কালীপুজো বলতেই ভেসে ওঠে পুরোনো গ্রামবাংলা। জঙ্গলাকীর্ণ বাংলা। পোড়ো মন্দির। অমাবস্যায় ডাকাতির আগে পুজো।
কালী হলেন একজন হিন্দু দেবী। তার অন্য নাম শ্যামা বা আদ্যাশক্তি। প্রধানত শাক্ত সম্প্রদায় কালীপূজা করে থাকে। তন্ত্র অনুসারে কালী দশমহাবিদ্যা-র প্রথম দেবী। শাক্তমতে কালী বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির আদি কারণ। বাঙালি হিন্দু সমাজে কালীর মাতৃরূপের পূজা বিশেষ জনপ্রিয় !
দেবী কালিকার নাম ও রূপ একটা অদ্ভুত ভয় মেশানো ভক্তির ভাব আনে আমাদের অন্তরে। দেবীর কথা ভাবলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে টানটান হয়ে শুয়ে থাকা মহাদেবের বুকের ওপরে দাঁড়ানো বিবসনা এলোকেশী ও মুণ্ডমালিনী কালো বা শ্যামবর্ণের নারীমূর্তি। দেবীর চার হাত। এক হাতে খড়্গ, এক হাতে রক্তঝরা মানুষের মাথা, অন্য দু’হাতের একটি অভয় দান ও অপরটি বরদানের। দেবীর কোমরের চারপাশে কাটা হাতের মালা। দেবীদেহ নানান অলংকারে সুসজ্জিত। হাসি মাখা মুখমণ্ডল।
কলকাতায় সুমনকে নিয়ে কালীঘাটে মা কালীর পূঁজা দিয়েছিলাম ! পান্ডা আমাকে বলেছিলো " তুমি কোন জাতের গো ? " জাতপ্রথা সভ্য সমাজে না থাকলেও মন্দিরে ঠিকই আছে !
পান্ডাকে বলেছিলাম আমার কোন জাত ধর্ম নেই , তুমি পূঁজা চড়াও ! বিশাল লাইন দেখে আমি ইতস্তবোধ করছিলাম ! কিন্তু সেয়ানা পান্ডা আমার কাছ থেকে ৫০ রুপী খুঁজে নিয়ে পুলিশের পকেটে গুঁজে দিলো , সাথে সাথে ৰাস্তা পরিষ্কার শাহান শাহর মতো কালী মন্দিরে ঢুকে পড়লাম !
ঈশ্বরের প্রার্থনা করার বা ডাকার কোনও বাঁধাধরা নিয়ম হয় না। ভক্তিই হল মূল মন্ত্র।
কলকাতার কালীমন্দিরে পুলিশের বেষ্টনী ভেদ করে লাইন ছাড়া মা কালির মন্দিরে ঢুকা এতো সহজ নয় !
শুভ সন্ধ্যা !
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................