সমস্যা হচ্ছে মুসলমানদের সঙ্গে অন্যান্য ধর্ম সম্প্রদায়ের তুলনা করতে গেলে তাদের প্রশংসা হয়ে যায়! দুর্গা বাপের বাড়ি যাবার আগে ট্রেনে উঠার সময় এগিয়ে দিতে আসা স্বামী শিবকে বলছেন, বেশি বেশি মদ গাঁজা খেয়ো না কিন্তু! এরকম কার্টুন রঙ্গরস প্রতি বছরই দেখা যায়নি। শার্লি এবদো যীশুর ব্যঙ্গচিত্র বহুবার এঁকেছে কিন্তু তাদের কেবল মুহাম্মদের কার্টুন আঁকতে গিয়েই চাপাতির কোপ খেতে হয়েছে। তাহলে আমাদের বলতেই হয় মুসলমান ধর্মীকদের চেয়ে খ্রিস্টান ধর্মীকরা ভালো! দুর্গা শিবকে নিয়ে এরকম ফাজলামি পুজার সময় হিন্দুরা ইনজয় করে! সেখানে মাত্রই ফ্রান্সে একজন শিক্ষককে গলা কেটে মেরে ফেলা হলো মুহাম্মদের একটি কার্টুন জাস্ট উদাহরন হিসেবে ছাত্রদের তিনি দেখিয়েছিলেন! কি করে তারপরও মুসলমানদের অন্য ধর্ম আর সম্প্রদায়ের সমান করে দেখতে বলেন? ওআইসি ফ্রান্সে মুহাম্মদের কার্টুন সরকারিভাবে প্রদর্শনের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। অথচ যখন শিক্ষকটিকে হত্যা করা হয়েছিল তখন তারা চুপ ছিলো। এখন বলছে কার্টুন যেমন সমর্থন করি না তেমনি হত্যাকে সমর্থন করি না। ওআইসি আসলে এই হত্যাকাণ্ডের সমর্থন করে। ফ্রান্সের ইমামরা যারা ফরাসি শিক্ষককে শহীদ বলছেন তারাও হত্যাকে সমর্থন করে। বাংলাদেশের ইমামরা যেমন কুরআন সুন্নাহ থেকে হিন্দুদের উৎসবে মুসলমানদের জন্য হারাম বলে খুতবা দিচ্ছে কিন্তু ভারতের ইমামরা এ বিষয়ে নিরব থাকছেন। এগুলোকে বলে তাকিয়া। দ্বিনের স্বার্থে প্রয়োজনে ইসলাম যা বলে তার বিপরীত বলে নিজেদের রক্ষা করতে হবে। যেমন ফ্রান্সের ইমামরা করছেন। ইসলাম প্রকৃতপক্ষে কি বলে সেটা জানতে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের মসজিদে যেতে হবে। এমনকি ভারতের মুসলিম প্রধান অঞ্চলেও আপনি আসল ইসলামের নির্যাস পাবেন! অনেকেই উদার ইসলামকে সামনে আনার কথা বলছেন। মাজার ও সূফী ইসলামকে উদার সহিষ্ণু বলছেন। এরকম কোন ইসলাম ভূভারতে ছিলো বলে জানা নেই! সুফিবাদ ও মাজারকেন্দ্রেক ইসলাম মূলত ব্যবসায়ী ঘরনায় চলে গেছে। আজমেরী বা সিলেটের শাহজালাল মাজার পুরোটাই ব্যবসা। ব্যবসার কাছে সবাই ক্লাইন্স। হিন্দু মুসলমান সবাইকে খদ্দের বানাতে তাই তাদের আগ্রহ। অথচ ভারতে মুসলমান শাসকদের প্রথম আগমনের সময় এই সুফিরা কাফের বিষয়ে ফয়সাল দিয়েছিল এদের ধর্মান্তরিত হতে হবে নতুন এদের গর্দান ফেলে দিতে হবে। যেহেতু পৌত্তলিকরা আহলে হাদীস নয় তাই তাদের জিজিয়া দিয়ে বাঁচার অধিকার নেই। মুসলিম শাসকদের অনেকেই বরং উদারতা দেখিয়েছিলেন স্থানীয় অমুসলিমদের। সুফিরা সেই উদার শাসকের উৎখাতের জন্য তখন অন্য শাসকদের উশকানি দিতেন। শুধু ওহাবী সুন্নিদের উগ্র বলে সমস্যাকে এড়াবেন না। শিয়া কতখানি ভালো মুসলমান সেটা ইরানে ইসলামিক রিপাবলিক গঠন করেই প্রমাণ করেছে। কাদিয়ানীরা এতখানি নিপীড়িত এরাই যদি কোন দেশে ইসলামী শাসন আনতে পারে দেখবেন কিভাবে শরীয়াকে আইন বানায়। কারণ হচ্ছে সব ইসলামের একটাই কুরআন। হাদীস মাযহাব ছাড়া ইসলাম অচল। ইসলামের সংস্করণের কথা যারাই বলেন তারা বোকার স্বর্গে বাস করেন। পৃথিবীতে কোন ধর্মই সংস্করণ হয়নি। শ্রীচৈতন্যদেব হিন্দু ধর্মকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন সনাতন ধর্মের আদিযুগে। মার্টিন লুথার ক্যাথলিকদের থেকে খ্রিস্টান ধর্মকে আদি যীশুর ধর্মের ফিরিয়ে নেয়ার ঘোষণা করেছিলেন। আবদুল ওহাব বাগদাদের খলিফাদের ইসলাম থেকে নবী মুহাম্মদের সময়ের ইসলামে ফিরে যাবার ডাক দিয়েছিলেন। অথচ সেই ওহাবী ইসলামকে উগ্র বলে আজগুবি উদার ইসলাম তালাশ করছেন। ধর্ম হচ্ছে ফেলে দেয়ার জিনিস। এর ভালো অসাম্প্রদায়িক কোন চেহারা নেই। ধর্মকে ফরাসিরা রাষ্ট্র থেকে ঝাঁটা পেটা করে বের করেছিল। তারপর খ্রিস্টান ধর্ম সেখানে আর মাথা তুলতে পারেনি। ইসলামকে এভাবেই রাষ্ট্র থেকে উৎখাত করতে হবে। এটাই সমাধান। ফ্রান্স যা করছে এখন পর্যন্ত ঠিক আছে। ধর্মানুভূতি পিছন দিয়ে ভরে দিতে হবে!

সমস্যা হচ্ছে মুসলমানদের সঙ্গে অন্যান্য ধর্ম সম্প্রদায়ের তুলনা করতে গেলে তাদের প্রশংসা হয়ে যায়! 

দুর্গা বাপের বাড়ি যাবার আগে ট্রেনে উঠার সময় এগিয়ে দিতে আসা স্বামী শিবকে বলছেন, বেশি বেশি মদ গাঁজা খেয়ো না কিন্তু!  এরকম কার্টুন রঙ্গরস প্রতি বছরই দেখা যায়নি। শার্লি এবদো যীশুর ব্যঙ্গচিত্র বহুবার এঁকেছে কিন্তু তাদের কেবল মুহাম্মদের কার্টুন আঁকতে গিয়েই চাপাতির কোপ খেতে হয়েছে। তাহলে আমাদের বলতেই হয় মুসলমান ধর্মীকদের চেয়ে খ্রিস্টান ধর্মীকরা ভালো!  

দুর্গা শিবকে নিয়ে এরকম ফাজলামি পুজার সময় হিন্দুরা ইনজয় করে!  সেখানে মাত্রই ফ্রান্সে একজন শিক্ষককে গলা কেটে মেরে ফেলা হলো মুহাম্মদের একটি কার্টুন জাস্ট উদাহরন হিসেবে ছাত্রদের তিনি দেখিয়েছিলেন! কি করে তারপরও মুসলমানদের অন্য ধর্ম আর সম্প্রদায়ের সমান করে দেখতে বলেন?

ওআইসি ফ্রান্সে মুহাম্মদের কার্টুন সরকারিভাবে প্রদর্শনের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। অথচ যখন শিক্ষকটিকে হত্যা করা হয়েছিল তখন তারা চুপ ছিলো। এখন বলছে কার্টুন যেমন সমর্থন করি না তেমনি হত্যাকে সমর্থন করি না। ওআইসি আসলে এই হত্যাকাণ্ডের সমর্থন করে। ফ্রান্সের ইমামরা যারা ফরাসি শিক্ষককে শহীদ বলছেন তারাও হত্যাকে সমর্থন করে। বাংলাদেশের ইমামরা যেমন কুরআন সুন্নাহ থেকে হিন্দুদের উৎসবে মুসলমানদের জন্য হারাম বলে খুতবা দিচ্ছে কিন্তু ভারতের ইমামরা এ বিষয়ে নিরব থাকছেন। এগুলোকে বলে তাকিয়া। দ্বিনের স্বার্থে প্রয়োজনে ইসলাম যা বলে তার বিপরীত বলে নিজেদের রক্ষা করতে হবে। যেমন ফ্রান্সের ইমামরা করছেন। ইসলাম প্রকৃতপক্ষে কি বলে সেটা জানতে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের মসজিদে যেতে হবে। এমনকি ভারতের মুসলিম প্রধান অঞ্চলেও আপনি আসল ইসলামের নির্যাস পাবেন!

অনেকেই উদার ইসলামকে সামনে আনার কথা বলছেন। মাজার ও সূফী ইসলামকে উদার সহিষ্ণু বলছেন। এরকম কোন ইসলাম ভূভারতে ছিলো বলে জানা নেই!  সুফিবাদ ও মাজারকেন্দ্রেক ইসলাম মূলত ব্যবসায়ী ঘরনায় চলে গেছে। আজমেরী বা সিলেটের শাহজালাল মাজার পুরোটাই ব্যবসা। ব্যবসার কাছে সবাই ক্লাইন্স। হিন্দু মুসলমান সবাইকে খদ্দের বানাতে তাই তাদের আগ্রহ। অথচ ভারতে মুসলমান শাসকদের প্রথম আগমনের সময় এই সুফিরা কাফের বিষয়ে ফয়সাল দিয়েছিল এদের ধর্মান্তরিত হতে হবে নতুন এদের গর্দান ফেলে দিতে হবে। যেহেতু পৌত্তলিকরা আহলে হাদীস নয় তাই তাদের জিজিয়া দিয়ে বাঁচার অধিকার নেই। মুসলিম শাসকদের অনেকেই বরং উদারতা দেখিয়েছিলেন স্থানীয় অমুসলিমদের। সুফিরা সেই উদার শাসকের উৎখাতের জন্য তখন অন্য শাসকদের উশকানি দিতেন। শুধু ওহাবী সুন্নিদের উগ্র বলে সমস্যাকে এড়াবেন না। শিয়া কতখানি ভালো মুসলমান সেটা ইরানে ইসলামিক রিপাবলিক গঠন করেই প্রমাণ করেছে। কাদিয়ানীরা এতখানি নিপীড়িত এরাই যদি কোন দেশে ইসলামী শাসন আনতে পারে দেখবেন কিভাবে শরীয়াকে আইন বানায়। কারণ হচ্ছে সব ইসলামের একটাই কুরআন। হাদীস মাযহাব ছাড়া ইসলাম অচল। ইসলামের সংস্করণের কথা যারাই বলেন তারা বোকার স্বর্গে বাস করেন। পৃথিবীতে কোন ধর্মই সংস্করণ হয়নি। শ্রীচৈতন্যদেব হিন্দু ধর্মকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন সনাতন ধর্মের আদিযুগে। মার্টিন লুথার ক্যাথলিকদের থেকে খ্রিস্টান ধর্মকে আদি যীশুর ধর্মের ফিরিয়ে নেয়ার ঘোষণা করেছিলেন। আবদুল ওহাব বাগদাদের খলিফাদের ইসলাম থেকে নবী মুহাম্মদের সময়ের ইসলামে ফিরে যাবার ডাক দিয়েছিলেন। অথচ সেই ওহাবী ইসলামকে উগ্র বলে আজগুবি উদার ইসলাম তালাশ করছেন। ধর্ম হচ্ছে ফেলে দেয়ার জিনিস। এর ভালো অসাম্প্রদায়িক কোন চেহারা নেই। ধর্মকে ফরাসিরা রাষ্ট্র থেকে ঝাঁটা পেটা করে বের করেছিল। তারপর খ্রিস্টান ধর্ম সেখানে আর মাথা তুলতে পারেনি। ইসলামকে এভাবেই রাষ্ট্র থেকে উৎখাত করতে হবে। এটাই সমাধান। ফ্রান্স যা করছে এখন পর্যন্ত ঠিক আছে। ধর্মানুভূতি পিছন দিয়ে ভরে দিতে হবে!

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted