গজনীর সুলতান মাহমুদ : ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামী নারকীয়তার এক ঝলক
-----------------------------------------------------------------------------------------
ইতিহাসের খেরোখাতার পাতা উল্টালে চলে আসে বর্বর হিংস্র লুটেরাদের কথা -সাইরাস,এটিলা দি হুন,আরবী তুর্কি জিহাদীরা, চেংগিজ খান, হুন রাজ মিহিরকুল, রক্ত পিপাসু তৈমুর লং, এমনকি মোঘল সম্রাট আকবরও আছে এই তালিকায় ।
ধর্মের মোড়কে আক্রমন করো, ধ্বংস করো ,লুট করো,ধর্ষণ করো এবং লুটের মাল নিজে রাখো আর উচ্ছিষ্ট যারা লুট করতে সাহায্য করলো তাদের মধ্যে বিলি করো এটাও ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে একটি প্রচলিত কর্মকাণ্ড ! অনেকে আবার বলে থাকেন : রানা মানসিংহের সঙ্গে আকবরের অলিখিত চুক্তিই ছিলো, সে জায়গা দখল করবে- জায়গা সম্রাটের,লুটের মাল মানসিংহের ! এই ইতিহাসের এক ধর্মীয় পিশাচ যে কিনা একটি বিশেষ ধর্মীয় মতকে আশ্রয় করে একই ভূখণ্ড ৩০ বছর ধরে ১৭ বার আক্রমণ করেছে হলো কুখ্যাত ‘গজনীর মাহমুদ’ । তুর্কি দাস ডাইনেষ্টির সুবুক্তিগীনের ছেলে মাহমুদের ধ্বংসলীলা, লুটপাট অত্যাচারের ইতিহাস বিশ্বাস করা এক এক সময়ে কঠিন হয়ে পরে ! ইতিহাস বলছে ‘মাহমুদ’ ১৭ বার ভারত আক্রমন করেছিলো কিন্তু সেই ১৭ বারে কী ছিল তার বিস্তারিত কর্মকাণ্ড, ইতিহাস আমাদের হুবহু জানায় কী ? আসুন একটু অনুসন্ধান করে দেখা যাক :
ধর্মের মোড়কে আক্রমন করো, ধ্বংস করো ,লুট করো,ধর্ষণ করো এবং লুটের মাল নিজে রাখো আর উচ্ছিষ্ট যারা লুট করতে সাহায্য করলো তাদের মধ্যে বিলি করো এটাও ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে একটি প্রচলিত কর্মকাণ্ড ! অনেকে আবার বলে থাকেন : রানা মানসিংহের সঙ্গে আকবরের অলিখিত চুক্তিই ছিলো, সে জায়গা দখল করবে- জায়গা সম্রাটের,লুটের মাল মানসিংহের ! এই ইতিহাসের এক ধর্মীয় পিশাচ যে কিনা একটি বিশেষ ধর্মীয় মতকে আশ্রয় করে একই ভূখণ্ড ৩০ বছর ধরে ১৭ বার আক্রমণ করেছে হলো কুখ্যাত ‘গজনীর মাহমুদ’ । তুর্কি দাস ডাইনেষ্টির সুবুক্তিগীনের ছেলে মাহমুদের ধ্বংসলীলা, লুটপাট অত্যাচারের ইতিহাস বিশ্বাস করা এক এক সময়ে কঠিন হয়ে পরে ! ইতিহাস বলছে ‘মাহমুদ’ ১৭ বার ভারত আক্রমন করেছিলো কিন্তু সেই ১৭ বারে কী ছিল তার বিস্তারিত কর্মকাণ্ড, ইতিহাস আমাদের হুবহু জানায় কী ? আসুন একটু অনুসন্ধান করে দেখা যাক :
মাহমুদের ঠাকুরদা আলাপ্তিগীন ছিলো ‘তুর্কী দাস’,যারা মূলত খলিফাদের দেহ রক্ষী । খলিফারা সিন্ধু বিজয়ের পর আনুমানিক ৩০০ বছর ব্যাস্ত ছিলো ইউরোপে,আফ্রিকাতে সাম্রাজ্য বিস্তার করতে। খলিফাদের সিন্ধু বিজয় করতে মেলা খেসারত দিতে হয়েছিল ! হিন্দু রাজাদের ঠিক কতটা শক্তি সে সম্মন্ধে তারা খোঁজ খবর নিয়ে ভালোই জানতো আর এটাও জানতো যে আলেকজান্ডারের কি পরিনতি হয়েছিলো, তাই খলিফারা সাময়িক অন্যদিকে মনোনিবেশ করেছিল । এই ফাঁকে খলিফার বিজিত দেশ উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তানের ক্রীত দাসদের একজন আলপ্তীগীন খলিফার রাজত্ব আফগানিস্তানের একটি অংশ দখল করে নিলো । আলপ্তীগীনের ছেলে সুবুক্তিগীন পাঞ্জাব,প্রাচীন গান্ধার আর কাশ্মীরের শাহি রাজ জয়পাল এর সাথে টক্কর নিতে গিয়ে ব্যার্থ হয়েছিল। বাবার মৃত্যুর পর মাহমুদ গজনীর সুলতান হয় ৯৯৮ সালে। ৩০০ বছর আগে অপঘাতে মৃত মোহাম্মদ বিন কাসিমের মৃত্যুর বদলা আর বাবার ব্যার্থ অভিযানের প্রতিশোধ নিতে জিহাদি তাণ্ডবের মাধ্যমে খলিফাকে খুশী করতে মাহমুদের শ্যেন দৃষ্টি পরলো ভারতীয় উপমহাদেশে | সে খলিফাকে কথা দিল : যতদিন বাঁচবে, ফি বছর আক্রমণে পুতুল পূজারীদের জীবন অতিষ্ট করে দেবে, তাদের সর্বস্ব লুট করবে, তাদের মন্দির-মুর্তি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেবে,তাদের জমি জায়গার দখল করে ইসলামী খিলাফত কায়েম করবে ! খলিফা দেদার খুশি, যৌন দাসীর অভাব হবে না !
১০০০ সাল থেকে শুরু করে পরবর্তী ৩০ বছরে সে ১৭ বার ভারতে আসে তার কর্মকাণ্ড চালাতে। মাহমুদের মহান ‘জিহাদ’ এর জন্য ইসলামিক ঐতিহাসিকরা তাকে অকুন্ঠ প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছে ! ‘ফতে-নামা’ তে সে 'ধর্ম যুদ্ধ’ র নায়ক । খলিফা ‘আল কাদির বিল্লা’ ব্যাপক খুশি হয়ে তাকে ‘আমিন –উল- মিল্লা’ এবং ‘ইয়ামিন-উদ-দৌলা’ (দক্ষিন হস্ত) উপাধী দেয়। মাহমুদের বংশ “ইয়ামিনি বংশ’ হিসেবে সুখ্যাতি বা কুখ্যাতি পায় !
(চলবে................)
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................