হ্যালো ! ‘২৬ বাই ১১’ বলছি : মুম্বাই

হ্যালো ! ‘২৬ বাই ১১’ বলছি : মুম্বাই
 ---------------------------------------------
 ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বরে জলপথে ভারতে এসে বাণিজ্য নগরী মুম্বইয়ের মাটিতে  সন্ত্রাস ছড়িয়েছিল পাক জঙ্গিরা। 


তারা যে পাকিস্তান থেকেই এদেশে এসেছিল তা  স্পষ্ট হয়ে করেছিল সেদেশের প্রাক্তন গোয়েন্দা প্রধান তারিক খোসা । আজমল  কাসভরা পাকিস্তানেই জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিয়ে এদেশে এসে মুম্বইয়ে চারদিন ধরে  হামলা চালায়। ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিল নিরীহ ১৬৪ জন, আহত হয়েছিল ৩০৮ জন।  জীবিত জঙ্গি হিসাবে ধরা পরেছিলো একমাত্র আজমল কাসভ । পরে তার ফাঁসির সাজা  হয় । এইরকম ইসলামী সন্ত্রাসের ঘটনা ভারতে সেই প্রথম ঘটেনি, এর আগেও বারবার  ইসলামী সন্ত্রাসের থাবা বসেছে ভারতের গায়ে, যেখানে ভারতের সংসদ পর্যন্ত বাদ  যায়নি । পাঠক, স্বভাবতই মনে প্রশ্ন জাগে, কেন ভারতের বুকে এই ইসলামী  সন্ত্রাস বারবার আছড়ে পরে ? ভুল করছেন পাঠক, ভুল আদতে, ইসলামিক মৌলবাদের  রোষানল থেকে বাদ যাচ্ছে না বিশ্বের কোনও দেশ। ওসামা বিন লাদেনের নির্দেশে  যখন ২০০১ সালে আমেরিকার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে জোড়া বিমান হানায় কয়েক  হাজার নিরপরাধ নাগরিককে হত্যা করা হয়েছিল তখন বিশ্বের পাক্কা মৌলবাদী  মুসলিমরা আশাবাদী হয়ে উঠেছিলো এই বুঝি সারা বিশ্বে ইসলাম ধর্ম প্রতিষ্ঠা  হয়ে গেল আর কি !

বিশ্ব জুড়ে খলিফারাজ প্রতিষ্ঠার উদ্দ্যেশ্যেই এই  ইসলামী সন্ত্রাস আর হত্যালীলা। বাদ যাচ্ছে না নারী, শিশু। নারীদের যৌনদাসী  বানানো হচ্ছে। আই এস এর অত্যাচারে ধ্বংস হচ্ছে প্রাচীন সভ্যতার ইতিহাস।  মসুল, নিমরূদের মতো প্রাচীন ইতিহাস সমৃদ্ধ শহর এখন ধ্বংসভূমি, নিঃশব্দ  মৃত্যু উপত্যকা। বঙ্গ সমাজের সেকুলাঙ্গার, মডারেটরা যখন বলে : ‘সব ধর্মই  কমবেশি এক’, তখন এদের মুখে জুতো মেরে প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে : পৃথিবীর কোন  ধর্মের বিধানে বলে অমুসলিমদের জন্য ওঁৎ পেতে থাকতে আর সুযোগ পেলেই তাদের  হত্যা করতে ? কোন ধর্মের বিধানে বলে অমুসলিমদের সাথে বন্ধুত্ব চলেনা ?  পৃথিবীর কোন ধর্ম গ্রন্থের পাতায় পাতায় ছড়ানো :

➧ হে নবী মুমিনদের  সংগ্রামের জন্য উদ্বুদ্ধ কর, তোমাদের মধ্যে কুড়িজন ধৈর্য্যশীল থাকলে তারা  দু’শোজন কা-রকে পরাজিত করতে পারবে। তোমাদের মধ্যে একশ জন থাকলে তারা এক  হাজার কা-রকে পরাজিত করতে পারবে কারন ওরা এমনি এক জাত যাদের কোন বোধশক্তি  নেই। সুরা-৮, আয়াত-৬৫।
 ➧ অতএব যখন তোমরা কা-রদের সাথে যুদ্ধে মিলিত হও  তখন তাদের গর্দানে আঘাত কর, পরিশেষে যখন তোমরা তাদেরকে সম্পূর্নরূপে পরাভূত  করবে তখন তাদেরকে কষে বেড়িতে বাঁধবে; অতপর তখন হয় অনুকম্পা নয় মুক্তিপন।  (তোমরা জিহাদ চালাবে) যতক্ষন না যুদ্ধ তার অস্ত্রের বোঝা নামিয়ে ফেলে। এটাই  বিধান। এটা এই জন্য যে, আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাদেরকে (নিজেই) শাস্তি দিতে  পারতেন, কিন্তু তিনি তোমাদেরকে পরস্পরের দ্বারা পরীক্ষা করতে চান। যারা  আল্লাহর পথে নিহত তিনি তাদের কর্ম বিনষ্ট হতে দেবেন না। সুরা-৪৭, আয়াত-৪।
 ➧ নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে, মূর্তিপুজারীদের যেখানে পাবে বধ করবে। তাদের  বন্দি করবে, অবরোধ করবে এবং প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের জন্য ওৎ পেতে থাকবে  কিন্তু ওরা যদি তওবা করে, নামায করে, যাকাত দেয় তবে ওদের পথ ছেড়ে দেবে।  নিশ্চই আল্লাহ ক্ষমা পরায়ণ, দয়ালু। সুরা-৯, আয়াত-৫ ।

পাঠক, উপরে সেই  কুখ্যাত ইসলামী ধর্মগ্রন্থের কয়েকটা মাত্র ঝলক দিলাম যেখান থেকে এটা  স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠ মূর্তিপুজারীদের দেশ ভারতে ইসলামী জিহাদ সাচ্চা  মুসলমানের এক অতি আবশ্যিক ফরজ । এক্ষেত্রে কিছু মডারেট কুলাঙ্গারগণ যুক্তি  খাঁড়া করে : ইসলাম পূণ্যাত্মাদের জন্য অনন্তু স্বর্গবাস ও পাপীদের জন্য  অনন্ত নরকবাসের ব্যবস্থা করে ঠিক কাজ করেনি। কারণ পুণ্যাত্মারও কিছু পাপ  করে এবং তাই তাদের কিছুকাল নরকবাস হওয়া উচিত। তেমনি পাপীরাও কিছুকিছু  পুণ্যের কাজ করে, তাই তাদেরও কিছুকাল স্বর্গবাস হওয়া উচিত । এইসব  সেকুলাঙ্গার, মডারেটরের কান পেঁচিয়ে ধরে মগজে ঢুকিয়ে দেওয়া দরকার যে, তারা  ইসলামকে আধ্যাত্মিকতার পথ নিদর্শনকারী একটি ধর্মমত বলে জ্ঞানপাপীর মত আচরণ  করে । ইসলাম কোন ধর্মমত নয়,ইসলাম একটি রাজনৈতিক মতবাদ । এই মতবাদের  উদ্দেশ্য হল, ইহলােকে গনিমতের মাল ও পরনারী সম্ভোগ এবং পরলােকে অক্ষয়  স্বর্গবাসের লােভ দেখিয়ে সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধি করা এবং তারপর নির্বিচারে  আক্রমণ, হত্যা, লুঠ, ধর্ষণের মধ্য দিয়ে সাম্রাজ্য বিস্তার করা । আজকের  ইসলামী উম্মা সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই তার ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালিয়ে  যাচ্ছে আর তারই এক আঘাত ২৬/১১র মুম্বাই হামলা ।

ইসলামী বিশ্ব  দুইভাগে বিভক্ত দার-উল-ইসলাম, যেখানে ইসলামের শাসন আর দার-উল-হারব যেখানে  ক্রমাগত জিহাদের মাধ্যমে ইসলামের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে । সেই অনন্ত  প্রচেষ্টার একটা ছিল মুম্বাইয়ের ২৬/১১ র ইসলামী হামলা । যারা ইসলামকে  শান্তির ধর্ম বলে থাকে তারা একটা জ্বলন্ত সত্যিকে ধামাচাপা দেওয়ার ভণ্ডামি  করে । কোরানের হাত পা ভাঙা শুরু হয়েছে, এটাই কোরানবাদীদের চিন্তা ! এরা দিন  দিন তাই নৃশংস হয়ে উঠছে আর কলমের কাছে সার্কাসের জোকারে পরিণত হচ্ছে।  মডারেট মুসলমান নামক ইতরশ্রেণীর প্রাণীদের এবার সমাজচ্যুত করার সময়  এসেছে………

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted