বাংলাদের কমরেডরা দলে দলে হজ করে এসেও বাবুনাগরীর মন পেলো না! পার্টি অফিসে জায়নামাজ, নামাজের ঘর রেখেও হেফাজত ইসলাম যখন কমিউনিস্টদের জিভ টেনে ছিড়ে ফেলতে চায় তখন যদি আমি একটু হেসে ফেলি তাহলে কি আমার বাম বন্ধুরা খুব বেশি রাগ করবে?
আমি বরাবর ইরানের বামপন্থিদের উদাহরণ দেই। খোমিনিকে ইরানী কমিউনিস্টদের সমর্থন ও আঁতাতের পরিণতি হয়েছিলো কমিউনিস্টদের লাশে ইরান ভরে গিয়েছিলো। শুধু ইরানেই নয়, ইসলামিক খেলাফত সব দেশের প্রগতিশীল মুক্ত উদার মতবাদের মানুষদের সর্ব প্রথম খতম করে। বাগদাদে মুতাযিলাদের খতম করা হয়েছিলো। ইমাম গাজ্জালি হেফাজত ইসলামের মত খলিফাদের হুকুম হুশিয়ার ধমক পরামর্শ দিয়ে বাগদাদকে অন্ধকারচ্ছন্ন করে তুলেছিলো।
এই কমিউনিস্টরা নাস্তিকদের বিরুদ্ধে ইসলাম বিদ্বেষ, মুসলিমফোবিয়ার অভিযোগ আনে। খুব শীঘ্রই তারা বুঝতে পারবে ‘ইসলাম বিদ্বেষ’ কি জিনিস! তালেবান আল কায়দা আমেরিকার সৃষ্টি না মাদ্রাসার সৃষ্টি সেটা বাবুনাগরির দৌড়ানি না খেলে বামেদের শিক্ষা হবে না!
আমরা এখনো বিএনপি-জামাতের ভয়ে সব রকম অনিয়ম অবিচার অনাচারের মাঝে মুখ বন্ধ করে রাখতে চাই। এটা যেন একটা ত্যাগ স্বীকার। যেন এই দুনীর্তি সন্ত্রাস আর বাক স্বাধীনতার গলায় দড়িকেও সহে নিতে হবে কারণ তা না হলে বিএনপি-জামাত ফের দেশে ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশকে ‘বাংলাস্থান’ করে ফেলবে। অথচ ফেইসবুকেই দেখলাম আওয়ামী লীগের জন্য নিস্বার্থ নিরলসভাবে খেটে যাওয়া একজন মানুষকে হেফাজতের বাবুনাগরীকে সমালোচনা করায় ক্ষমা চেয়ে মুচলেকা দিতে হয়েছে যে তিনি আর কখনোই এমনটা করবেন না!
বাবুনাগরি একই দিনে বামপন্থিদের লাগাম টেনে ধরতে আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, নতুবা পরিণতি ভালো হবে না। বাবুনাগরী কি এ দেশের প্রধান বিরোধী দলের নেতা? নাকি বাংলাদেশের খোমিনি? ‘হেফাজত ইসলাম’ বাংলাদেশে তাদের অবস্থাটা কি সেটা সরকারকে পরিস্কার করতে হবে। বাবুনাগরী আহমদ শফির স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। তার পর আবার কেউ একজন আসবেন। এটা বাংলাদেশে কি খোমিনির মত কোন সর্বচ্চো ধর্মীয় পদ? নাকি হেফাজত ইসলামকে প্রধান বিরোধী দল করা হয়েছে? এদেশে কে কিভাবে কথা বলবে, লেখকরা কে কিভাবে লিখবে, টিভি সিনেমাতে কি দেখানো যাবে যাবে না- এগুলো ঠিক করে দেয়ার হেফাজত ইসলাম কে?
সারাদেশে ইসলাম অবমাননার অভিযোগে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজনকে গ্রেফতার, তাদের বাড়িঘরে হামলা ভাংচুরের প্রতিবাদে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের মানবন্ধন, প্রতিবাদ মিছিল বাংলাদেশে একটা সমিকরণ এনে দিবে বলে আমার বিশ্বাস। আমার ধারণা এই প্রতিবাদগুলোকে আওয়ামী বুদ্ধিজীবীদের বুকের গহীনে বসবাস করা সাবেক মুসলিম লীগকে বের করে আনবে। ইতপূর্বে আমরা মুনতাসির মামুনকে একবার দেখেছিলাম। উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর সম্ভাবনাই বেশি। হেফাজতকে রাগিয়ে দিয়ে ঐক্য পরিষদই পরিবেশ নষ্ট করেছে! বিজেপিকে আবার ক্ষমতায় আনার জন্যই তারা মুসলমানদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে একটা বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে! জয় শ্রীরাম শ্লোগান দিয়ে তারা স্পষ্টত সাম্প্রদায়িকতার প্রচার করেছে…। আওয়ামী এক্টিভিস্ট, বুদ্ধিজীবী কলামিস্টরা এগুলো বলা শুরু করলে একটুও অবাক হবেন না কিন্তু!
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................