শাহরিয়ার কবীররা এভাবে ভাস্কর্য পাহারা দিয়ে কতদিন রাখতে পারবেন?
শাহরিয়ার কবীরের কথাবার্তা আমার পছন্দ না। মামুনুল হকের সঙ্গে টিভি টকশোতে উনি যে কৌশল নিয়েছেন তা আত্মঘাতী। ভাস্কর্য রক্ষা করতে গিয়ে উনি মূর্তি প্রতীমাকে বিপদজনক জায়গায় ফেলে দিয়েছেন। ইসলাম মূর্তি পূজা বিরোধী বা মূর্তি বিরোধী স্বীকার করে ইসলামের কোথাও ভাস্কর্য ভাঙার কথা নেই বলে তিনি যে ফাঁদ তৈরি করছেন তাতে তো আগামীতে বৌদ্ধ ও হিন্দু পুরাকীর্তিগুলোতে থাকা দেব দেবীদের মূর্তি, পোড়ামাটির কাজ, নকশার মত কাজগুলোকে ইসলাম সম্মতভাবে ভাঙার পক্ষ নিয়ে নিলেন! শাহরিয়ার কবীর বারবার সৌদি আরব মিশর তুরস্কের উদাহরন দিয়ে ভাস্কর্যকে ডিফেন্স করতে চেয়েছেন যেখানে মামুনুল হক বারবার কুরআন হাদিসের রেফারেন্স দিয়েছেন। কুরআনের কোথাও রাজনীতি করার কথা নেই বলে শাহরিয়ার কবীর শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চেয়েছেন কারণ তিনি কৌশলে হাদিসের কথা বলেননি। তিনি বারবার ইসলামকে ওহাবী মমওদুদী মতবাদ আখ্যা দিয়ে 'সুফি ইসলাম'কে প্রকৃত ইসলাম বলছিলেন। শাহরিয়ার কবীররা এভাবে ভাস্কর্য পাহারা দিয়ে কতদিন রাখতে পারবেন? আমরা তো জানিই মামুনুল হকদের ইসলাম বুঝানোর জন্য শাহরিয়ার কবীর এসব বলেননি। তিনি এটা টেলিভিশন দর্শকদের ইসলামের পক্ষে থেকেও যে ভাস্কর্য আর্ট এগুলোর সমর্থন করা যায় সেটা বুঝাতে চেয়েছেন। ‘ইসলামে এগুলো নিষেধ নয়, মাদ্রাসা কাঠমোল্লারা মনগড় কথা বলে’ এটা প্রতিষ্ঠা করে জনমত তৈরি করতে চেয়েছেন। অথচ ইন্টারনেটের এই যুগে ইসলাম কি বলে কি চায় সেটা শাহরিয়ার কবীর রাতদিন বুঝালেও ঠেকাতে পারবেন না। সবচেয়ে মজা লেগেছিল হোস্ট সামিয়া রহমান ‘জিজিয়া কর’ কি জিনিস সেটা জানেন না! তিনি শাহরিয়ার কবীরকে জিজ্ঞেস করছেন জিজিয়া কর কি জিনিস? দিনের পর দিন মাওলানা মুফতিদের ডেকে এনে ইসলাম কত উদার মহান এসব শুনিয়ে তাদের মুখ থেকে নারী অধিকার, অসাম্প্রদায়িকতা আশা করেছেন সম্ভবত ইসলাম সম্পর্কে কিছু জানেন না বলেই!
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................