ইরানেও ছিল আর্য সভ্যতা


 ইরানেও ছিল আর্য সভ্যতা!!!!!!

হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি তথ্য ও হিন্দু বিলুপ্তির ইতিহাস; পর্ব ১

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি মানে সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি, প্রীতিভাব, সদ্ভাব। হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বলতে মোটামোটি ১০০০ সাল থেকে ২০০০ সাল সময় কালকে বুঝায়। ঐতিহাসিকগণ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও পন্ডিতগণ কথায় কথায় এই হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বক্তব্য তুলে ধরতে পছন্দ করেন। কিন্তু সে সম্প্রীতির প্রকৃত তথ্য কেউ জানে না অথবা জানলেও গোপন করেন।
 

৭১১ খ্রীষ্টাব্দে ভারতে মুসলমান রাজত্বকাল সুচনা হলেও ৬২৯ খ্রীষ্টাব্দের পূর্বেই আরবের সঙ্গে ব্যবসা বাণিজ্যের কারনে হযরত মুহাম্মদের জীবতকালেই ভারতে মুসলমানদের আগমন ঘটে। ভারতের কেরালার রাজা চারামান পেরুমল এর আনকূল্যে ৬২৯ খ্রীষ্টাব্দে ভারত উপমহাদেশের প্রথম মসজিদ নির্মাণ করা হয়। যার কেবলা জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদের দিকে। কারন তখনো মুসলমানেরা কাবাকে তাদের কেবলা হিসেবে চিহ্নিত করে নি। প্রথম দিকে হযরত মুহাম্মদের নেতৃত্বাধীন মুসলমানেরা আল আকসার দিকে মুখ করেই নামাজ পড়তেন। 
পরে হিজরী ২ সালে কিবলা পরিবর্তন সম্পর্কে কোরানে আয়াত নাজিল হলে কাবার দিকে মুখ করে মুসলমানেরা নামাজ পড়া শুরু করে। জেরুজালেমের দিকে রুকু করা মসজিদ পৃথিবীতে সম্ভবতঃ একটাই যা ভারতে এখনও আছে। 

আরব থেকে মুর্তিপূজা ও পূজারীদের উৎখাতের পর মুসলমানরা ইরান দখল করে। সমস্ত ইরান ছিল আর্য সভ্যতার লীলাভূমি। মুসলমানরা ৬৫১ খ্রীষ্টাব্দেই ইরান দখল সম্পন্ন করে। অতপর, সমস্ত দেব মন্দির ধ্বংস করে, সমস্ত লোকদেরকে ইসলামে দীক্ষিত হতে বাধ্য করে। খুব সামান্য সংখ্যক লোক পালিয়ে গিয়ে রক্ষা পেয়েছিল। 
এ সময় শেষ আর্য সম্রাট আপ্তেশ্বর ইরান থেকে পালিয়ে খোরাসানে যান। যা অবশিষ্ট ছিল খ্রীষ্টীয় নবম শতাব্দীর মধ্যভাগে খলিফা আল-মুতারক্কিল (৮৪৭-৮৬১) এর দ্বারা অগ্নি উপাসক আর্যরা চরমভাবে নির্যাতিত হন। অনেকে ইরানের পূর্বদিকে পার্বত্য কোহিস্পানে পালিয়ে গিয়ে আত্মরক্ষা করেন। অনেকে আবার সাগর পাড়ি দিয়ে ভারতে আশ্রয় পান। বাদ বাঁকি কুল কিনারা না পেয়ে ইসলাম গ্রহন করতে বাধ্য হয় (পার্বতী চরন চট্টোপাধ্যায় - পারস্য সাহিত্য পরিক্রমা, পৃষ্টা ২)। 

আলাউদ্দিন রচিত সিকান্দার নামায় আমরা দেখি, "বাবলদেশ (ব্যবিলন-ইরাক) দখল করে সেখানেও অগ্নি উপাসনা, মন্দির ছাড়-খার করে সেখানে দ্বীন-ই-ইসলাম জারী করলেন সিকান্দার নবী। 

কাজেই বল প্রয়োগে বিধর্মীদের স্ব ধর্মে দীক্ষিত করা ছিল তার পবিত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য। সিকান্দার কোন দেশ আক্রমণ করার পূর্বে ছদ্মবেশে সৈন্য পাঠিয়ে সে দেশের খাদ্য, বস্ত্র, স্বর্ণ চড়া দামে ক্রয় করিয়ে আনতেন। তারপর দুর্ভিক্ষপীড়িত দরিদ্র দেশ সহজে জয় করতেন। সিকান্দারএত আদেশে সে রাজ্যের সবাই "মুসলমানী দ্বীন পুজে রুমীর নিয়মে.... এরপর গিলান, খোরাসান, নিশাপুর, প্রভৃতি দেশ জয় করে এবং অগ্নি উপাসক নিষিদ্ধ করে হির্বাদে গেলেন, সেখানেও দ্বীন-ই-ইসলাম জারী করলেন" (পৃষ্টা ১২-১৩)। চলবে..

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted