অচল পয়সা।
ইসলাম ধর্মের সাথে সনাতন ধর্মের এই খানেই পার্থক্য।ইসলাম ধর্ম অবমাননা করলে শরীরের কোন অংশ কিভাবে কুপিয়ে হত্যা করতে হবে তা কোরানে উল্লেখ রয়েছে।আর সনাতন ধর্ম হল আপনি যেভাবে ইচ্ছে সেভাবেই সনাতন ধর্মের সমালোচনা করতে পারবেন কেউ আপনাকে বাধা দেবে না।আপনি হিন্দু হয়ে ধর্মতলায় দাঁড়িয়ে গরুর মাংস খেতে পারেন, অষ্টমী দিন গরুর মাংস রান্না করে খাওয়ার কথা বলতে পারেন শিবলিঙ্গে কনডম পড়াতে পারেন অথবা টিভির টক শোয়ে বসে অনর্গল হিন্দু ধর্মের গোষ্ঠী উদ্ধার করতে পারেন কেউ আপনাকে বাধা দেবে না।এর নাম সনাতন ধর্ম।এতটা সহনশীলতা অন্যকোন ধর্মে আছে কিনা আমার জানা নেই।তারপরও বলা হচ্ছে সনাতন ধর্ম অসহিষ্ণুতার ধর্ম।
অপর দিকে এরা কেউ ভুলেও ঈদের দিন শূয়রের মাংস রান্না করে খাওয়ার কথা বলে না।জয় শ্রীরাম বলল্লে এদের গায়ে জ্বালা ধরে কিন্তু মাথায় টুপি পড়ে রাস্তায় নেমে যখন আল্লা-হুয়াকবর বলে রেলগাড়িতে আগুন দেয়,রেললাইন তুলে ফেলে,বাসে অগ্নিসংযোগ করে রেল স্টেশন থেকে টাকা লুটপাট করে জনজীবন অচল করে দেয় তখন এদের সম্পর্কে এরা নীরব থাকে।সিদ্দিকুল্লা যখন ভ্যাক্সিনের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখায় তখন এরা প্রতিবাদের ভাষা হারিয়ে ফেলে।কারন এরা বকলমে ইসলামের সমর্থক।এরা নামে হিন্দু জাতে মাতাল তালে ঠিক জিনগতভাবে উম্মতের বংশধর,সব সময় হীনমন্যতায় ভোগা এক অস্পৃশ্যা।চানক্য বলেছিলেন,যেভাবে একটি হিজড়া নিজেকে নারী অপেক্ষা সুন্দরী দেখানোর জন্য অতি শৃঙ্গার করে নিজের শরীরের সঙ্গে ঘোর অপরাধ করে ফেলে তদ্রুপ একজন সংকীর্ণ কুন্ঠিত অজ্ঞানী হিন্দু নিজেকে ধর্মনিরপেক্ষ প্রমাণ করতে গিয়ে নিজের ধর্ম এবং সংস্কৃতির সঙ্গেই অন্যায় করে ফেলে।
সায়নী ঘোষ কবে অভিনেত্রীর মর্যাদা পেল সেটাই জানা হল না।কোন সিনেমায় অভিনয় করে সে খ্যাতি অর্জন করল অথবা সাহিত্যের কোন গল্প বা উপন্যাসে সে অভিনয় করে মানুষের মনে দাগ কেটেছে তার কোন নজির নেই।গতানুগতিক কোন ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করে যখন সে বুঝতে পারল যে এখানে তার কিছু দেয়ার নেই।তখন সে বেছে নিল শরীর প্রদর্শন করে উঠতি যুবকদের মক্ষীরানি হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার।শরীর দেখিয়ে মানুষকে উত্তেজিত করাও একটি শিল্প।তবে সেই শিল্প মানুষিকভাবে অসুস্থ্য বিকৃত মানুষিকতার লোকেদের কাছে জনপ্রিয়।এখন পর্নো শিল্পকে যদি শিল্পের মর্যাদা দিয়ে কলকাতার কিছু ২পয়সার মিডিয়া এদের ডেকে নিয়ে বাঙালি সংস্কৃতি নিয়ে কথা বলতে বলে তাহলে আমি সায়নী ঘোষকে দোষ দেবনা দোষ দেব যারা তাকে ডেকে এনেছে।মানুষের সংস্কৃতি মূল্যবোধ বিশ্বাস এবং অনুশীলন তার নিজের সংস্কৃতির উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠে।সে যদি বিকৃতমনা হয় অপসংস্কৃতিকে সংস্কৃতি মনে করে তাহলে তার কাছ থেকে এরচেয়ে বেশী কিছু আশা করা সমিচিন নয়।সমাজের সদস্য হিসাবে অর্জিত নানা আচরণ যোগ্যতা এবং জ্ঞান বিশ্বাস শিল্পকলা নীতি আদর্শ প্রথা ইত্যাদির এক যৌগিক সমন্বয় হল সংস্কৃতি।সায়নী বা দেবলীনা এসব ব্যাখ্যার কোন একটির ধারেকাছে আসতে পারেনি।অথচ মিডিয়া তাকে ডেকে নিয়ে আসলো সংস্কৃতি নিয়ে কথা বলতে।পঃবঙ্গের সংস্কৃতি জগতে এরচেয়ে দৈণ্যদশা আর কখনো হয়েছে বলে মনে পড়েনা।কিছু মানুষিক বিকারগ্রস্ত মানুষের সম্মতি আদায়ের জন্য পুঁজিবাদী ব্যবসায়ীরা সংস্কৃতিকে ব্যবহার করে সায়নীদের তৈরি করে সমাজে সংস্কৃতির নামে অপসংস্কৃতির বিকাশ ঘটিয়ে সমাজকে অস্থির করে মুনাফা লুটে নিচ্ছে।
বুদ্ধিজীবীদের মহৎ হবার যে আদর্শ তা হচ্ছে ইসলামের মহত্ত্বের কীর্তন করা।হিন্দুদের অহিংসার নামে কাপুরুষ বানাতে সচেষ্ট হওয়া।যেকোনো প্রসঙ্গেই হোক হিন্দু ধর্মের নিন্দা করা কুৎসা করা।এই পথে চললে উপঢৌকন পদবী পুরস্কার আর্থিক সুযোগ সুবিধা ইত্যাদি হয় সহজলভ্য।এতদিন সায়নীদের মতো বুদ্ধিজীবীরাই হিন্দুদের নপুংসক পরমুখাপেক্ষী পরজীবী করে হিন্দু সমাজের যে ক্ষতি করেছে তা ধিক্কার জানানোর ভাষা নেই।এই সমস্ত মিডিয়া সোকল্ড বুদ্ধিজীবীদের প্ররোচনাতেই ভারতের হিন্দুত্ব মুছে যাবার উপক্রম হয়েছিল।
আমি স্বাধীনভাবে ধর্মাচারণ করবো এ আমার অধিকার।তুমি গরু খাও কুত্তা খাও তা নিয়ে কারো মাথাব্যাথা নেই।কিন্তু অন্যের ধর্মানুভুতিতে আঘাত দিয়ে কেন।হিন্দু ধর্ম সহনশীল বলে? অন্য ধর্মাবলম্বী মানুষ আমার ধর্ম মতের প্রতি হবে সহিষ্ণু।তেমনি অন্য ধর্মের মানুষও স্বাধীনভাবে ধর্মাচরণ করবে।
তাদের প্রতি আমিও হবো সহিষ্ণু এ আমার কর্তব্য।কিন্তু দেশভাগের পর থেকে হিন্দুদের একটি বিশেষ শ্রেনী এই আচরণ থেকে ব্রাত্য।কিন্তু সময় বদলেছে সায়নীরা এখনো যদি বুঝতে না পারে তাহলে তাদের সামনে আরও খারাপ সময় অপেক্ষা করছে।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................