একটি অসমর্থিত ভয়ঙ্কর তথ্য:
বর্তমান পশ্চিমবঙ্গে ৯-১১ বছর বয়সী মুসলমান বাচ্চারা বাংলার মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০%। হিন্দু বাচ্চারা সেখানে মাত্র ৯%। মাত্র দশ বছর পর, অর্থাৎ ২০৩১ সালেই এই সব বাচ্চারা আঠারো বছর পেরিয়ে ভোটাধিকার পাবে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে মুসলমান ভোটাররা মোট ভোটার সংখ্যার প্রায় ৩০%।
যদিও ৯% হিন্দু বাচ্চারাও ২০৩১এ ভোট দিতে পারবে, তবুও ঠিকমতো হিসেব করলে দশ বছর পরে ২০৩১ সালে পশ্চিমবাংলায় মুসলমান ভোটাররা হবে মোট ভোটারসংখ্যার প্রায় ৪৫%! ওরা এককাট্টা হয়ে একটা দলকেই ভোট দেয়। হিন্দু ভোট অন্ততঃ তিনভাগ হয়। ২০৩১ সালেও সম্ভবত এইভাবেই ভোট পড়বে। সেক্ষেত্রে দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি, বর্ধমান, নদিয়া, বীরভূমের মতো জেলাগুলোর যেসব বিধানসভা এলাকায় মুসলমানরা মোট জনসংখ্যার (ভোটারসংখ্যার নয়) ৩৫% হবে, সেখানেও ভোটারসংখ্যার নিরিখে এককাট্টা হয়ে ভোট দিয়ে ওরা ওদের পছন্দের প্রার্থীকে জিতিয়ে দিতে পারবে; হিন্দুরা ভোট ভাগাভাগির কারণে অল্প পরিমাণ ভোটে হেরে যাবে। মালদহ, মুর্শিদাবাদের হিসেব তো ছেড়েই দিলাম। মুসলমানদের জন্মহার ও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের দৌলতে একমাত্র উত্তরবঙ্গের হাতে গোনা কিছু জেলা বাদ দিলে পশ্চিমবঙ্গে বাকি সব জেলাতেই ২০৩১ সালের মধ্যে মুসলমান জনসংখ্যা ৩৫% ছুঁয়ে ফেলবে বা ছাপিয়ে যাবে - যার ফলে এই জেলাগুলোতে মুসলমান ভোটারদের সংখ্যা জেলার মোট ভোটারসংখ্যার ৪২-৪৫% হয়ে যাবে। এবং যেহেতু ওরা ধর্মের ভিত্তিতে একসাথে একটাই দলকে ভোট দেয়, তাই ২০৩১ সালে উত্তরবঙ্গের অল্প কয়েকটি জেলা বাদ দিয়ে পশ্চিমবাংলার বাকি সব জেলাগুলোর অধিকাংশ আসনেই মুসলমানদের পছন্দের দল বা প্রার্থী জয়ী হবে। হিন্দুদের প্রার্থীরা ভোটভাগের কারণে কান ঘেঁষে হারবে। যদি সত্যিই তাই ঘটে, তাহলে ২০৩১ সালের নির্বাচনে পশ্চিমবাংলার ২৯৪টা বিধানসভা আসনের মধ্যে মুসলমানদের পছন্দের প্রার্থী আর দল মিলিয়ে প্রায় ১৭০-১৮০টা আসন পাবে, যা পশ্চিমবাংলায় সরকার গড়তে প্রয়োজনীয় ১৪৮ আসনের চেয়ে অনেক বেশি।
ফলাফল??
মাত্র দশ বছর পরেই ২০৩১ সালে পশ্চিমবঙ্গে মুসলমান মুখ্যমন্ত্রী ও ইসলামিক রাজ্য সরকার!
পরিণাম???
১৯৪৭ সালের পুনরাবৃত্তি: অত্যাচার, লুটপাট, দাঙ্গা, ধর্ষণ, খুন, বাংলাভাগ, হাজার হাজার মানুষ নিঃস্ব, গৃহহীন, মৃত, হিন্দু বাঙালি আবার নিজের দেশে, নিজের রাজ্যে সহায়সম্বলহীন উদ্বাস্তু, পথের ভিখারি। কোনো নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, যোগী আদিত্যনাথ, দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, ট্রাম্প, পুটিন, জিমপাই, মার্ক্স, লেনিন, বিবেকানন্দ, সুভাষচন্দ্র - কেউ বাঁচাবে না।
বাঙালি, এখন থেকেই গোছগাছ শুরু করে দাও। তোমাদের লড়তে বলে কোনো লাভ নেই, কারণ তোমাদের মেরুদণ্ড অনেকদিন আগেই ভেঙ্গে গেছে। এতো স্বার্থপর, ধূর্ত, দুর্বল, লোভী, নীতিহীন, চরিত্রহীন ও বাস্তববোধহীন জাতি কোনদিন লড়াই করতে পারে না। তাই লড়াই করতে না বলে জিনিসপত্র গুছিয়ে নিতে বলছি, কারণ বাঙালি আর কিছু পারুক বা না পারুক, নিজের আখের খুব ভালো গুছিয়ে নিতে জানে। তাই এখন থেকেই যতটা পারো সবকিছু ভালো করে গুছিয়ে নাও, যাতে হটাৎ করে একদিন রাত্রিবেলায় এক জামাকাপড়ে ভাতের হাঁড়ি বগলে নিয়ে রাতের অন্ধকারে ঘরবাড়ি ফেলে প্রাণ হাতে করে পালাতে না হয়; যেভাবে ১৯৪৭ সালে পূর্ববঙ্গের হিন্দুরা পালিয়ে এসেছিল, যেভাবে "স্বাধীন, ধর্মনিরপেক্ষ, গনতান্ত্রিক দেশ" ভারতবর্ষে ১৯৯১ সালে কাশ্মীরের হিন্দুরা পালিয়ে এসেছিল।
ওরা কিন্তু আজও উদ্বাস্তু - নিজের দেশে! জাগো হিন্দু জাগো।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................