জঙ্গিবাদ আর জিহাদ এক না! জঙ্গিবাদ নাকি ইজরাইল তথা ইহুদীরা বানিয়ে ইসলাম ও মুসলমানদের বদনাম করছে। অথচ প্রায়ই শুনি শান্তশিষ্ট বুয়েট চুয়েট মেডিক্যালের ছেলেগুলো হঠাৎ বাড়ি থেকে বেরিয়ে উধাও হয়ে যাচ্ছে। পরে জানা যায় উনারা আইএস, আনসার বাংলা, জেএমবিতে নাম লিখিয়েছেন!
শায়খুল হাদিস মুফতি জসিমউদ্দীন রাহমানী যিনি জঙ্গিবাদের কারণে বর্তমানে জেলে আছেন উনি কি ইজরাইলের এজেন্ট? তার লেখা বই (ইচ্ছে করে নামটা উল্লেখ করলাম না), সেই বই ইচ্ছে করেই শেয়ার দিলাম না যেহেতু বইটি বর্তমানে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ, এই বইটি পড়লে অবশ্যই যে কোন বিশ্বাসী মুসলমান লেখাপড়া ব্যবসাবাণিজ্য ফেলে জঙ্গিদলে নাম লেখাবে অথবা তার ধন সম্পদ জঙ্গিবাদে ইনভেস্ট করবে। ইনভেস্ট কথাটা বললাম কারণ কুরআনে আল্লাহ মুমিনদের সঙ্গে একটা ব্যবসায়ী ডিট করার কথা বলেছেন এই বলে যে, “হে মুমিনগণ! আমি কি তোমাদেরকে এমন এক ব্যবসার কথা বলব যা তোমাদেরকে পীড়াদায়ক আযাব হতে রক্ষা করবে? তোমরা ঈমান আন আল্লাহ ও তার রাসুলের প্রতি এবং জিহাদ কর আল্লাহর পথে নিজেদের ধনসম্পদ এবং জীবন দিয়ে। এটাই তোমাদের জন্য উত্তম; যদি তোমরা বুঝ। তিনি তোমাদের গুনাহ-খাতা মাপ করে দিবেন এবং তোমাদেরকে এমন জান্নাতে প্রবেশ করাবেন যার পাদদেশ দিয়ে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত এবং বসবাসের জন্য অতীব উত্তম বাসস্থান দান করবেন চিরস্থায়ী জান্নাতে, এটাই বিরাট সাফল্য। এবং আরো একটি অনুগ্রহ দিবেন, যা তোমরা পছন্দ কর; আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য এবং নিকটবর্তী বিজয়। (হে রাসুল) মুমিনদেরকে এর সুসংবাদ জানিয়ে দিন (সুরা সফ ১০-১৩)”
কিন্তু একজন মানুষের মধ্যে মানবিকতা, বিবেক ও মনুষ্যত্ব অবশিষ্ট থাকলে আর এই বই পড়লে নির্ঘাৎ সে ইসলাম ত্যাগ করে ফেলবে! কারণ এমন রক্তপাত, মাফিয়া ধর্ম পৃথিবীতে আর দুটি নেই। কিন্তু জসিমউদ্দীন রাহমানি কিন্তু বানিয়ে বানিয়ে এই বই লিখেননি। প্রতিটি বিষয়ে কুরআন ও হাদিস তিনি পাতার পর পাতা তুলে দিয়েছেন তার বইতে। যে বইয়ের ৯৫ ভাগই কুরআন হাদিসের রেফারেন্স আর মাত্র ৫ ভাগ মুফতির ভাষ্য সেই বইয়ের নামই কিন্তু ‘জঙ্গিবাদী বইপত্র’! এ পর্যন্ত যত বই জঙ্গিবাদ প্রচারের অভিযোগে সরকার ব্যান করেছে তা আসলে কুরআন হাদিসের রেফারেন্স। এইসব বইগুলো টেলিভিশন সেলিব্রেটি কাম এমপি একজন সংস্কৃতি ব্যক্তিত্বকে পড়ানো উচিত তারপর তাকে জিজ্ঞেস করা দরকার- এবার বলুন আইএস মানে ইজরাইল স্টেট নাকি ইসলামী স্টেট?
মক্কা বিজয়ের পর ক্ষমা আর প্রেমের যে গপ্প মডারেট (ইসলাম না জাইন্না হুইন্না) মুসলমানরা দাবী করেন তার বিপরীতে জসিমউদ্দিন রাহমানির তার বইতে পাতার পর পাতা ডকুমেন্ট দিয়ে রেখেছেন। সেখান থেকে মাত্র দুটি স্ক্রেণশর্ট দিলাম আপনাদের একটু চেখে দেখার জন্য!
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................