নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় হি*ন্দুরা, দীর্ঘকাল সংখ্যালঘু বৌদ্ধ ও জৈন শাসক দ্বারা শাসিত হয়েছে; দখলদার আরব সম্প্রসারণবাদী তথা তুর্কি-উজবেকদের গোলামী করতে গিয়ে সমস্ত মানবিক-সত্তা বিসর্জন দিয়ে, আত্মবলিদানের ধর্মনিরপেক্ষতায় আত্মতুষ্টি লাভ করেছে। সুবিশাল হি*ন্দু সাম্রাজ্যের অধিকাংশ হারিয়ে, ব্রিটিশদের কৃপায় এখন যে ভারত রাষ্ট্রটি অবশিষ্ট আছে; সেখানে যে ধর্মনিরপেক্ষ শাসন ব্যবস্থা বলবৎ ― সেই ধর্মনিরপেক্ষতা হচ্ছে- আরব সম্প্রসারণবাদীদের ক্ষমতা দখল করার একটি সিঁড়ি মাত্র।
কট্টর হিন্দুত্ববাদী নামে পরিচিত ভারতের একটি সুবিশাল সংগঠন, হি*ন্দুদের কাছ থেকে ডোনেশন নিয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা করছে; অথচ এই সংগঠনটিকে নিয়ে সমগ্র বিশ্বে গেল গেল রব - যে হি*ন্দুরা ভারতের সবকিছু নিয়ে যাচ্ছে। ভারতের গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার হচ্ছে এমন একটি মেশিন, যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ হি*ন্দুরা গাধার খাটুনি খেটে সংখ্যালঘুদের পরিপুষ্ট করার ভিটামিন উৎপাদন করছে। অথচ যে হি*ন্দুদের দিয়ে অমানবিক পরিশ্রম করানো হচ্ছে, সেই হি*ন্দুরা ভুগছে ভয়াবহ পুষ্টিহীনতায়। ফলশ্রুতিতে ভারতে হি*ন্দুর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পাচ্ছে। একজন ক্যান্সার রোগাক্রান্ত মানুষকে- যদি রোগ গোপন রাখতে কোট-প্যান্ট-টাই পরিয়ে রেখে, চিকিৎসা করানো না হয়; তাহলে সেই রোগীর পরিণতি যা হয়; হি*ন্দুজাতির পরিণতিও তা-ই হতে বাধ্য।
হি*ন্দুর প্রধান সমস্যা তাদের বিষয়-বৈরাগ্যবাদী আধ্যাত্মিক দর্শন ও উদ্ভট ধর্ম-বিশ্বাস। হি*ন্দুদের ধর্ম গ্রন্থের নাম 'বেদ'। বেদ শব্দের অর্থ 'জ্ঞান'। অবতার ও ধর্মগুরুদের সর্বগ্রাসী প্রভাবে, হি*ন্দুরা জ্ঞান থেকে বহু যুগ আগেই সম্পূর্ণ বিচ্যুত। প্রচলিত ধর্ম-বিশ্বাস, হি*ন্দুজাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারেনি বরং বিভক্ত করেছে। হি*ন্দুরা বর্ণভেদ তথা অগণিত জাতপাতে বিভক্ত। অর্ধেক হি*ন্দু বিড়াল কুকুর স্পর্শ করে, ইতর প্রাণী পূজা করে, অনেকে গোমূত্র পান করে ― অথচ তারা বাকি অর্ধেক স্বজাতিকে স্পর্শ করে না। তার উপরে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ব্যবস্থা- বর্ণভিত্তিক সংরক্ষণ প্রথা চালু করে, হি*ন্দুজাতিকে স্থায়ীভাবে বিভক্ত করে ফেলেছে।
প্রচলিত ধর্ম-বিশ্বাসী হি*ন্দুরা, প্রচণ্ড নারী-বিদ্বেষী। আগে হি*ন্দুরা বিধবা নারীদের জীবন্ত অবস্থায় চিতায় পুড়িয়ে হত্যা করত, এখন কাল্পনিক স্বর্গ-দর্শনের লোভে তারা কন্যাশিশু-ভ্রূণ হত্যা করছে। যে নারীরা সন্তান জন্ম দিয়ে সৃষ্টি টিকিয়ে রেখেছে, ধর্ম-বিশ্বাসী হি*ন্দু কর্তৃক, সেই নারীদের পৃথিবীর আলো-বাতাস দেখতে না দেওয়া - ভারতবর্ষে হি*ন্দু সংখ্যা হ্রাসের অন্যতম প্রধান কারণ।
আমার জন্ম অস্পৃশ্য সমাজে হয়নি, তবুও আমি অস্পৃশ্যতার ঘোরতর বিরোধী। একজন আধুনিক-মনস্ক মানুষ হিসেবে আমি নারী-পুরুষ সমানাধিকারে বিশ্বাস করি। প্রচলিত যে ধর্ম-বিশ্বাস এবং ধর্মগুরু নামক পূর্ণব্রহ্ম ভগবান ও অবতাররা - স্বজাতিকে ঘৃণা করতে শিখায়, সেই ধর্মের মুখে আমি থুতু ছিটাই। যে ধর্ম-বিশ্বাস নারীর সম্পত্তির অধিকার কেড়ে নিতে- নারীদের হত্যা করতে অনুপ্রাণিত করে, সেই ধর্মের মুখে আমি লাথি মারি।
কৃত্তিবাস ওঝা
৩০/০১/২০২১খ্রিঃ
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................