ভারতীয় উপমহাদেশে কি শান্তি !

ভারতীয় উপমহাদেশে কি শান্তি !
-------------------------------------------
অপার শান্তির ধর্ম ইসলাম । উপমহাদেশে শান্তির বাণী প্রচার করেই ইসলামের প্রসার হয়েছে এমনটাই প্রোপাগান্ডা করে থাকেন ইসলামিস্টরা । সাথে সুফীবাদের মধু মাহাত্য জুড়ে দিয়ে ইসলামের গুনগানের ১৬ কলায় পূর্ণ করে থাকে মডারেট, সেকু, মাকুর দল ।
যতই আপনি ইতিহাস ঘেঁটে ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামের প্রসারের সত্য প্রকাশের চেষ্টা করুন না কেন, এই নির্লজ্জ কুপমণ্ডুকের দল কিছুতেই তা মেনে নেবে না । তাই বলে কি ইতিহাসের সত্য লুক্কায়িত থেকেই যাবে ? কখনোই না । ইতিহাসের সত্য তার ডানা মেলবেই , আজ হোক বা কাল । আমি এই লেখাগুলো যখন আপনাদের সামনে তুলে ধরি, আমি নিশ্চিত যে সেকুলারের মুখোশধারী ইসলামিস্ট কুলাঙ্গার, মডারেটরা অন্তরে অন্তরে আমার মুন্ডপাত করে । তাতে আমার কিছু এসে যায় না । আপনারা স্বানন্দে আমাকে হিন্দু নাস্তিক, ধর্মান্ধ, ইসলামোফোবিক যা খুশি ট্যাগ লাগাতে পারেন, আমি সত্য যা পড়ি, যা জানি পড়া থেকে তা প্রকাশ করবোই । এই ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামের শান্তিবর্ষণের এক ঝলক দেখে নি পাঠক :

উপমহাদেশের প্রাচীন ইতিহাসে ইসলামের শান্তিবর্ষণ ➤
#১০১৮ সালে মথুরার মহাওয়ান জেলায় প্রায় ৫০,০০০ হিন্দুকে জলে ডুবিয়ে,তলোয়ারের কোপে হত্যা । প্রায় ১,০০০ মন্দির ধ্বংস।
#১০২৪ সালে গুজরাটের প্রভাস পাটনে প্রায় ৫০,০০০-এর বেশি হিন্দু হত্যা করে গজনীর বর্বর মেহমুদের গুজরাট লুট এবং সোমনাথ মন্দির ধ্বংস ।
# ১১৯৩ খ্রীষ্টাব্দে ও ১১৯৬ খ্রীষ্টাব্দে আজমীর ও গোয়ালিয়রে প্রায় ২ লাখ হিন্দু হত্যা, প্রথমটার নরপশু মাথা মেহমুদ ঘোরী আর নরপশু দ্বিতীয়টার কুতুবউদ্দিন আইবেক ।
# ১১৯৭ খ্ৰীষ্টাব্দে নালন্দাতে বাঙালি মুসলমানের হিরো, কুলাঙ্গার বখতিয়ার খিলজির প্রায় ১০, ০০০ বৌদ্ধ ভিক্ষুক হত্যা ।
# ১২৬৫ খ্ৰীষ্টাব্দে নেওয়াতের প্রায় ১ লক্ষ রাজপুত নিধনযজ্ঞ সম্পন্ন গিয়াসুদ্দিন বলবনের ।
# ১৩২৩ খ্ৰীষ্টাব্দে ১২,০০০ প্রার্থনারত হিন্দুদের জবাই মহম্মদ-বিন-তুঘলকের বর্বর সেনাবাহিনীর ।
# ১৩৫৩ সালে বাংলার ১,৮০,০০০ হিন্দুদের কল্লা ফেলার জন্য ফিরোজ শাহ তুঘলকের তার পশুসম সেনাদের উপহার দান ।
# ১৩৬৬ সালে বাহামনীর মুসলিম সেনাবাহিনী বিজয়নগরের পাশ্ববর্তী জেলাগুলোতে ৫,০০,০০০ হিন্দু জবাই । রায়চূড় দোয়াবেই ৭০,০০০ হিন্দু জবাই হয়েছিল, গর্ভবতী মহিলারাও ব্যাড যায়নি !
# ১৩৯৮-এ নরপশু তৈমুরের কবলে পরে হরিয়ানা । তৈমুরের নিজের ভাষ্যে তার প্রত্যেক সেনা অন্ততঃ ৫০ থেকে ১০০ হিন্দু হত্যা করেছিল । তার ৯০,০০০ নরপশু সেনারা হিসেব মত ভাটনের দুর্গ হানা দিয়ে অসংখ্য হিন্দু হত্যা করে । ওই বছরের ডিসেম্বরে গাজিয়াবাদের লোনিতে প্রায় ১লাখ হিন্দু মহিলা ও শিশুদের বন্দী করে হত্যা করা হয় এই নরপশুর নির্দেশে । ১৩৯৯ খ্ৰীষ্টাব্দে মীরাটে ৩ লাখ হিন্দুর রক্তবন্যা বয়েছিল তৈমুরের সেনাদের হাতে। কারণ ? তৈমুরের সেনারা হিন্দু মহিলাদের ধর্ষণ করতে চাইলে স্থানীয় হিন্দুরা প্রতিবাদ করেছিল, তাই এই হত্যা !
# ১৫২৭ -এর মার্চে উদয়পুরের খানুয়ায় ২ লাখ হিন্দুকে হত্যা করা হয় যার মধ্যে ১ লাখ রাজপুত বীরযোদ্ধা, বাকিরা সিভিলিয়ান । এই হত্যার নায়ক-‘বর্বর বাবর’। এরপর ১৫৬০-এ হয় গরহা-কাটাঙ্গা রাজ্যের ৪৮,০০০ হিন্দু চাষীর গণহত্যা । খলনায়ক আমাদের ‘সেকু’ বুদ্ধিজীবীদের অত্যন্ত প্রিয় আকবর !
# কুলাঙ্গার সম্রাট ঔরঙ্গজেবের শাসনামল (১৬৬৮—১৭০৭) হত্যা হয় রায় ৪৬ লাখ হিন্দু । ইতিহাসের অনেক জায়গায় বর্ণিত আছে বারানসীতে প্রায় ১,৫০,০০০ ব্ৰাহ্মণের নৃশংসভাবে হত্যা করার পর ঔরঙ্গজেব গঙ্গা ঘাট ও হরিদ্বারে হিন্দু ব্ৰাহ্মণের খুলি দিয়ে তৈরি করে এক পাহাড়, যা দেখা যেত ১০ মাইল দূর থেকেও !
# ১৭৪৬-এ লাহোরের কাছে রায় ৭,০০০ শিখ প্রাণ হারিয়েছিল জেহাদীদের হাতে । ১৭৬৩-তে পাঞ্জাবে প্রায় ৩০,০০০ শিখদের মেরে আফগান মুসলিম জেহাদীরা শিখ জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশই নিশ্চিহ্ন করে দেয় ।
# ১৭৬১ সালে পানিপথের যুদ্ধে প্রায় ৭০,০০০ মারাঠী পুরুষ ও ২২,০০০ মারাঠী মহিলা ও শিশুদের দাস বানানো হয়। আফগান মুসলিমরা বড্ড মজা পেয়েছিল এত ‘গণিমতের মাল’ পেয়ে !!

এইভাগে আপনাদের সামনে প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামের শান্তিবর্ষণের এক ঝলক পেশ করলাম । আশা করি পাঠক বুঝতে পেরেছে যে ইসলামের সৈনিকরা ভারতীয় উপমহাদেশে শান্তির মাতাকে অহরাত্র ধর্ষণ করে পেটে একগুচ্ছ শান্তির সন্তান দিয়ে দিয়েছে......

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted