হিন্দু জাতির সর্বযুগে সবকিছুই ছিল, ছিল না শুধু কাণ্ডজ্ঞান। শুধুমাত্র কাণ্ডজ্ঞান না থাকার ফলেই- হিন্দুরা পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে দরিদ্র ও অনুন্নত ধর্মীয় গোষ্ঠী।
কেবলমাত্র কাণ্ডজ্ঞান না থাকার ফলেই, বর্ণ সৃষ্টি করে- এক জাতিকে অহেতুক সহস্রাধিক টুকরায় বিভক্ত করে ফেলা হয়েছে ― যার ফলে হিন্দু সমাজে সৃষ্টি হয়েছে অমোচনীয় ভেদ-বিদ্বেষ। ভারতে বর্ণ-ভিত্তিক সংরক্ষণ ব্যবস্থা বলবৎ করার ফলে, হিন্দু জাতির মধ্যে ফের কোনদিন ঐক্য স্থাপিত হবে কিনা, সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। আত্মঘাতী অনৈক্য ও অদূরদর্শীতার কারণে, শতভাগ হিন্দু-অধ্যুসিত বড় বড় রাষ্ট্র থেকে হিন্দুরা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। বহুধা বিভক্ত হিন্দুজাতির কিছু অসন্তুষ্ট গোষ্ঠীকে হাত করে, শত্রুপক্ষ ভারতের শাসন ক্ষমতা যদি ছিনিয়ে নেয়- তাহলে, অদূর ভবিষ্যতে হিন্দুজাতির বিলুপ্তি অবধারিত।
কেবলমাত্র কাণ্ডজ্ঞান না থাকার ফলেই, বর্ণ সৃষ্টি করে- এক জাতিকে অহেতুক সহস্রাধিক টুকরায় বিভক্ত করে ফেলা হয়েছে ― যার ফলে হিন্দু সমাজে সৃষ্টি হয়েছে অমোচনীয় ভেদ-বিদ্বেষ। ভারতে বর্ণ-ভিত্তিক সংরক্ষণ ব্যবস্থা বলবৎ করার ফলে, হিন্দু জাতির মধ্যে ফের কোনদিন ঐক্য স্থাপিত হবে কিনা, সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। আত্মঘাতী অনৈক্য ও অদূরদর্শীতার কারণে, শতভাগ হিন্দু-অধ্যুসিত বড় বড় রাষ্ট্র থেকে হিন্দুরা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। বহুধা বিভক্ত হিন্দুজাতির কিছু অসন্তুষ্ট গোষ্ঠীকে হাত করে, শত্রুপক্ষ ভারতের শাসন ক্ষমতা যদি ছিনিয়ে নেয়- তাহলে, অদূর ভবিষ্যতে হিন্দুজাতির বিলুপ্তি অবধারিত।
আদিতে হিন্দু জাতির মধ্যে কোন বিভক্তি ছিল না, কোন ভেদ-বিদ্বেষ ছিল না; সবাই ব্রাহ্মণ ছিল। লোভী শাসকরা পরিবার-কেন্দ্রিক শাসন কায়েম করতে গিয়ে, নিজেদের ক্ষত্রিয় ঘোষণা করে, অবতার-তত্ত্ব নিয়ে এলো। অবতারগণ একচ্ছত্র ক্ষত্রিয় আধিপত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে – পরিবারতান্ত্রিক ক্ষত্রিয় শাসন অক্ষুন্ন রাখতে, পেশা অনুযায়ী বংশানুক্রমিক বর্ণ সৃষ্টি করে - হিন্দুজাতিকে প্রথমেই চার টুকরো করে ফেললেন। যা ছিল- হিন্দুজাতিকে বিভক্ত ও দুর্বল করে দিয়ে, সহজে শাসন-শোষণ করার অপকৌশল।
অবতারগণ তথাকথিত ধর্মযুদ্ধের নামে- শূদ্র, ব্রাহ্মণ ও অবাধ্য ক্ষত্রিয়দের হত্যার মাধ্যমে, স্বজাতি ধবংস করেছেন। পক্ষান্তরে আব্রাহামিক পয়গম্বরগণ, ধর্ম প্রতিষ্ঠার জন্য বিজাতি ধ্বংস করে, জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করেছেন। এজন্যই তারা বাড়বাড়ন্ত, আর আমরা ক্ষয়িষ্ণু। এই আহাম্মক জাতি সেটা উপলব্ধি করতে পারছে না, জাতীয় ঐক্যের সামান্যতম প্রচেষ্টা চালাচ্ছে না ― এরা টিউব লাইটের আলোর মধ্যে হেরিকেন জ্বালিয়ে বসে আছে।
শূদ্র, ব্রাহ্মণ ও বৈশ্য একত্রিত হয়ে, ক্ষত্রিয় রাজশক্তির বিরুদ্ধে মরণাঘাত করলো। প্রতিটি গৃহযুদ্ধ নিয়ে এলো নতুন নতুন বিভক্তি, সৃষ্টি হতে লাগলো নতুন নতুন জাতপাত, বিভাজন। পরাজিত পক্ষকে অস্পৃশ্য ঘোষণা করে, সমাজচ্যুত করা হলো। হিন্দু জাতির ঐতিহাসিক কাণ্ডজ্ঞানহীনতা ডেকে আনল- হাজার বছরের বিদেশি শাসনের মানবেতর গোলামী।
হিন্দুদের দশজন শীর্ষ ধনী যদি আন্তরিক হয়, যদি তারা বিল গেটস-এর মতো মানবিক হয়, তাহলে হিন্দুদের মধ্যে আর দুঃস্থ-দরিদ্র থাকতো না। বেশি নয়, মাত্র একশত শীর্ষ ধনীর শুভবুদ্ধি- সমগ্র হিন্দুজাতির ভাগ্য বদলে দিতে পারে। ঐ যে বললাম, কাণ্ডজ্ঞানের অভাব! হিন্দু ধনীরা চিন্তা করেনা- ভারতের নিয়ন্ত্রণ যদি শত্রুপক্ষের হাতে চলে যায় এবং ভারত ভেঙে ইয়ামেন সিরিয়া লিবিয়ার মতো খণ্ড-বিখণ্ড ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়; তাহলে যে লাটে উঠবে তাদের ব্যবসা বাণিজ্য, চুলোয় যাবে সনাতন ধর্ম; হিন্দুরা পালানোর জায়গা খুঁজে পাবে না।
হিন্দুদের মধ্যে যে দাতা নেই, তা নয়; তবে তারা কাণ্ডজ্ঞানহীনতার প্রভাবে সর্বধর্ম সমন্বয়বাদী। এরা সাহায্য সহযোগিতার ক্ষেত্রে, হিন্দুদের চেয়ে বিধর্মীদের বেশি প্রাধান্য দেয়। যেমন দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা। রণদা বাবুরা বিধর্মীদের সেবায়, নিজেদের উজাড় করে দিচ্ছেন। হিন্দুর অর্থে পরিপুষ্ট হয়ে বিধর্মীরা, রণদা বাবুদের সপরিবারে হত্যা করেছে; দানবীর বাবুগণের মেয়েদের টেনে-হিঁচড়ে ঘর থেকে বের করে নিয়ে - বিয়ে করেছে, ধর্মান্তরিত করেছে।
(ঐতিহাসিক সত্য তুলে ধরা হয়েছে, কাউকে আঘাত করা উদ্দেশ্য নয়)
কৃত্তিবাস ওঝা
২০/১২/২০২০খ্রিঃ
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................