শ্রীলংকায় বোরখা নিষিদ্ধ হলো। সঙ্গে শতাধিক মাদ্রাসা বন্ধ। দুদিন আগেই সুইজারল্যান্ডে বোরখা হিজাব নিষিদ্ধের আইন পাশ হলো। ইসলাম যদি নিজেকে শুধুই ব্যক্তিগত আধ্যাত্মিক ধ্যান প্রথা পার্বনের ধর্ম হিসেবে নিজেকে গুটিয়ে না নেয় তাহলে এই ধর্মের বিলুপ্তি আগামী ৫০ বছরের মধ্যে পৃথিবীর মানুষ দেখতে পাবে। ইসলামপন্থিদের গায়ে পড়ে বন্ধু হওয়া বামপন্থি বুদ্ধিজীবীরা যতই ‘ইসলাম বিদ্বেষ’ বলে হাউহাউ করুক হালে যে পানি পাবে না বলাই বাহুল্য। মাদ্রাসায় যে ইসলামী সিলেবাস পড়ানো হয় সেখানে কুরআন হাদিসের জিহাদ, খিলাফত, শরীয়া আইন অন্তর্ভূক্ত এটা ভুক্তভূগী দেশগুলো জেনে গেছে। এগুলো পড়ে কোন মুসলমানের পক্ষে সন্ত্রাসী না হয়ে উপায় নেই। গোঁড়া এক্সট্রিম ধার্মীকরাই ধর্ম নির্দিষ্ট পোশাক লেবাস ধারণ করে। কাজেই টাকনুর উপর প্যান্ট পরা, আপাদমস্তক বোরখায় আবদ্ধ করা মানুষ যে জিহাদ শরীয়া খিলাফতে বিশ্বাসী হবে সেটাও ভুক্তভোগী দেশগুলো বুঝে গেছে। তাই ‘পাক্কা মুসলমান’ চেহারা ছুরত দেখলেই তাকে সন্দেহ করা এখন আর ‘ইসলাম বিদ্বেষ’ বলে দাগালে আপনিই ‘ক্ষ্যাত’ বলে টিটকারি খাবেন!
শুরুতে বলেছি ইসলাম অন্যান্য আধ্যাত্মিক ধর্মের মত একটি ধর্ম হলে সমস্যা ছিলো না। মুসলমানরা বোরখা পরলে অমুসলিমদের তো কোন সমস্যা নাই। টাকনুর উপর প্যান্ট পরলে ইহুদী খ্রিস্টানদের চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ নাই। দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা আমেরিকার রাস্তায় ইসকনের টিকিধারী সাধুদের নৃত্য দেখে কোন সাদা আমেরিকানের কেন ‘হিন্দুফোবিয়া’ জাগে না? হিন্দুরা গরুর মাংস না খাওয়ায় বরং অন্যরা বেজায় খুশি কারণ তারা খেলে মাংসের দাম আরো বেড়ে যেত! টোল চালু থাকলে সেখানে হিন্দুরা শাস্ত্র পড়লে বাকীদের গা জ্বলবে কেন? কেউ পিছিয়ে পড়তে চাইলে সেটা তাদের ব্যাপার। কিন্তু মাদ্রাসাগুলো বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে! কেবল অমুসলিম দেশগুলো থেকে নয়, শতভাগ মুসলিম দেশগুলোতেও জঙ্গিবাদ রুখতে মসজিদ মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বোরখা হিজাব, হালাল শপ এরকম রেডিক্যাল মুসলিম কমিউনিটি ভেঙ্গে দিতে অমুসলিম সেক্যুলার দেশগুলোর একের পর এক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কারণ মুসলমান গভীরভাবে ইসলাম পালন শুরু করলে তারা কাফেরদের উপর হামলা চালাতে চাইবে। নিজেদের শাসন কায়েম করতে চাইবে। তাদের কুরআনের আইন অনুযায়ী বিচার করতে চাইবে। কাজেই সেরকম জনগোষ্ঠি তৈরি যাতে না হয় সেই ব্যবস্থা নেয়ার অধিকার সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়াম, অস্ট্রিয়া, শ্রীলংকার আছে। গোঁফ নেই দাড়ি আছে, টাকনুর উপর প্যান্ট পরে আছে, আলহামদুলিল্লাহ বলা, বসে পানি খাওয়া... এরকম ছোঠ ছোট আপত নিরহ ইসলামিক আচরণই ভেতরের জিহাদের বিজ রয়েছে কিনা সন্দেহ তৈরি করে। সামনের দিনগুলোতে মুসলমানরা নিজেদের বিপদ এড়াতে এগুলো ত্যাগ করতে বাধ্য হবে। এভাবেই বিলুপ্তের পথে যাবে ইসলামী আইডলজি...।
#সুষুপ্ত_পাঠক
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................