“পুলহ এবং পুলস্ত বংশ”
ডাঃ মৃনাল কান্তি দেবনাথ
পুলহ ব্রহ্মার ৬ মানস পুত্রর একজন (কাশ্যপ আর একজন যার ১৩ জন
স্ত্রী, সবাই দক্ষ রাজার কন্যা)। এই পুলহর ক্রমিক বংশাবলী জানা যায় না। তবে এদের বংশ কে রাক্ষস বংশ বলতো। রামায়নের যুগে এদের একজন জাম্ববান, আর দুই জন বালী এবং সুগ্রীব। এই খানে আমরা হনুমানজীকেও পাই। এদের মুখোশ ছিলো বানরের মতো ( যাকে বর্তমান ভাষায় বলা হয় ‘টোটেম’) । তাই এদের বানর জাতি ও বলা হতো। কিষ্কিন্ধ্যা এদের বাস স্থান (খুব সম্ভবত বর্তমান হায়দ্রবাদ তেলেঙ্গানা অঞ্চল) ।
পুলস্ত থেকে যে বংশ হয়েছিলো, সেখানে পাই বিশ্র কে, যার বংশে জন্ম নেন রাবন -১, যার সঙ্গে যুদ্ধ হয় নহুষ বংশের যযাতি পুত্র সহস্রার্জুনের। রাবন -১ সহস্রার্জুনকে পরাজিত করেন। এই রাবন-১ এর হাতে রাজা দুষ্মন্ত ও পরাজিত হন। রাবন-১ ইক্ষাকু বংশীয় রাজা অরন্যান্য কেও পরাজিত করেন। রাজা অরন্যান্য, সহস্রার্জুন এবং দুষ্মন্ত সমসাময়িক। সেই সময় হলো ৭৫০০ বছর থেকে ১০৫০০ বছর। এই একই সময় আমরা পাই জামদ্বগ্নি পুত্র পরশুরাম কে। তিনি সহস্রার্জুন কে পরাজিত এবং নিহত করেন। সেই সঙ্গে আরো অনেক রাজাকে পরাজিত করেন। রাবন -১ এর অন্য ভাই কুবের। এই রাবন-১ শ্রীলঙ্কা জয় করেন এবং তার রাজধানী স্থাপন করেন। তিনি তার ভাই কুবেরের থেকে পুষ্পক রথ ছিনিয়ে নেন। রাবন ২ এর সময় আরো পরে। রাম চন্দ্রের সময়ে, জাম্বুবান, সুগ্রীব বালী, হনুমানের সময় ।
সমুদ্র মন্থনের পর, অসুর বংশ (দানায়ু এবং কাশ্যপ মুনি) পালিয়ে চলে যায় মধ্য প্রাচ্যে। সেখানে তৈরী হয়ে 'অসিরীয় সভ্যতা' । দিতি র বংশ দৈত্য এবং দানুর বংশ দানবেরা ক্রমে বিষ্ণু বংশীয় দের সঙ্গে পরাজিত হয়ে শেষ হয়ে যায়। এদের কিছু কিছু মধ্য প্রাচ্যের মরুভুমিতে বিচরন করে বেদুইন হয়ে। এদের জীবন ধারন করার এক মাত্র উপায় ছিলো দস্যু বৃত্তি করা ।তাই এদের দস্যু বলে হয়।
রাবন ১ এবং রাবন ২ নিয়ে বা পরশুরামের সময় এবং শ্রী রাম চন্দ্রের সময় নিয়ে যদি কোনো মতদ্বৈতা থাকে তার জন্য আমি দ্বায়ী নই। আমি বংশ তালিকায় যা পাচ্ছি তাই তুলে ধরছি।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................