ভারতীয় উপমহাদেশে : ফাতরামি ছাইড়া মানুষ হোন
-------------------------------------------------------------
ভারতীয় উপমহাদেশে বাঙালি মডারেট মুসলমান এপার বাংলায় গেরুয়া শক্তির উত্থানের আশঙ্কায় রাতে ঘুমোতে পারছেনা।
এদিকে এপার বাংলার মিডিয়া, সাম্প্রতিককালে এপার বাংলায় ঘটে যাওয়া একের পর এক ধর্মীয় হিংসার ঘটনার সত্য সুন্দরভাবে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে পাবলিকের কাছে পেশ করেছে, যাতে যে কেউ পড়লে, এইগুলো বিক্ষিপ্ত ঘটনার চালচিত্র ভেসে উঠবে ! ১৯৪০ এর থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত চলে আসা ওপার বাংলার এথেনিক ক্লিনসিং নিয়ে এই মডারেট বাঙালি মুসলমান মুখে অধিকাংশ সময় কুলুপ এঁটে থাকে ! এরা রাজাকারের ফাঁসি চায়, কিন্তু ইসলামের সাথে রাজাকারদের কর্মকান্ডের যোগ খুঁজে পায়না। যারা এই নিয়ে সরব হয়ে লেখালিখি করে মডারেটদের চোখে তারা হলো উগ্র নাস্তিক ! রাতের পর রাত আঁধারে নিঃশব্দে যখন সংখ্যালঘু নিপীড়িত হয়ে জন্মভূমি ত্যাগ করে তখন এই মডারেট মুসলমান মুখে ধর্মের অন্ডকোষ পুরে বসে থাকে, অথচ এপার বাংলায় গেরুয়া শক্তির উত্থানের খোয়াবনামায় তাদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়।
আরে ভাইটি, বোনটি, এপার বাংলায় ধর্মীয় সংহতির একটা কালচার আছে, নোয়াখালীর মত কালো কাপড়ে মোড়ানো অতীত নেই, রামজন্মভূমি আর বাবরি নিয়ে যখন সারা ভারত উত্তাল ছিল, তখন এই এপার বাংলায় ধর্মীয় সংঘাত হয়নি ! ১৯৪৬ এর গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং এর যে ঝলক এপার বাংলা দেখেছিল, সেটাও আপনাদের কেড়ে আঙুলের ছোঁয়ায় খাঁড়া হয়ে যাওয়া ধর্মের নুনুভূতির জন্য।
এপারে রাজনীতির ধর্মীয়করণের যে অলীক প্রেতাত্মার চিন্তায় আপনাদের ঘুম আসছেনা, সেটা শিকেয় তুলে রাখুন ! ছোট থেকে আজ পর্যন্ত বড় হয়ে, এখন ইদানিং রামনবমীর মিছিলে আজ অস্ত্র হাতে মানুষ দেখি, আপনাদের একতরফা ইসলামী ইতরামির জন্য ! হ্যা, একমাত্র একতরফা ঘটে যাওয়া ধর্মীয় ইতরামির জন্য !!
শাঁক দিয়ে মাছ আর কতদিন ঢাকবেন ? এবারে ফাতরামি ছাইড়া মানুষ হোন।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................