসীর গর্ভে মুনিবের সন্তান হোক কিংবা নাহোক সে কখনোই মুনিবের সম্পত্তির ভাগ পাবেনা। তাই মুনিবের মৃত্যুর সময় দাসীর সন্তান না থাকলে সে বাকীটা জীবন কি করে চলবে মুসলিম ভাইদের কাছে জানতে চাই❓❓❓
🍃 একজন স্ত্রী মুক্ত নারী।
🍂 একজন দাসী তখনই মুক্ত হতে পারবে যখন সে মুনিবের সন্তানের মা হবে। আর সন্তান না হলে আমৃত্যু একজন বন্দী দাসী।
🍃 ‘স্ত্রীকে’ যৌনকর্মের জন্য অন্য পুরুষের কাছে উপহার পাঠানো যায়না কিংবা কারো ‘স্ত্রীকে’ উপহার হিসেবে নেওয়া যায়না।
🍂 জী ‘দাসীকে’ যৌনকর্মের জন্য অন্য মুনিবের কাছে উপহার পাঠানো যায় এবং কারো ‘দাসীকে’ উপহার হিসেবে নেওয়া যায়।🤷🏻♀️
বাকীটা আপনাদের বিবেকের উপর ছেড়ে দিলাম। আপনারাই ভাবুন ইসলামে একজন দাসী এবং তার সুস্হ এবং মানবিক জীবন নিয়ে।
এই জীবনটা যদি আপনার জন্মদাত্রী মা কিংবা আপনার নিজের কন্যার হয় কেমন লাগবে।
আপনার এখানে অনেক তথ্য ভুল আছে, সময় না থাকার কারণে বিস্তারিত লিখতে পারলাম না,
ReplyDeletelink: https://omukderkotha1.blogspot.com/2021/05/blog-post_25.html
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................