ভারতীয় বামপন্থিদের আব্বাস সিদ্দিকী ভাইজানের সঙ্গে জোট করায় আমি অবাক হইন, আমোদ পেয়েছি সত্য!

ভারতীয় বামপন্থিদের জ্ঞাতার্থে জানানো যাচ্ছে যে ৭১-এ কুখ্যাত রাজাকার যুদ্ধাপরাধী মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর আমৃত্যু কারাদন্ডাদেশ রায় হবার পর পীর মাজারপন্থি হুজুরদের বিবৃতিতে যারা সই করেছিলেন সেখানে ভারতের ফুরফুরা দরবার শরীফের পীরজাদাও আছেন!
সালাফি জিহাদী আলেম সাঈদীর জন্য ’শান্তি উদারপন্থি ইসলামীদের’ এই দরদ কেন? গণিমতের মাল করে হিন্দু নারীদের যে লোকটা রেপ করেছিলো, হিন্দু সম্পত্তি লুট করতে হেন নির্যাতন নেই যা সে করেনি তার জন্য আপনাদের কথিত শান্তিবাদী পীরপন্থি ভাইজানরা প্রতিবাদ করে উঠল কেন? মজাটা হচ্ছে সাঈদী পীর ও মাজারপন্থিদের বিরুদ্ধে ওয়াজে শিরকের অভিযোগ আনত। তবু সাঈদীর বিপদের দিনে পীরজাদারা একজোট হতে ভুল করেনি! নিচে শান্তির পায়রাদের নামের তালিকা পাঠ করার আগে দুটি কথা বলে নেই। ভারতবর্ষে ইসলাম নিয়ে সালাফি হুজুররা আসেননি, এসেছিলেন আপনাদের আব্বাস সিদ্দিকি ভাইজানদের পীর বাবারাই। এই পীর বাবারাই বাদশাহদের বারবার স্থানীয় হিন্দুদের ধর্মান্তকরণের জন্য চাপ দিতো। এরাই রায় দিয়েছিলো মুশরিকদের জিজিয়া দিয়ে রেহাই পাবার কোন পথ নেই। হয় ইসলাম গ্রহণ করতে হবে নয়ত মৃত্যুই এদের নিয়তি। এরাই দরগায় বসে গরু খেয়ে হাড় ছুড়ে মারত হিন্দু মন্দিরে। এরাই ফাঁদে ফেলে ইসলাম গ্রহণের নানা ছুঁতা খুঁজত। কিন্তু এদেরও অন্যান্য তড়িকাপন্থিদের সঙ্গে লড়াই ছিলো। এরা শিয়াদের ঘৃণা করত। ভারতবর্ষেও শিয়া সুফি সু্ন্নি সুফিদের মধ্যে বিরোধ তাই চলে এসেছিল। সালাফিরা যেমন নারী স্বাধীনতা বিরোধী, খিলাফতে বিশ্বাসী, কাফের মুশরিকদের ইসলামী দেশে তৃতীয় শ্রেণী হিসেবে বিশ্বাস করে এই পীর বাবাদের বিশ্বাস তার বাইরে নয়। মুসলিম পীরের হিন্দু মুরিদ দেখে যারা অসাম্প্রদায়িক ধর্মীয় সহিষ্ণুতা দেখতে পেয়ে গদগদ হয়ে পড়েন তারা এটার পিছনের ব্যবসাটা দেখতে পান না। ভারতে সুফিরা সবাইকে হিন্দু থেকে মুসলমান করার জন্য জোর দিলে শাসকরা বেঁকে বসে। কারণ তাহলে জিজিয়া করটা কে দিবে? হিন্দু কাফের থাকলেই তো জিজিয়া আসবে। তাই হিন্দুদের বাঁচিয়ে রেখে হিন্দুই রাখতে হবে। পীরের কাছেও নজরানাই আসল কথা। ওরসে হিন্দুরা আসুক না! তাদের জন্য খাসির তবারক হবে! তাদের টাকা দিয়েই হবে! যাই হোক, ভারতীয় হিন্দু লিবারাল এক চিজ! অধ্যাপক শ্যামাপ্রসাদ বসুর লেখা ‘ওহাবী থেকে খিলাফত: একটি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী অধ্যায়’ বই পড়লে আপনার মনে হবে খিলাফত ও জিজিয়া কর এমন মিষ্টি একটা জিনিস যে সব কাফের মুশরিকদের উচিত সেই খিলাফতের জন্য সংগ্রাম করা! কাজেই ভারতীয় বামপন্থিদের আব্বাস সিদ্দিকী ভাইজানের সঙ্গে জোট করায় আমি অবাক হইন, আমোদ পেয়েছি সত্য!

সাঈদীর মুক্তি দাবীর বিবৃতিকে যেসব দরবার শরীফের পীর সাহেব ও তাদের শাহাজাদারা সই করেন-
আধ্যাত্মিক গুরু পীরে কামেল আল্লামা মোস্তাক ফয়েজী, মাওলানা নেসার আহমদ খলীফা ফুরফুরা দরবার শরীফ, মাওলানা শাহ আরিফ বিল্লাহ পীর সাহেব শর্ষীনা, শাহ কামরুল হাসান সাঈদ আনসারী পীর সাহেব টেকেরহাট, শাহ এমদাদুল্লাহ পীর সাহেব, খাজা শাহ ওয়ালিউল্লাহ পীর সাহেব গাছতলা, মাওলানা আবু সালেহ পীর সাহেব বরগুনা, মাওলানা আঃ মোমেন নাছেরী পীর সাহেব মিরেরসরাই দরবার শরীফ, মাওলানা আবু ছাইদ পীর সাহেব ঠাকুরগাঁও, মাওলানা তৈয়বুর রহমান পীর সাহেব হদুয়া দরবার শরীফ, মাওলানা শহিদূল্লাহ পীর সাহেব রহমতপুর বাগেরহাট, মাওলানা মো. নুরুদ্দিন পীর সাহেব শিংগুলা, মাওলানা মো. মহিব্বুল্লাহ পীর সাহেব, মাওলানা মো. ছগির মাহমুদ পীর সাহেব মাদারীপুর, মাওলানা মুজাম্মেল হক ও মাওলানা সিরাজুল কবির পীর সাহেব রাজবাড়ী, মাওলানা আব্দুল হালিম পীর সাহেব কুমিল্লা, মাওলানা গোলাম সরোয়ার পীর সাহেব আড়াইবাড়ি বি-বাড়িয়া, মাওলানা সাদেকুর রহমান পীর সাহেব বরগুনা, মাওলানা মঈনউদ্দীন পীর সাহেব তিলিপ লাঙ্গলকোর্ট কুমিল্লা, মাওলানা সিরাজুল কবির পীর সাহেব রাজবাড়ী, মাওলানা আবু সাঈদ আনসারী পীর সাহেব, মাওলানা মনিরুল ইসলাম নাটোর, আল্লামা সাঈদুর রহমান পীর সাহেব ঘাঘট, শাইখ আবদুল গফুর পীর সাহেব পাঁচবিবি, পীরে ত্বরীকত আল্লামা আবদুল কাদের পীর সাহেব সোনাগাজী, আল্লামা ফয়জুল্লাহ পীর সাহেব পীর কাসেমপুর, শাইখ মুসা বিন কাশিম পীর সাহেব বগুড়া, আল্লামা শহীদুল বারী পীর সাবেহ বরগুনা দরবার শরীফ, রূহানী পীর আল্লামা সাখায়াত হোসেন জামালপুর, মাওলানা নেছারুল হক পীর সাহেব রাজবাড়ী দরবার শরীফ, আল্লামা সোলাইমান নদভী পীর সাহেব গোপালগঞ্জ, আল্লাম পীরে কামেল মুফতি মোহাম্মাদ ইয়াহিয়া, পীরে কামেল শায়খুল হাদিস মাওলানা আবুল বারাকাত লক্ষ্মীপুর দরবার শরীফ প্রমুখ।

#সুষুপ্ত_পাঠক

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted