আব্রাহামিকরা তাদের আয়ের একটি নির্দিষ্ট অংশ, দুঃস্থ-দরিদ্র স্বজাতির কল্যাণে দান করে। যে কারণে আব্রাহামিকদের মধ্যে গড়ে উঠেছে সুদৃঢ় স্বজাতি-সংহতি ও ভাতৃত্ববোধ।
এজন্য তারা শক্তিশালী জাতি গঠন করতে পেরেছে - যার মাধ্যমে তারা গড়ে তুলেছে শতাধিক শক্তিশালী সমৃদ্ধ উন্নত রাষ্ট্র। শুধু তা-ই নয়, আব্রাহামিকদের সেবা ও প্রচারকার্যে আকৃষ্ট হয়ে অন্য ধর্মের মানুষ, তাদের সমাজে প্রবেশ করছে। যে কারণে তাদের জনসংখ্যা বাড়ছে, রাষ্ট্রের সংখ্যা বাড়ছে।
আর আমাদের জাতির কথা কি বলব! একজন হি*ন্দুর যদি শক্তিমান ভাই থাকে, তাহলে তার শত্রু খুঁজতে বাইরে যেতে হবে না; ঘরের মধ্যেই তার সবচেয়ে বড় শত্রু। যারা নিজের ভাইকে সহ্য করতে পারে না, তারা জাতি গঠন করবে কিভাবে! যেতে যেতে বহু রাষ্ট্র হি*ন্দুদের হাতছাড়া হয়ে গেছে। সব হারিয়ে সবেধন নীলমণি ভারত রাষ্ট্রটি শুধু আছে; সেই ভারতেও হি*ন্দু জনসংখ্যা হার যেভাবে কমছে - হি*ন্দু জাতির সর্বশেষ আশ্রয়স্থল ভারত রাষ্ট্রটির নিয়ন্ত্রণ প্রতিপক্ষের হাতে চলে যেতে খুব বেশি সময় লাগবে না। হি*ন্দুরা যদি ভারত রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ হারায়, সেক্ষেত্রে বিলুপ্তির প্রহর গোনা ছাড়া, তাদের সামনে আর কোন পথ খোলা থাকবে না।
হি*ন্দুর হাতে যখন অর্থ আসে, সে একটি জাঁকজমকপূর্ণ মন্দির নির্মাণ করে। কিছু দিন পরে দেখা যায় - মন্দিরটি বিধর্মী কর্তৃক বেদখল হয়ে গেছে এবং মন্দিরটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। কেন মন্দিরগুলো বেদখল হয়ে যায়? কিংবা সেগুলো ভেঙে ফেলা হয়? এর একটাই কারণ- সংশ্লিষ্ট এলাকায় হিন্দু জনসংখ্যা কমে যাওয়া।
আপনি মন্দির নির্মাণ করছেন। করুন। আমি নিষেধ করছি না। কিন্তু মন্দিরের বাহ্যিক চাকচিক্য কমিয়ে, ব্যয়-সংকোচ করুন। প্রতিমা পূজা ও অন্যান্য পালা-পার্বণে অপচয় না করে, সেই টাকা দিয়ে দুঃস্থ-দরিদ্র হি*ন্দুদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করুন। যাতে তারা অভাবের তাড়নায় ধর্মান্তরিত না হয়। আপনার এলাকায় যদি হি*ন্দুরা টিকে থাকতে পারে, তাহলেই কেবল আপনার মন্দিরটি টিকে থাকবে,আপনি টিকে থাকবেন; এবং হি*ন্দুজাতি টিকে থাকতে পারবে।
কৃত্তিবাস ওঝা
০৩/০১/২০২১খ্রিঃ
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................