যে গরু দুধ দেয় তার লাথি খাওয়া উচিত।

যে গরু দুধ দেয় তার লাথি খাওয়া উচিত। 
🐂🐂🐂🐂🐂🐂🐂🐂🐂🐂🐂🐂

পঃবঙ্গের সংখ্যালঘু ভোট তোষামোদি রাজনৈতিক দলের বিশ্বস্ততার উপর নির্ভরশীল।অতীতে যে রাজনৈতিক দল যত অনৈতিক সুযোগ সুবিধা দিয়েছে সে তত সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছে।সেই ক্ষেত্রে বামেরা রাজত্ব করেছে ৩৪বছর আর তৃনমূল পাড় করছে সাড়ে ৯বছর অতি সাফল্যের সাথে।এই অন্ধ সমর্থনের পিছনে সার্বিকভাবে মুসলিম সম্প্রদায়ের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কোন প্রেক্ষাপট ছিল না।তাদের কেবলই ভোটের রাজনীতির গুটি হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে।এতে মুসলিমরা সংখ্যায় বেড়েছে কিন্তু কোয়ালিটিতে বাড়েনি।তাদের ধারনা এই সংখ্যাবৃদ্ধি তাদের একদিন রাজ্যের ক্ষমতা দখলে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে দেশভাগের সাফল্য পঃবঙ্গের ভাগ্যে জুটেনি।কারন সে হারে পঃবঙ্গের মুসলিমরা দেশত্যাগ করেনি।এর পিছনে যে একটি সুনির্দিষ্ট নীলনক্সা ছিল তা পঃবঙ্গের নির্বোধ হিন্দুরা ধরতেই পারেনি।
ফলে দেশভাগের পর পঃবঙ্গে এলাকা ভিত্তিক মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে সাফল্য এসেছে।এই সাফল্যের পিছনে ছিল অরক্ষিত সীমান্ত,অনুপ্রবেশ, ধর্মের ভিত্তিতে একাধিপত্য এবং একটি রাজনৈতিক সমিকরন।অতীতে যারা ক্ষমতায় ছিল মূলত তাদের মদতেই পঃবঙ্গে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে।পঃবঙ্গে এখন মুসলিম জনসংখ্যা ৩০% যারমধ্যে কোন বিভক্তি নেই আর বাকি ৭০% দ্বিধা বিভক্ত তাই পঃবঙ্গে ক্ষমতার সিড়ি এখন একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষ হাতে।তাইতো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছেন,  "আমি মুসলমানদের তোষণ করি।ইফতারে একশত বার যাব।যে গরু দুধ দেয় তার লাথি খাওয়া উচিত"।

এই অবস্থাটা একদিনে গড়ে উঠেনি।অতীতে যারা ক্ষমতায় ছিলেন এবং কিছু দেশপ্রেমিক ব্যুরোক্র্যাট সর্বপ্রথম অনুপ্রবেশ এবং অরক্ষিত সীমান্ত নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন।কিন্তু ক্ষমতার মোহে নির্বোধ হিন্দুরা এতটাই মত্ত ছিলেন যে দেশের সুরক্ষা নিজেদের অস্তিত্বের কথা তারা প্রায় ভুলেই গিয়েছিলেন যার প্রায়শ্চিত্ত আজ পঃবঙ্গের সাধারণ জনগনকে ভোগ করতে হচ্ছে।

টিবি রাজেশ্বর নামে একজন গোয়েন্দা বিশেষজ্ঞ যিনি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা আইবির ডিরেক্টর ছিলেন।অবসরের পর তিনি পঃবঙ্গের রাজ্যপাল নিযুক্ত হয়েছিলেন।১৯৯৬ সনে হিন্দুস্থান টাইমস পত্রিকায় এক নিবন্ধে তিনি বলেছিলেন পঃবঙ্গে অনুপ্রবেশকারীদের চিন্থিত করে ভোটার লিস্ট থেকে নাম বাদ দিতে না পারলে ভারতএকদিন একটি তৃতীয় ইসলামিক রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে উঠতে পারে।তিনি আরএসএসের লোক ছিলেন না।তিনি ছিলেন কংগ্রেস ঘরানার একজন স্নেহধন্য।তাকে তোষামোদ পরাজিত করতে পারেনি।তিনি অনুপ্রবেশকারীদের চিন্থিত করে ভিন্ন একটি পরিচয় পত্র এবং যারা প্রকৃত ভারতীয় তাদের আলাদা একটি পরিচয় পত্র দেয়ার কথা বলেছিলেন যা অসমে দেয়া হয়েছিল।তখনই  উত্তর ২৪পরগনা জেলার মোট জনসংখ্যার ৫৬%ছিল মুসলিম,নদীয়ায়
ছিল ৪৮%,মালদায় ছিল ৫৪%, মুর্শিদাবাদে ছিল ৫২%,ইসলামপুর উত্তর দিনাজপুরে ছিল ৬০% মুসলিম।এই জনসংখ্যার ভিত্তিতে সেই সময় মুসলিমরা বিধান সভার ৫২টি সিট নিয়ন্ত্রণ করত এবং ১০০টি সিটে প্রভাব খাটাতে পারত।সে তুলনায় এখন পরিস্থিতি কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে তা সহজেই অনুমেয়।

১৯৯০সনে কমিউনিস্ট পার্টির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত সংসদে ১কোটি বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী রয়েছে বলে বলেছিলেন।১৯৯২ সনের ১১অক্টোবর গনশক্তি কাগজে জ্যোতিবসু অনুপ্রবেশ নিয়ে এক প্রবন্ধে লিখেছিলেন ১৯৭১ সাল থেকে মুসলমানরাও ভারতে আসতে শুরু করেছে।১৯৭৭থেকে ১৯৯২পর্যন্ত বিএসএফ ২,৩৫,৫২৯জন বাংলাদেশীকে সনাক্ত করে ফিরিয়ে দিয়েছে।এরমধ্যে ৬৮,৪৭২জন ছিল হিন্দু আর ১কোটি ৬৪হাজার ১৩২জন ছিল মুসলমান।একই সময়ে মোবাই টাস্কফোর্স ২১৬,৯৮৫জন বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীকে বিতাড়িত করেছে।এরমধ্যে ৫৬,৩৪২
জন হিন্দু আর ১,৬৯,৭৯৫ জন ছিল মুসলমান।২০০৪
সালে কংগ্রেসের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রকাশ জয়সোয়াল সংসদে
১কোটি ২৫লাখ অনুপ্রবেশকারীর কথা  বলেছিলেন।২০০৫সনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রবেশকারীদের দিয়ে সিপিএম ভোট করাচ্ছে বলে অভিযোগ করে স্পিকারের টেবিলে কাগজ ছুড়ে মেরেছিলেন।আজীবনের কমিউনিস্ট ঐতিহাসিক অমলেন্দু দে ১৯৯৩সনে অনুপ্রবেশ নিয়ে একটি বই লিখেছিলেন।সেখানে তিনি বলেছিলেন,পঃবঙ্গের সীমান্ত জেলাগুলোতে যেভাবে বাংলাদেশীদের অনুপ্রবেশ ঘটছে তাতে অদূরভবিষ্যতে ভারতের সেকুলার মডেলটি ভেঙ্গে যেতে পারে।এসব তথ্য মনগড়া নয় সংসদে রেকর্ড রয়েছে।কিন্তু কোন রাজনৈতিক দল বাম-কংগ্রেস-তৃনমূল কেউ অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করে না।কারন এই অনুপ্রবেশকারীরাই তাদের ক্ষমতার উৎস।আর এর সুযোগ নিচ্ছে সংখ্যালঘুরা।কারন তারা জানে তাদের ক্ষমতা কতটুকু।তাই তাদের বিরুদ্ধে কোনো সরকার এপর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি।অনুপ্রবেশ পঃবঙ্গের ভূপ্রকৃতি বদলে দিয়েছে।ধীরেধীরে সংখ্যালঘুরা তাদের মূল উদ্দেশ্য ধর্মীয় একাধিপত্য প্রতিষ্ঠার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

হিন্দু যদি তাদের অস্তিত্ব ধর্মীয় ভাবাবেগ অক্ষুণ্ণ রাখতে চায় তাহলে এখুনি প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে নইলে অনেক দেরি হয়ে যাবে।হয় প্রত্যাঘাত নয়তো নির্ঘাত নির্বাসন।

Via Narayan Debnath

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted