বাংলা সাহিত্যের শত শত লেখায় পাঁঠা বলির বিরুদ্ধে লেখকরা শক্ত অবস্থান নিয়েছেন। কুরবানীর বিরুদ্ধে আহমদ ছফার আন্ডাবাচ্চাদের লেখা নেই কেন?

Stay Conneted

ভারতের একটি রাজ্য কুরবানী বন্ধ করতে আদালতে যাওয়ার কথা শোনা গেছে। 

এই কাজটি কেন হিন্দুত্ববাদীদের করতে হলো? ভারতের পশুপ্রেমি মানবতাবাদীরা এ বিষয়ে চুপচাপ কেন? 

নেপালের গাধিমাই মন্দিরে বলি বন্ধ করতে ভারতীয় উক্ত সংগঠনগুলো বহু বছর আন্দোলন করেছে। ভারত থেকে পশু যেতে নেপালের মন্দিরে। ভারতের সংগঠন ও নেপালের সংগঠনগুলোর আন্দোলনের ফলে গাধিমাই মন্দিরে বন্ধ হয়েছে বলি। গণমাধ্যম নেপালের এই উৎসবকে বলত "বিশ্বের সবচেয়ে বড় রক্তাক্ত উৎসব"। এরাই কুরবানীর সময় কোটি কোটি পশু জবাইয়ের সময় লেখে "আজ মুসলিমদের আত্মত্যাগের দিন"! এই দিন নাকি মনের পশুকে জবাই করতে নিরহ গরু ছাগলের রক্ত ঝরানো হয়!

বাজার থেকে মাংস কিনে খাওয়া আর ঈশ্বর আল্লার নাম করে একদিনে কোটি কোটি পশু বধের মধ্যে যে পাশবিকতা,  যে পৈশাচিক আমোদ উৎসবে মানুষ জড়ায় তার সঙ্গে এক করে দেখাটা লজিক্যাল ফ্যালাসি। ধার্মীকদের এসব বুঝানো কঠিন। কিন্তু যারা গাধিমাই মন্দিরে বলি বন্ধ করতে আন্দোলন করেছিলেন তারা কুরবানীর পশু বলির বিষয়ে চুপ কেন?  এমন কি পাশ্চাত্যের পশুবধ আন্দোলন কখনো কুরবানীর সময় ক্যাম্পেইন করে না কেন? মুসলিমফোবিয়ার ভয়ে?

বাংলা সাহিত্যের শত শত লেখায় পাঁঠা বলির বিরুদ্ধে লেখকরা শক্ত অবস্থান নিয়েছেন। কুরবানীর বিরুদ্ধে আহমদ ছফার আন্ডাবাচ্চাদের লেখা নেই কেন? নজরুল লিখেছিলেন ওরে আজ পশুবধের দিন নয় আজ আত্মত্যাগের দিন!

মুসলমানের কুসংস্কার বর্বর উৎসবের বিরুদ্ধে না দাঁড়িয়ে বরং তাদের হয়ে ডিফেন্স করার কারণেই মুসলিম সমাজে কোন সংস্কার আসেনি। শিক্ষিত মুসলমানরাও তাই গরুর রক্ত নিয়ে সেলফি তুলে ফেইসবুকে পোস্ট করতে লজ্জ্বা পায় না!

Post a Comment

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................