ত্যানা প্যাঁচায়া লাভ নাই, পয়েন্টে আসেন

ত্যানা প্যাঁচায়া লাভ নাই, পয়েন্টে আসেন :
 ---------------------------------------------
 সেকুলাঙ্গার একটিভিস্ট, কলমচিরা অনবরত ভাঙা রেকর্ড বাজিয়ে যায় : ভারতবর্ষে  ইসলামী মৌলবাদের একমাত্র কারণ হলো হিন্দুত্ববাদীদের কাজকর্মের  প্রতিক্রিয়া। এইসব তথাকথিত মানবতাবাদী, সেকুলাঙ্গারদের প্রশ্ন করতে ইচ্ছে  জাগে, তাহলে এই যে চিনে মুসলিম মৌলবাদ মাথা চাড়া দিচ্ছে, সেটা কি  কমিউনিষ্ট মৌলবাদীদের কাজকর্মের প্রতিক্রিয়াতে ? অবস্থা আজ এমন পর্যায়ে  গেছে যে, চীন সরকারকে মুসলমানদের নামাজ, কালাম, কোরানের উপরেও  নিষেধাজ্ঞা জারী করতে হয়েছে।


 একদা এই বাংলার মাকু পার্টি 'ছিঃ পি এমে'র  মইনুল হাসানকে ‘অধার্মিক’ বলে নির্বাচনে হারিয়ে দিয়েছিলো এই বাংলার  মুসলমানেরা। মইনুল হাসানের অপরাধ ছিল, সে 'মুসলিম সমাজ কয়েকটি প্রাসঙ্গিক  কথা’ বইয়ে শরিয়াতি আইন পরিবর্তনের কথা বলেছিলো ইরাক, ইরাণ প্রভৃতি মুসলমান  দেশের উদাহরণ টেনে এনে। মেদিনীপুর জেলায় সি.পি.এম এবং তৃণমূল কংগ্রেস যতই  মারামারি, লাঠালাঠি করুক না কেন, তসলিমাকে মেদিনীপুরে যেতে বাধা দেবার  ব্যাপারে কিন্তু দুপক্ষই এক বিন্দুতে, তাদের মুসলমান এবং সেকুলাঙ্গার  কর্মী-সমর্থকদের সমর্থনে। আশা করি, আপনাদের নতুন করে আর সলমন রুশদি, তসলিমা  নাসরিনদের পরিণতির কথা মনে করিয়ে দিতে হবেনা ? এই ইসলামী ইতরামি সারা  বিশ্বেই চলছে দিনের পর দিন। হল্যাণ্ডের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক থিও  ভ্যান গঘ তার পরিচালিত ‘সাবমিশন’ ছবিটিতে একজন মুসলিম মহিলাকে জোর করে  অসুখী দাম্পত্যের মুখে ঠেলে দেওয়ার বিষয়কে উপজীব্য করায় মুসলিমরা তাকে  ২০০৪, ২রা নভেম্বর গুলি করে হত্যা করেছিল, আপনারা নিশ্চই এই প্রকাশিত  সত্যটা অস্বীকার করবেন না !

'পূর্ব-পশ্চিম' খ্যাত এই বাংলার সুনীল গাঙ্গুলী, কৃষ্ণ, কালী, সরস্বতীদের  নিয়ে কম ট্রল করেনি তার লেখায় কিন্তু হিন্দু মৌলবাদীদের ফতােয়ায়  সুনীলবাবুর চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করতে হয়েছিল কি ? অথচ, উপমহাদেশের  সেকুলাঙ্গার, মডারেটদের তথাকথিত ‘হিন্দু’ প্রধান দেশ ভারতে, ইসলামের  সমালােচনা করার জন্য মুসলিমদের বিক্ষোভের হাত থেকে তসলিমা নাসরিনকে বাঁচাতে  পুলিশী পাহারা নিতে হয়েছিল। এই সেকুলাঙ্গার একটিভিস্ট, কলমচিরা ভারতে  হিন্দুত্ববাদের উত্থানে থরহরি কম্পমান, ভারতের গো-বলয় নিয়ে অপার চিন্তিত  অথচ, সরস্বতীর নগ্ন চিত্র আঁকার জন্য মকবুল ফিদা হুসেনের সমালােচনা হলেও,  এই সেকুলাঙ্গারদের তথাকথিত গো-বলয়ে যেমন আহমেদাবাদ, উত্তরপ্রদেশ কিংবা  ভােপালে, তাকে পুলিশী পাহারা নিয়ে ঘােরাফেরা করতে হয়নি। ইসলামী জঙ্গি  ক্রিয়াকর্মের কথা উঠলেই যে সকল সুতিয়া, মডারেট এবং সেকুলাঙ্গাররা ব্যালেন্স  করার জন্য ভারতে হিন্দুত্ববাদের উত্থানের কথা টেনে আনে, সেই সকল  সেকুলাঙ্গারদের বলি : বিশ্ব ব্যাপী ইসলামী ধর্মীয় ইতরামি ঢাকতে, হিন্দু  মৌলবাদ টেনে এনে লাভ নেই কারণ এই হেঁদুদের মধ্যে আবার বস্তুবাদী নাস্তিক  'চার্বাক' দর্শনেরও স্থান আছে। আপনাদের আখ্যায়িত হিন্দু মৌলবাদ থেকে একটু  হাঠকে শাক্যমুনিকে, এই হেঁদুদের অনেকেই অবতার মানে।

ত্যানা  প্যাঁচায়া লাভ নাই, পয়েন্টে আসেন। শুনেন সেকুলাঙ্গার ভাই বেরাদারগণ,  রাতারাতি ইউরোপ বা আমেরিকাকে 'দার-উল-ইসলাম’এ পরিণত করা, আফনেদের  ইসলামিস্ট, জিহাদি বেরাদারদের পক্ষে সম্ভব না, মানেন আর নাই মানেন কিন্তু,  ভারতবর্ষের ভৌগােলিক অবস্থান এবং প্রশাসনিক দুর্বলতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে  ভারতকে অল্প সময়েই 'দার-উল-ইসলাম’এ পরিণত করা অপেক্ষাকৃত সহজ। আফনেগো  ভাই-বেরাদার বর্তমানে সেই কাজেই নিয়োজিত.......

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted