ভারতের অন্যতম বেসামরিক সম্মাননা পদ্মশ্রী পেয়েছেন বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সন্জীদা খাতুন ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, বীরপ্রতীক। এর আগেও পদ্মশ্রী বাংলাদেশীরা পেয়েছেন। বাংলাদেশের সাহিত্যিকদের জন্যও ভারতীয় পদকগুলো উন্মুক্ত। ভারতের বেসরকারি আনন্দ পুরস্কার বাংলাদেশী সাহিত্যিকদের বিবেচনা করা হয়। এত কথার অর্থ হচ্ছে, বাংলাদেশের একুশে পদকটি কেন সংকীর্ণ স্বার্থ চিন্তায় কেবল বাংলাদেশীদের দেয়া হবে? বাংলাদেশ তাহলে কোন মুখে বাংলা ভাষার কেন্দ্র বলে নিজেকে জাহির করে? পশ্চিমবঙ্গ ভারতের একটি প্রদেশ। তারপরও তারা বাংলা ভাষা সংস্কৃতি সাহিত্যের অভিভাবকত্ব করে চলেছে। বাংলাদেশী অভিনেত্রী জয়া আহসান ভারতের একাধিক পুরস্কার লাভ করেছে। আর বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের পুরস্কার একবার একজন টেকনিশিয়ানকে দেয়ার পর যখন জানা গেলো যৌথ প্রয়োজনার ছবিতে উনি ভারতীয় আর্টিস্ট তখন পদক ফিরিয়ে নেয়া হয়। খালি নিবো দিবো না তা কি হয়? মুখে বলব আমরাই বাংলা ভাষা সাহিত্যের কেন্দ্র আর আচরণ করব ছোটলোকের মত তাহলে কেন্দ্র হওয়ার হবে?
ভারতের বই বাংলাদেশের মেলায় বেচতে দিবে না তাতে বাংলাদেশের বই চলবে না এটা না হয় বুঝলাম। কিন্তু পদ্মশ্রীর মত একুশে পদককে কেন সীমানা ছাড়িয়ে বাংলা ভাষা ও বাঙলীর জন্য করা হলো না? এমনকি বাঙালী ছাড়াও এই অঞ্চলে যত জাতি ও ভাষা আছে তাদের জন্যও বাংলাদেশ কিছু করেনি। তার বিবেচনায় খালি "বাংলাদেশী মুসলমান বাঙালী"!
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................