বাংলাদেশ নিয়ে যারা ফ্যান্টাসিতে আছেন তাদের দুটো তথ্য জানাই। আফ্রিকার মুফতি শায়খ মুহাম্মদ ইউসুফ ২০০২ সালে নাইজেরিয়াতে একটি মাদ্রাসা চালু করেন। এই মাদ্রাসার ছাত্রদের নিয়েই তিনি বোকো হারাম নামের জঙ্গি সংগঠনের জন্ম দেন। আফ্রিকার বহু এলাকা এই বোকো হারামের দখলে যেখানে তারা ইসলামী খিলাফত কায়েম করেছে। বোকো হারামের আসল নাম হচ্ছে ’আতু আহলিস সুন্নাহ লিদ-দা’ওয়াতি ওয়াল জিহাদ’। আফ্রিকার খ্রিস্টানসহ বিভিন্ন ধর্ম ও মুসলমানদের জন্য ত্রাস হয়ে উঠা বোকো হারাম একদিন আফ্রিকায় এতখানি প্রভাব বিস্তার করতে পারবে সেটা ২০০২ সালের আগে কাউকে বললে সে আপনাকে পাগল বলে ঠাওড়াতো!
মোল্লা ওমর আফগানিস্থানের দারুল উলুম হাক্কানি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে পাকিস্তানের কুয়েটা মাদ্রাসায় শিক্ষাকতা শুরু করেন। ওমরের লেখাপড়া ও শিক্ষাকতা করা পাকিস্তানের সেই মাদ্রাসাকে এখন বিশ্ববাসী ‘জিহাদ ইউনিভার্সিটি’ হিসেবে চেনে। কারণ এই মাদ্রাসা থেকে রেকর্ড সংখ্যক ছাত্র বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। মোল্লা ওমর পাকিস্তান থেকে ফিরে আফগানিস্তানে আরো একটি মাদ্রাসা চালু করে। তার এই মাদ্রাসার ছাত্ররা (আরবীতে ছাত্র মানে তালেবান) পরবর্তীতে ইসলামী খিলাফতের লক্ষ্যে ‘তালেবান’ গঠন করে গোটা আফানিস্থান দখল করে নেয়। পশ্চিমা সমর্থন পুষ্ট তখনকার আফগান প্রধান নজিবুল্লাহকে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে চড়িয়ে তালেবানরা উল্লাস করে হত্যা করে। সেই ছবি ও ভিডিও সারা বিশ্ব তাকিয়ে তাকিয়ে দেখলেও কেউ কিচ্ছু করেনি। অথচ ১৯৯৬ সালের আগে গোটা বিশ্ব আপনাকে নিয়ে হাসাহাসি করত যদি আপনি বলতেন যে একটা মাদ্রাসার ছাত্ররা গোটা একটা দেশ দখল করে নিতে পারে।
কাজেই ওহে ফ্যান্টাসি প্রিয় বাঙালী, যে দেশে বাংলাদেশের স্থপতির প্রতিকৃতিকে বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দেয়ার মৌলবাদী হুংকারের পরও সরকার মুখে আঙ্গুল দিয়ে বসে থাকে, ইসলামিকদের ভয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ এডিট করে প্রচার করে সেদেশ নিয়ে আপনাদের আশাবাদ কি অজ্ঞতা কিংবা অন্ধ সেজে প্রলয়কে অস্বীকার করা নয়?
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................