8♦️উপমহাদেশের বৃহত্তম কালীমন্দির ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল পাক সেনারা। এবং পরবর্তীকালে ক্ষমতায় এসে তার প্রতিকার তো দূরের কথা, মন্দিরের জমি জবরদখল করেছিল শেখ মুজিব। তারপরেও মন্দিরের অফিসে ঝোলানো থাকে শেখ মুজিবের ছবি!
“...এই হিন্দু তথা ভারতীয় সংস্কৃতির যে তিনি (শেখ মুজিবুর রহমান) বিরােধী ছিলেন তার প্রথম প্রমাণ রমনা কালীমন্দিরের ২৬ একর জমির জবর দখল। সেখানে ১২০০ বছরের প্রতিষ্ঠিত পাক আর্মি দ্বারা ধ্বংসপ্রাপ্ত মন্দিরটির পুনর্গঠনের বাধা দেওয়া। পাক আর্মি এই মন্দির ধ্বংস করেছে ইsলামিক জেহাদ ঘােষণা করে। সেই ইsলামিক জে.হাদকে স্বীকৃতি জানাতে ও তা চালিয়ে যেতেই তিনি জবর দখল করলেন মন্দিরের এই ২৬ একর জমি। শুধু ২৬ একর জমির কথা বড় নয়। বড় কথা জমিটা কোথায়? জমিটা কার? জমিটা ঢাকার সব থেকে সেরা জায়গা বাংল|দেশের রাজধানী ঐতিহাসিক ঢাকার ঐতিহাসিক রমনা মাঠে। সেই মাঠের কেন্দ্রস্থলে দাঁড়িয়েছিল ২১১ ফুট উঁচু রমনা কালীমায়ের ১২০০ বছরের ঐতিহাসিক মন্দিরটি। মন্দিরের চূড়াটি বহু দূর থেকে দেখা যেত। হি.ন্দু সংস্কৃতি তথা ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতীক হয়ে তা দাঁড়িয়েছিল। প্রতি মুহূর্তে তার চূড়ার দিকে তাকালেই অতীত হি.ন্দু সংস্কৃতির কথা মানুষের মনে পড়ত। তাই পাক সৈন্য হি.ন্দু সংস্কৃতি তথা হি.ন্দু ধর্মের ঐতিহাসিক সত্যকে চিরতরে মুছে ফেলতে মন্দিরটি ধ্বংস করেছিল। এইভাবেই ধ্বংস করেছিল অযােধ্যার রামমন্দির, কাশীর শিব মন্দির ও মথুরার শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরসহ আরাে অন্যান্য মন্দির ও ধর্মস্থান। মুজিবও ইsলামিক জেহাদের কাজটিকে শুধু স্বীকৃতি জানালেন না, পড়ে থাকা মন্দিরের সমস্ত জমিটিও তিনি জবর দখল করে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। তিনিও ইsলামিক জেহ|দের একজন খাঁটি সেনা।…”
♦️ছবিতে দেখতে পাচ্ছি হি.ন্দু হত্যাকারী সুরাবর্দী নামে “উদ্যান” হয়েছে ওই মন্দিরের জায়গা জবরদখল করে।
“…মুsলিম লিগ প্রথমে নেহরু সরকারে যােগ দেয়নি। তারা ১৯৪৬ সালের ১৬ই আগস্ট প্রতিবাদ দিবস পালনের ডাক দিল। বাংলায় তখন সুরাবর্দির নেতৃত্বে মুsলিম লিগ সরকার। তারা প্রতিবাদ দিবসকে ডাইরেক্ট অ্যাকশন ডে-তে পরিবর্তন করল। অর্থাৎ দাঙ্গা দিবস। হাতে ছুরি নিয়ে লিগ রাস্তায় নামল। কলকাতায় রক্তগঙ্গা বইয়ে দিল।..”
[তথ্যসূত্র: বাঙালির মুক্তিযুদ্ধে অন্তরালের শেখ মুজিব, ডা. কালিদাস বৈদ্য]
♦️ যে মন্দিরে দীক্ষা নিতেন অগ্নিযুগের বিপ্লবীরা সেই মন্দিরের এহেন অবস্থা দেখেও শক্তিপূজক বাঙ্গালীর(হিন্দু) ঘুম ভাঙে না?
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................