রাজা মানসিংহ কিন্তু কূটনীতির প্রয়োগে সিদ্ধহস্ত ছিলেন।



রাজা মানসিংহ কিন্তু কূটনীতির প্রয়োগে সিদ্ধহস্ত ছিলেন। তিনি বুঝেছিলেন তাঁর সামনে সম্রাট ঝুলিয়ে দিয়েছেন প্রতাপরূপী মৃত্যুর খাঁড়া, আর সেই মৃত্যুর সঙ্গে যুঝতে গেলে চাই উপযুক্ত কূট কৌশল, তাই প্রথমেই তিনি চেষ্টা শুরু করলেন প্রতাপের শত্রুদের নিজের শিবিরে নিয়ে আসতে। 



আর এক্ষেত্রে তিনি প্রথমেই পেয়ে গেলেন দিল্লীতে অবস্থানকারী রূপরাম ও কচু রায়কে। প্রতাপের সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধিতে ঈর্ষাণ্বিত, তাঁরই আশ্রিত ও অন্নে পালিত ভবানন্দ মজুমদার যোগ দিলেন রাজা মানসিংহের শিবিরে। কথিত আছে রামচন্দ্র ও তাঁর পুত্র ভবানন্দ কর্মাণ্বেষণে যশোরে এসে পৌঁছোন এবং রাজ্যসরকারে নিযুক্ত হন। উচ্চাকাঙ্খী ভবানন্দ সুমধুর ব্যবহারে প্রতাপের মন জয় করে নেন এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ বৃত্তে ঢুকে পড়েন। যদিও প্রতাপের কাছে তিনি তাঁর ঋণ চোকালেন যথাসময়ে প্রতাপকে পরিত্যাগ করে তাঁর শত্রুপক্ষে যোগ দিয়ে। যাইহোক, অচিরেই প্রতাপকে নির্মুলের ছক কষে ফেললেন মানসিংহ। প্রতাপ যাতে তাঁর বিরুদ্ধে “পোড়ামাটির নীতি” না নিতে পারেন সেজন্য চিরাচরিত নিম্ন গাঙ্গেয় সমভূমির পথ ছেড়ে অন্য পথ ধরে এগোলেন মান সিংহ, পথে মৈত্রীরচনা করে নিলেন পাকুড় রাজবংশের সাথে। যাঁরা বহুদিন ধরে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে মানসিংহকে রসদ জুগিয়ে যান। মানসিংহ যাতে সপ্তগ্রামে নির্বিঘ্নে গঙ্গা না পেরোতে পারেন সেজন্য রডা আগেভাগে সেখানে উপস্থিত হয়ে সমস্ত নৌকা নদীগর্ভে নিমজ্জিত করেন। কিন্তু ধূর্ত মানসিংহ এদিক দিয়ে এলেনই না। তিনি চাপড়া দিয়ে গঙ্গা পেরোলেন। আর তারপরেই মুখোমুখি হলেন অকালে নেমে আসা বর্ষার, রসদ সংগ্রহের নিদারুণ সমস্যায় পড়ে গেলেন রাজা। এবার এগিয়ে এলেন ভবানন্দ। গোবিন্দদেবের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার অছিলায় যে বিপুল অর্থ ও খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহ করেছিলেন তা সমর্পণ করে দিলেন মানসিংহের পায়ে। হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন রাজা মানসিংহ আর ভবানন্দ ঢুকে পড়লেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বৃত্তে। এরপর ভবানন্দ প্রতাপের সেনাবাহিনীর পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ, সম্ভাব্য সেনাবিন্যাস, দুর্গসজ্জা , রণনীতি ইত্যাদির বিস্তৃত বর্ণনা দিয়ে দিলেন মানসিংহকে। কাজ অনেক সহজ হয়ে গেল মানসিংহের,ঝড়ের গতিতে তিনি এগিয়ে চললেন যশোরের দিকে। প্রতাপ যাতে পার্শ্ববর্তী মিত্রদের কাছ থকে কোন সুবিধা না পান সেজন্য প্রায় একশ রণতরী সমন্বিত এক বিশাল নৌবাহিনী পাঠিয়ে দিলেন বিক্রমপুর অধিপতি কেদার রায়কে দমন করার জন্য, সঙ্গে সড়কপথে গেল বাছা বাছা সৈন্যের একটি বাহিনী। কিন্তু কোনভাবেই বিক্রমপুরকে টলান গেল না। মেঘনার কালো জলে পর্যুদস্ত হয়ে ফিরল মুঘল বাহিনী। ইতিমধ্যে মানসিংহ আত্মসমর্পণের প্রস্তাব দিয়ে দূত পাঠালেন প্রতাপের কাছে, প্রতাপের নির্দেশে কেশব ভট্ট নামে এক ব্রাহ্মণ সভাসদ বাছা বাছা বিশেষণে দূতকে ভূষিত করে ফেরৎ পাঠিয়ে দিলেন মানসিংহের কাছে। আর অপেক্ষা না করে যশোর আক্রমণ শুরু করলেন রাজা মানসিংহ। প্রতাপ এ আক্রমণের জন্য প্রস্তুত ছিলেন। শুরু হয়ে গেল ভয়ঙ্কর যুদ্ধ। যুদ্ধের প্রথমদিকে মান সিংহ নাস্তানাবুদ হতে লাগলেন সূর্যকান্ত, শঙ্কর, রঘু ,সুখা, রডা প্রমুখ সেনাপতিদের একের পর এক আক্রমণে। স্বয়ং প্রতাপ পুত্র উদয়াদিত্য রণস্থলের চারদিক ঘুরে সেনাদের উজ্জ্বীবিত করতে লাগলেন সঙ্গে অসাধরণ বীরত্বও দেখালেন। মানসিংহ হতাশ হয়ে পড়তে লাগলেন ক্রমে ক্রমে। এ সময় কচু রায়, ভবানন্দ প্রমুখ তাঁকে প্রবল উৎসাহ দিলেন এবং পরামর্শ দিলেন দেবী ভগবতীর পূজা করার, সেই সঙ্গেই প্রতাপের সৈন্যবাহিনীর মধ্যে কৌশলে গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হল যে রাজা মান সিংহ দেবী ভগবতীর আশীষ প্রাপ্ত হয়েছেন এবং দেবী পিতৃব্যহন্তা প্রতাপকে ত্যাগ করেছেন। কুসংস্কার প্রিয় বাঙালী সৈন্যদের দুর্বল করার জন্যই যে এই কৌশলের উদ্ভাবন তা বলাই বাহুল্য।বস্তুত মান সিংহের পূর্বসূরীরা কেউই এই কূটনৈতিক পন্থাগুলির আশ্রয় নিতে সক্ষম হননি কেননা তাঁরা উপরোক্ত বিশ্বাসঘাতকদের সহচর্য পাননি। যাই হোক যুদ্ধ চলাকালীন অবস্থায় একদিন সূর্যকান্ত বেষ্টিত হয়ে পড়লেন, তীব্র যুদ্ধ করেও ফাঁদ কেটে বেরোতে পারলেন না তিনি, শেষ মুহুর্তে স্বয়ং উদয়াদিত্য এগিয়ে এলেন, তাঁকে বাঁচাতে, কিন্তু তখন বড্ড দেরী হয়ে গেছে, যুদ্ধরত অবস্থাতেই মৃত্যুকে বরণ করে নিলেন সূর্যকান্ত। উদ্যাদিত্যকে এই সঙ্কটের মধ্যে দেখে মানসিংহ ঐ জায়গায় নতুন সেনানিবেশ করে তীব্র চাপ সৃষ্টি করলেন উদয়াদিত্যের উপর, প্রাণপণে সেই চাপ রুখতে লাগলেন উদয়। দুর্ভাগ্যবশত সেই সময় একটি গোলা এসে পড়ল তাঁর উপর। আর পারলেন না উদয়াদিত্য, হাসিমুখে মৃত্যুকে বরণ করে নিলেন তিনি। এই ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়লে মুঘল সেনার মধ্যে এক দারুণ উৎসাহের সৃষ্টি হল। অন্যদিকে হতাশ হয়ে পড়ল প্রতাপের সেনাবাহিনী। এই সময় অসাধরণ বীরত্বের পরিচয় দিলেন বহু যুদ্ধের বিজয়ী নায়ক পর্তুগীজ সেনাপতি রডা, সেনাবাহিনীকে উৎসাহিত করে ঝাঁপিয়ে পড়লেন মুঘল সেনার উপর। কিন্তু কুশলী সেনানায়ক মান সিংহ ততক্ষণে যুদ্ধের দখল নিয়ে নিয়েছেন, তাই ব্যর্থ হয়ে গেল রডার চেষ্টাও, তিনিও যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ দিলেন। যশোর দুর্গ অবরোধ করলেন মানসিংহ । আশাহত প্রতাপ পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে সরে গেলেন যশোর দুর্গ থেকে ধূমঘাট দুর্গে, তিনি নতুন করে সাজাতে চাইলেন আক্রমণের ছক। কিন্তু হায়! যে দেশ বিশ্বাসঘাতকে ভর্তি সেখানে সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা অর্জনের প্রয়াস যে কত বড় ভ্রম প্রতাপ তা বুঝলেন। যে সমস্ত আত্মীয়স্বজন এতদিন ধরে প্রতাপের অন্নে পালিত হয়েছেন ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার লক্ষ্যে, তারাই গিয়ে দলে দলে যোগ দিলেন মান সিংহের দলে, জানিয়ে দিলেন যশোর দুর্গের খুঁটিনাটি গোপনীয় বিষয় গুলি, আর এই যোগাযোগের সূত্রধর হিসাবে কাজ করলেন কৃতঘ্ন ভবানন্দ। অচিরেই ঘটে গেল যশোর দুর্গের পতন। মান সিংহ আবার সন্ধির প্রস্তাব পাঠালেন। কিন্তু সম্প্রতি পুত্রহারা প্রতাপ, নিকট আত্মীয়স্বজনদের বিশ্বাসঘাতকতায়, মুষ্টিমেয় অনুচরদের নীচ মানসিকতার পরিচয় পেয়ে পাগলের মত হয়ে ছিলেন, এই প্রশ্ন তাঁকে আকুল করে তুলল, যে কার জন্য লড়াই, কাদের জন্যই বা স্বাধীনতার পতাকা ধরার প্রয়াস? সুতরাং পতন নিশ্চিত যেনেও আর সন্ধি করতে রাজী হলেন না প্রতাপ। অবশিষ্ট সৈন্য নিয়ে প্রতাপ ও শঙ্কর ঝাঁপিয়ে পড়লেন মুঘল সেনার উপর, সারা দিন ব্যাপী যুদ্ধে নিদারুণ ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হলেন মানসিংহ। তিনি ভাবতে পারেননি এই পর্যায়ে এসেও প্রতাপের কাছ থেকে এরকম বাধা পাবেন। রাতের অন্ধকারেও যুদ্ধ চলল। কোনভাবেই প্রতাপকে না এঁটে উঠতে পেরে শেষে মান সিংহ গুজব ছড়িয়ে দিলেন প্রতাপের মৃত্যু হয়েছে। প্রতাপের রণক্লান্ত হতাশ সেনারা এই খবরে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। অনেক কষ্টে শঙ্কর তাদের আবার একত্র করেন, কিন্তু ততক্ষণে যা ক্ষতি হবার তা হয়ে গিয়েছে, মান সিংহের বাছাই করা এক বিশেষ সেনাদল প্রতাপকে ঘিরে ফেলেছে, অনমরত রক্তক্ষরণ ও অস্ত্রাঘাতে ক্ষতবিক্ষত প্রতাপ প্রাণপণে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, সঙ্গে মুষ্টিমেয় কিছু সৈনিক, পাশ থেকে যোগ দিলেন শঙ্কর, সাধ্যমত লড়াই করেও তিনি শেষরক্ষা করতে পারলেন না। মুর্ছিত হয়ে প্রতাপ লুটিয়ে পড়লেন মাটিতে। স্বয়ং মান সিংহ নিজের হাতে বন্দী করলেন প্রতাপ ও শঙ্করকে। সম্ভবত ১৬০৬ সনের মাঝামাঝি এক বিষণ্ণ সন্ধ্যা। স্বাধীনতার যে সূর্য বাংলার আকাশে উঠেছিল তা অস্ত গেল। মান সিংহের আদেশে নির্মম ভাবে লুণ্ঠন করা হল যশোর ও ধূমঘাট। অপমানিত ও লাঞ্ছিত হবার ভয়ে প্রতাপের স্ত্রী ব্রহ্মপুত্রে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন। বন্দী প্রতাপাদিত্য ও শঙ্করকে নিয়ে দিল্লী চললেন মানসিংহ। পথ চলাকালীন অবস্থায় বারাণসীতে পৌঁছে অসুস্থ প্রতাপ প্রাণত্যাগ করলেন। শঙ্করের ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে তাঁকে মুক্তি দিলেন মান সিংহ, কিন্তু প্রতিজ্ঞা করিয়ে নিলেন যে ভবিষ্যতে তিনি কখনই মুঘলের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করবেন না। মানসিকভাবে রিক্ত হয়ে ব্যক্তিগত সমস্ত সম্পত্তি দান করে দিয়ে বারাসাতের কাছে এসে বাকি জীবনটা অনাড়ম্বর কাটিয়ে দিলেন শঙ্কর। আর এই নিদারুণ বিশ্বাসঘাতকতার পুরস্কার হিসেবে ভবানন্দ মুঘল সম্রাটের কাছ থেকে পেলেন জমিদারির ফরমান, কচু রায় পেলেন “যশোরজিৎ” উপাধি।

দুঃখের বিষয় বিগত দিনের ঐতিহাসিক উপন্যাসগুলিতে প্রতাপকে অনেক ক্ষেত্রে ভয়ানক নিষ্ঠুর এবং অত্যাচারী হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে, যদিও এ ধরনের বর্ণনার পিছনে কোন ঐতিহাসিক সারবত্তা নেই। বাস্তবিক যে অপরাধের জন্য প্রতাপকে দায়ী করা চলে তা হল পিতৃব্য হত্যা, কিন্তু এর পিছনেও ছিল ভুল বোঝাবুঝি এবং ঘটনাচক্রের পরম্পরা, অনেকে প্রতাপকে স্বীয় জামাতাকে কারারুদ্ধ করার জন্য দোষারোপ করে থাকেন, যদিও সে সময়ে ঠিক কি ঘটেছিল তা আজকের দিনে দাঁড়িয়ে পরিষ্কার করে বলা কঠিন। ব্যক্তিগত ভাবে প্রতাপ একজন শাক্তমতালম্বী হলেও তিনি ছিলেন পরধর্মসহিষ্ণু। শাস্ত্রী মশায়ের বিবরণ অনুযায়ী “ধর্ম বিষয়ে তাঁহার অসীম উদারতা ছিল। তিনি মুসলমান প্রজাদিগের জন্য আপন রাজ্যে স্থানে স্থানে মসজিদ নির্মাণ করাইয়া দেন”।।………………… মৌতলি ও মুকুন্দপুরের নিকট পরবেজপুরে প্রতাপাদিত্যের নির্মিত মসজিদের কারুকার্য্য সকল ক্লেশ করিয়াও দেখিবার উপযুক্ত বিষয়। “পোর্তুগীজ মিশনারিদের প্রতাপ পছন্দ করতেন, তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত ধর্মালোচনায় অংশ নিতেন। ১৬০০ খ্রীষ্টাব্দে প্রতাপের রাজ্যে পিমেণ্টো ফনসেকা নামে এক পোর্তুগীজ মিশনারি আসেন যিনি পরবর্তীকালে তাঁর স্মৃতিচারণে লেখেন” এই হিন্দুরাজা যেরূপ সদাশয়তার সহিত আমার সাথে ব্যবহার করিয়াছেন, এরূপ সদব্যবহার আমি কোন খ্রীষ্টান রাজার নিকট পাইতাম কিনা সন্দেহ।” এই ফনসেকার অনুরোধেই প্রতাপ তাঁর রাজধানীতে একটি ক্রীষ্টান গীর্জা নির্মাণের অনুমতি দেন যা সম্ভবত বঙ্গদেশে প্রথম ( যশোরের জুম্মা মসজিদের উত্তরদিকে ইছামতীর তীরে এই গীর্জা নির্মিত হয়। আগেই বলা হয়েছে প্রতাপ স্বীয় কাব্য প্রতিভায় সম্রাট আকবরকে মুগ্ধ করেন। প্রতাপ ছিলেন প্রকৃত অর্থেই সাহিত্যনুরাগী। বৈষ্ণব পদকর্তা গোবিন্দদাস এবং অনান্য লব্ধপ্রতিষ্ঠ কবিরা তাঁর সভা অলংকৃত করতেন। মাত্র ঊনপঞ্চাশ বছরের জীবনকালে প্রতাপ বাঙালীজীবনকে যেভাবে স্বাধীনতা অর্জনের মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ করেন, যে উন্নত জীবনচর্চার ছাপ ভাবীকালের সামনে রেখে যান তার কোন তুলনা নেই। আজ বাঙালীজাতির কাছে তিনি বিস্মৃতপ্রায়–এ বড় লজ্জার, বেদনার। প্রতাপের রাজধানী ধূমঘাট এখন বাংলাদেশে । ভারত বাংলাদেশের যৌথ প্রচেষ্টায় নতুন করে কি প্রত্নতাত্বিক গবেষণা শুরু হতে পারেনা এক বীর বাঙালীর সৃষ্ট লুপ্ত ইতিহাসকে নব কলেবরে আবিষ্কারের লক্ষ্যে? দৃষ্টান্তের বড় প্রয়োজন আজ আমাদের কাছে। আরো কতকাল আমরা আত্মবিস্মৃত হয়ে থাকব আর গুণ্টার গ্রাসের ভাষায় বলে চলব “জিভ কাটো লজ্জায়”।

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted