হিন্দু ধর্ম
বিশ্বের অধিকাংশ দেশ নিজেদের পুরাতন ধর্মীয় মতবাদের অন্ত:সারশূন্যতা ও রাজনৈতিক দর্শনের ব্যার্থতা অনুভব করতে পেরেছে । সনাতনী সত্যতা ও সংস্কৃতির পবিত্র আলোকধারা স্পর্শ করছে তাদের মনের মনীকোঠায় । সেই পবিত্র আলোকধারার স্পর্ষ পেয়ে স্পেনের রানী , রাজা কার্লোসের স্ত্রী , গ্রীসের রাজা কনস্টানটাইনের বোন রানী সোফিয়া দীক্ষা নিলেন কাঞ্চি কামকোটির শঙ্করাচার্যের কাছে । সনাতনী ভাবজগতে রানী সোফিয়া এখন গভীর ভাবে মগ্ন । তাঁর ব্যাক্তিগত প্রচেষ্টায় ইউরোপের বাজারে গোহত্যা প্রায় নিষিদ্ধ হবার পথে । আবার নেদারল্যান্ডসের রাজমাতা জুলিয়ানো দীক্ষা হিন্দু ধর্মের , ব্রিটেনের যুবরাজ চার্লস এখন হিন্দু ধর্মের প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধাশীল । ইউরোপের বহু রাজপরিবার এবং ব্যারন ও স্যাক্সনদের মত সম্ভ্রান্ত মানুষজন ব্যাক্তি জীবনে সুখ , শান্তির জন্য ভারতীয় সাধু সন্ন্যাসীদের কাছে নতজানু হচ্ছেন । প্রতিদিন হাজার সাধুসন্ত ভরতবর্ষ থেকে উড়ে যাচ্ছেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন শহরে । বর্তমানে লন্ডনের তিন লক্ষ স্কুল ছাত্রদের আবশ্যিক পঠ্যসূচী হল রামায়ন ও মহাভারত । সনাতনীদের জীবনধারা , তাদের মূল্যবোধ , পারিবারিক ও সমাজিক আচরণের চুল চেরা বিশ্লেষণ চলছে সমাজকর্মী থেকে শুরুকরে বিজ্ঞানীদের মধ্যে । শাড়ির প্রতি আগ্রহ বাড়ছে ব্রিটেনের মা ও বোনদের মধ্যে । লন্ডনে ইলিয়া নামক একটি শিক্ষা সংগঠন হিন্দুধর্ম শিক্ষার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ১৯৮৪ সাল থেকে । ইউরোপের যুক্তিবাদী মানুষের কাছে হিন্দু ধর্মকে পৌছে দেবার বিষয়ে কোয়ান্টাম পদার্থবিদ ওৎওয়েভ মেকানিকসের আবিস্কর্তা আরউইন স্ক্রুডিনজারের ভূমিকা হল অনবদ্য । খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষ হয়েও তিনি তিনিই প্রথম দেখিয়েছেন যে বেদান্ত সম্পূর্ণ বিজ্ঞানসম্মত । ১৯৮৫ সালে আমেরিকায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় সেই সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রেগন বার্তা পাঠিয়ে বলেছিলেন :-- বৈচিত্র্যই হচ্ছে মার্কিন জীবনধারা আর আমাদের জাতির শক্তির ভিত্তিও সেটা । হিন্দুধর্মের প্রচারে আপনাদের এই প্রয়াস সেই বৈচিত্র্যকেই পুষ্ট করছে । আমাদের জাতির অব্যাহত অগ্রগতিতে আপনাদের এই প্রয়াস সেই বৈচিত্র্যকেই পুষ্ট করছে । আপনাদের এই কর্মপ্রয়াস মার্কিনযুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে আশির্বাদ । জয় হিন্দু রাষ্ট্র ।। ভারতমাতার জয় হোক ।।(সংগৃহিত)
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................