ভক্তদের নিরাপত্তায় বাংলাদেশে ইসকন-রামকৃষ্ণ মিশনের কোন ভূমিকা নেই।
<<>><<>><<>><<>><<>><<>><<>><<>
ধর্মের জন্য মানুষ নয় মানুষের জন্যই ধর্ম।হিন্দু ধর্ম মানুষের মঙ্গল জীব ও জগতের কল্যানে নিবেদিত।স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন,
"জীবে প্রেম করে যেই জন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর"।চৈতন্য চরিতামৃতে বলা আছে, "জীবে দয়া নামে রুচি বৈষম্য সেবন।ইহা হইতে ধর্ম আর নাহি সনাতন"।অর্থাৎ ঈশ্বরের প্রিয় কার্য সাধন করে অত্মার কল্যান সাধনই ধর্মের সার কথা।কিন্তু এই কথাগুলো যাদের জন্য তারা যদি নিরাপদে না থাকতে পারেন তাহলে এই ধর্ম কথার মূল্য কি।এই কথাগুলো কি বাংলাদেশে যে সমস্ত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে তারা কি একবারের জন্য ভেবে দেখেছেন? দেখেননি ধর্মীয় কারনে এপর্যন্ত বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর যত অত্যাচার অবিচার নির্যাতন ধর্মান্তকরন সংগঠিত হয়েছে তার প্রতিকারে কোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসেনি।রামকৃষ্ণ মিশন
ইসকন,ভারত সেবাশ্রম সহ প্রায় ১২টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে কাজ করছে।তারা নিজেরা নিরাপদ কিন্তু যাদের জন্য তারা কাজ করছেন ধর্মের অমীয় বানী প্রচার করছেন তারা দিনদিন একটি ক্ষয়িষ্ণু জাতিতে পরিনত হচ্ছে সেদিকে তাদের কোন খেয়াল নেই।এই ছোট্ট কান্ডজ্ঞানের কথাটা দেশের দিব্যজ্ঞান সম্পন্ন ধর্মীয় গুরু,সাধু-সন্ত মহারাজ কারো মাথায় ঢুকছে না।যোগী সাধক ভক্ত বৈষ্ণব সকলকে মনে রাখতে হবে জপ করুন সাধনা করুন কীর্তন করে কেঁদে বুক ভাসিয়ে দিন আপত্তি নেই।সর্বাগ্রে মনে রাখতে হবে হিন্দু সমাজ হিন্দু জাতি না থাকলে কিংবা হিন্দু সংখ্যা কমে গেলে জপতপ সব বৃথা হয়ে যাবে।সব তত্ত্বজ্ঞান মূল্যহীন হয়ে পড়বে।
ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সম্পর্কে তার শিষ্যদের দাবি,তিনি পুরুষোত্তম পূর্নব্রক্ষ্ম।তিনি শিষ্যদের বলতেন ধর্ম সবই সমান।কিন্তু পাকিস্তান হবার আগেই তিনি সৎসঙ্গের মূল আশ্রম পাবনা থেকে ভারতের দেওঘরে নিয়ে এসেছিলেন।অর্থাৎ ব্রক্ষ্মশক্তিও হিন্দুদের রক্ষা করতে পারেনি।কারন হিন্দুর সংখ্যা কমে গেলে পূর্ন ব্রক্ষ্মেরও মর্যাদা থাকেনা।
বাংলাদেশে আরো একজন খ্যাতনামা গুরু ছিলেন বালক ব্রক্ষ্মচারী।জন্ম ঢাকা জেলার মেদিনীমন্ডল গ্রামে।কিন্তু তার সিদ্ধাই কোন কাজে আসেনি। তাকেও পালাতে হয়েছিল যেখানে হিন্দু বেশি সেখানে।কোন গুরুর ঔদার্য পান্ডিত্য বাগ্মিতা ব্রক্ষ্মত্ব সিদ্ধাই কোন কিছুই কাজে আসবে না যদি ভক্ত না থাকে।ভক্তের অধীন ভগবান আর ভক্ত বিনা সব অসাড়।
প্রানের আধার যেমন শরীর তেমনি হিন্দু ধর্মের আধার হচ্ছে হিন্দু জাতি হিন্দু সমাজ।সংগঠিত হিন্দু সমাজ না থাকলে তেত্রিশ কোটি দেবদেবী হাজার হাজার ধর্মগুরু পন্ডিত সব নিস্ফলা।
হিন্দু সমাজ সংগঠিত না থাকলে শুধু তার ধর্মই লাঞ্চিত হয়না তার জীবন সম্পত্তি কিছুই নিরাপদ থাকেনা।গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু বলেছেন,"ষোল নাম বত্রিশ অক্ষর"এ যুগের মহামন্ত্র পাগলের মতো নাম-গানে মাতোয়ারা এবং সঙ্ঘ শক্তি কলৌযুগে।কলিযুগে সঙ্ঘ শক্তি ছাড়া বাঁচা যাবেনা।সে কথা আমরা ভুলতে বসেছি।রামকৃষ্ণ মিশনের সন্যাসীদের কাছে দরিদ্ররা সারা বছর উপেক্ষিত শুধু বন্যা দুর্যোগে তারা হয় নারায়ন।এখন আবার তারা মুসলিমদের রোজার সময় ইফতার নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।কিন্তু বিবেকানন্দ কিন্তু বলে গিয়েছেন সমাজকে সংগঠিত করা দরকার।জাঁত বাঁচলে আমরা সবাই বাঁচব।
মানুষের ধর্ম কি কতগুলো বিশ্বাস কতগুলো আচার কতগুলো অনুষ্ঠান মিলে মানুষের ধর্ম? ধর্ম আবার আপৎকালে ধর্মীয় বিধানের নিয়মকানুন লঙ্ঘন করারও বিধান রয়েছে।মিথ্যা বলে যদি একজন বিপদগ্রস্ত নিরপরাধ শরনাগত মানুষের প্রান বাঁচানো যায় সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে অস্ত্র ধরারও বিধান ধর্মেই রয়েছে।কৌরব-পান্ডব যুদ্ধে বীর অভিমন্যুর প্রান বিসর্জন দিতে হয়েছিল।কিন্তু তার সৎসাহস ও বীরত্বের খ্যাতি স্বর্নাক্ষরে লিখা রয়েছে মহাভারতে।আত্মরক্ষার অধিকার নিয়ে বাংলাদেশের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে না আসলে এক সময় তাদেরও পালাতে হবে।এই সত্যটি যত তাড়াতাড়ি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো বুঝবে ততই মঙ্গল।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................