ইসলামী চিকিৎসা পদ্ধতি
**********************
সর্বশক্তিমান ও সর্বজ্ঞানী মহান স্রষ্টা প্রেরিত চিকিৎসা পদ্ধতিটি সর্বশ্রেষ্ঠই হবে । স্রষ্টা প্রবর্তিত চিকিৎসা পদ্ধতিকে বর্জন করে ইহুদী-নাছারা তথা ভিন্নধর্মীদের প্রবর্তিত চিকিৎসা পদ্ধতির শরণাপন্ন হওয়া স্রষ্টার প্রতি শ্রোদ্ধা হীনতা ও দুর্বল ঈমানের পরিচয় বহন করে । ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য যারা নিজেদের জান , মাল কুরবান করতে পারে অথচ আল্লাহর চিকিৎসা পদ্ধতির প্রতি ধর্মান্ধদের এই অনীহার কারণেই সম্ভবত আল্লাহ বেজার হয়ে মাঝে মাঝে তাদের উপর রোগ বালা-মুসিবত ও গজব নাজিল করেন ।
কথা কন - ঠিক কিনা ?
যাহোক ইসলামের চিকিৎসা পদ্ধতিটি নিম্নে বর্ণিত হল।
১ - কালোজিরা হল মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের ঔষধ । ( সহি বুখারী - ৫৬৮৭)
আমাদের পেয়ারা নবী ও খলিফাদের অনেক বিবি থাকা সত্ত্বেও প্রচুর দাসী ছিল ।
এখনকার মুসলিম পুরুষরা একটি বউ কন্ট্রোল করতে পারে না । কারণ তারা ভুলে গেছে কালোজিরা লিঙ্গ মোটাতাজা করা সহ মৃত্যু ব্যতিত সকল রোগের ঔষধ ।
২ -আমাদের নবী মাথা ব্যাথা হলে সিঙ্গা লাগাতেন । (বুখারী- ৫৭০২)
৩- তিনি পেটের পীড়ায় মধু পান করতে বলেছেন । (বুখারী-৫৭০২)
এক ব্যক্তি পেটের পীড়ায় মধু পান করার ফলে পেটের অসুখ আরও বেড়ে গিয়েছিল । তখন নবী বললেন, আল্লাহ সত্য বলেছেন কিন্তু তার পেট তাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করতে চায় ।
( বুখারী ইফ: ৫৭১৬)
আমাদের দেশের কিছু কিছু কবিরাজ মধু চিকিৎসা দিয়ে থাকেন ।
৪ - পিঠ,কোমর হাটুতে ব্যথা হলে লোহা গরম করে সেক দিতে বলেছেন । (বুখারী ৫৩১০)
দয়াল নবী মানুষের কষ্ট সহ্য করতে না পেরে বলেছিলেন , আগুনের সেক দিলে যদি অনেক কষ্ট অনুভব হয়, সে ক্ষেত্রে মধু পান করলেও চলবে । ( বুখারী ৫৭০২)
৫ - আবহাওয়া প্রতিকূল হলে এবং স্বাস্থ্যহানি ঘটলে হারানো স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারে তিনি উটের দুধের সাথে উটের মূত্র মিশ্রিত করে পান করতে বলেছিলেন । ( সহি বুখারী ইফ:-৫২৮৪)
৬ -শুধুমাত্র উটের প্রস্রাব হল একটি উৎকৃষ্ট দাওয়াই ,যার দ্বারা বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা করা যায় । উটের প্রসাব পবিত্র,তাই ইহা শরীরে লাগলেও উজু নষ্ট হয় না । ( বুখারী ইফ;-৫৩৬৫)
সৌদি আরবের ধার্মিক ব্যক্তিবর্গ উটের মূত্র সম্পর্কে অবহিত বলেই তারা ব্যাপক হারে উটের মূত্র পান করে । একইভাবে ভারতের ধার্মিকরাও গরুর মূত্র পান করে থাকে ।
৭ - পানিতে কোন মাছি পড়লে ,সেই পানি ফেলে না দিয়ে বরং তাকে পানির মধ্যে ডুবিয়ে দিলে উক্ত পানি জীবাণুমুক্ত হয়ে যায় । কারণ মাছির এক পাখায় রয়েছে জীবাণু কিন্তূ অন্য পাখায় রয়েছে তার প্রতিষেধক ।
( বুখারী ইফ: -৩০৮৬)
৮ - আমাদের দেহ যখন ক্ষতিকর জীবাণু, ভাইরাস ,ব্যাকটেরিয়া ও নানাবিধ দূষিত পদার্থ দ্বারা আক্রান্ত হয়, তখন মস্তিষ্কের Thermo Regulatory Center এর নির্দেশে এদেরকে পুড়িয়ে মারার জন্য দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করা হয় । যাকে বলা হয় জর । কিন্তু ইসলামের মতে দৈহিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির উৎপত্তিস্থল মস্তিষ্ক নয় বরং দোযখ।
" জ্বর হলো দোযখের আগুনের উত্তাপ" ।
( বুখারী তাওহীদ - ৫৭২৩ )
৯ - শরীরের রক্তপাত বন্ধ করার ঔষধ হলো ছাই । (বুখারী ৫৩১১)
মাথায় উকুন হলে চুল ফেলে দিতে হবে এবং তারপর তিন দিন রোজা রাখতে বলা হয়েছে । (বুখারী ৫২৯৮)
১০- আলাহ জিব্বা ফূলে গেলে তার চিকিৎসা হলো মুখ হা করে চন্দন কাঠের ধুয়া লাগানো । ( বুখারী ইফা:৫৩০৬ )
১১ - বিষাক্ত দংশন ও কান ব্যথার জন্য ঝাড়ফুঁক হল একটি উত্তম চিকিৎসা । ( বুখারী ইফ: ৫৩১০ )
১২ - কোমরে ব্যথার সহ অন্যান্য ব্যথার চিকিৎসা হলো লোহা গরম করে সেক দেওয়া । ( বুখারী ইফ:৫৩১০)
হাটু ,কোমর ,পিঠ ইত্যাদি স্থানে ব্যথা হলে লোহা গরম করে সেই জায়গায় দাগ বসিয়ে দিলেই ব্যথা দূর হয়ে যাবে।
১৩ - বিভিন্ন রোগের জন্য রয়েছে বিভিন্ন দোয়া । যেমন, সূরা নাস ও ফালাক পরে দুই হাতের উপর ফু দিতে হবে । তারপর উক্ত হস্তদ্বয়ের সাহায্যে মুখমন্ডল বুলিয়ে নিলে বিভিন্ন রোগ নিরাময় হয়ে যায়। ( বুখারীইফ: ৫৩২৪)
১৪ - উদরাময় ও প্লেগ রোগে মৃত ব্যক্তি শহীদের মর্যাদা পাবে । ( বুখারী ইফা -৫৩২২)
১৫ - নবী বলেছিলেন , রোগে কোন সংক্রমন নাই । শুভ- অশুভ বলে কিছু নেই । অশুভ কেবল নারী, ঘোড়া ও ঘর । ( বুখারী - ৫৩৫৯)
করোনাভাইরাস সহ নানাবিদ ভাইরাস , ব্যাকটেরিয়া, প্যারাসাইট ইত্যাদির আক্রমণে কেবলমাত্র দোয়া কালাম পড়ে ফুঁ দিলেই তো হয়ে যায় । পৃথিবীজুড়ে হাজার হাজার কোটি টাকার ঔষধ,যন্ত্রপাতি ও চিকিৎসকদের কি প্রয়োজন রয়েছে ?
১৬ - মস্তিষ্ক ও অন্ডকোষ নয় বরং পুরুষের টাখনূ হল হরমোন তৈরির একটি অঙ্গ । কাপড়ের ঘর্ষনে এই অঙ্গটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় । ফলে সেক্স পাওয়ার কমে যায় । তাই টাখনূর উপরে কাপড় পড়তে বলা হইয়াছে ।
১৭ - যে ব্যাক্তি প্রতিদিন সকালে সাতটি আজওয়া খুরমা খাবে,ঐদিন রাত পর্যন্ত বিষ এবং যাদূ তার কোন ক্ষতি করবে না । ( বুখারী -৫৩৫৬)
বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীতে প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি ও উচ্চ পদস্থ ব্যক্তিবর্গের নিরাপত্তার জন্য প্রতিদিন প্রচুর টাকা ব্যয় করা হয় । তাছাড়া এদের অর্ধেক খাবার নিরাপত্তারক্ষীরাই খেয়ে ফেলে । এই সমস্ত ব্যক্তিদের সকালে সাতটি করে খেজুর খেয়ে নিলেই তো হয়ে যায় ।
কোন মুমিন ,হুজুর ও ইসলামিক স্কলারকে দেখলাম না মাথা ব্যাথায় সিঙ্গা লাগাতে ,হাটূ কোমর ব্যথায় গরম লোহার ছেক নিতে , সংক্রামক রোগে কেবলমাত্র দোয়া পড়ে ফু দিতে, বিষের ক্রিয়া নস্যাৎ করতে খেজুর খেতে ,উটের মূত্র পান করে ও কেবলমাত্র কালোজিরা খেয়ে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা গ্রহণ করা সহ বিভিন্ন ইসলামী চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করতে । যে নবীকে সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব মনে করা হয় তার প্রবর্তিত চিকিৎসা পদ্ধতিকে অনুন্নত মনে করা তার প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শনের ইঙ্গিত বহন করে। তারা মনে করে ,ডায়াবেটিস ব্লাডপ্রেসার ,ক্যান্সার, টিউমারসহ শত শত রোগের চিকিৎসা ইসলামী পদ্ধতিতে সম্ভব নয় । তাই অসুস্থ হলেই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যায় ।
যে জীবন বিধান সর্বকালের ও সকল দেশের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ মনে করা হয়, তার চিকিৎসা পদ্ধতি সর্বশ্রেষ্ঠ কেন হবে না ?
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................