ইসলামের ইতিহাস
পরম্পরা অনুসারে ১৩৯৪ খৃষ্টাব্দে সিকান্দার কাস্মীরের গদি পেলেন । তিনি প্রচন্ড মূর্তি বিদ্ধেষী ছিলেন । তিনি হিন্দুদের সামনে তিনটি বিকল্প পথ রাখলেন – ধর্মান্তর, দেশত্যাগ অথবা মৃত্যু । যারা ইসলাম গ্রহন করল না অথচ দেশত্যাগও করল না এমন কতজন যজ্ঞোপবীতধারী কিংবা পন্ডিত হত্যা করলেন তার হিসাব প্রসঙ্গে লরেন্স বলেছেন– সংখ্যা দিয়ে গোনা সম্ভব নয়, তাই শিরচ্ছেদ করার পর সেই হিন্দুদের যজ্ঞোপবীত একত্রিত করে ওজন করা হল । দেখা গেলো সেগুলোর ওজন ৭ মন হয়েছে ।
হিন্দু শাস্রে বিদ্যাভ্যাসের জন্য কয়েক পুরুষ ধরে যত্ন করে রাখা অগনীত গ্রন্থাবলী এই সুলতান কাস্মীরের ‘ডাল’ সরোবরে ডুবিয়ে নষ্ট করলেন ।
১৭৫০ থেকে ১৮১৯ পর্যন্ত কাষ্মীর পাঠান আধিপত্যে ছিল । পাঠানদের রাজ্য শাষনকালে এ রকম কোন কোন ক্ষেত্রে এর চেয়েও ভীষণ নিষ্ঠুর কার্যক্রম চালু করা হয়েছিলো ।
আজাদ খান নামক এক পাঠান প্রশাসকের হিংস্র বাতিক ছিল ব্রাম্মনদের জোড়ায় জোড়ায় ঘাসের বস্তায় ভরে ডাল সরোবরে ডুবিয়ে মারা । তিনি জিজিয়া করও পুনঃ চালু করলেন । মীর হজর নামক আর একজন পাঠান প্রশাসক আজাদ খানের পদ্ধতির একটু পরিবর্তন করলেন । ঘাসের বস্তার বদলে তিনি চামড়ায় বস্তা ব্যবহার করতে লাগলেন ।
তারপর এলেন মুহাম্মদ খান । ইনি বেশি অত্যাচার করতেন মেয়েদের উপর । তার হাত থেকে নিজেদের ঘরের মেয়েদের রক্ষা করতে হিন্দুরা মেয়েদের সৌন্দর্য নষ্ট করার জন্য তাদের মাথা মুড়িয়ে ফেলেতেন এবং অনেক সময় নাকও কেটে ফেলতেন ।
দিনের পর দিন এই সব ভয়ঙ্কর অত্যাচার কাশ্মীরবাসী সহ্য করতে থাকলেন এই আশায় যে কাশ্মীরে হিন্দু আধিপত্য আসবে । অনেকে বাধ্য হয়ে মুসলমান হলেন।
এরপর- তিন হাজার হিন্দু মহিলা তহশিল অফিসের মধ্যে অগ্নিকুন্ড রচনা করে তার মধ্য প্রবেশ করলো
“যদি কোনো গবেষক উপরোক্ত তথ্যাবলীর মধ্যে একটিও ভূল বলে প্রমান করতে পারেন, তাহলে আমরা তার কাছে চিরদিনের জন্য কৃতজ্ঞ থাকব।“
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................