ইতিহাসকে অস্বীকার করার অপর নাম মূর্খতা!

*ইতিহাসকে অস্বীকার করার অপর নাম মূর্খতা!!*

ইতিহাস পড়লে  বোঝা সম্ভব!! 

⏺️ ইসলাম ধর্ম বেড়েছে  *নিষ্ঠুরতায়*।। 
⏺️ খ্রীষ্টান ধর্ম  বেড়েছে *ধূর্ততায়*।। 
⭕ হিন্দু ধর্মের অবনতি ঘটেছে *অসীম উদাসীনতায়*।। 

সুদূর অতীত থেকেই ভারতবর্ষের হিন্দুদের চরিত্রে একতার অভাব স্পষ্ট ভাবেই পরিলক্ষিত হয়। আমরা হলাম মুর্গিওয়ালার খাঁচায় বন্দি মুরগিগুলোর মতো, যাকে কাটা হয় সেই শুধু চিৎকার করতে থাকে, বাকিরা তখনো নিশ্চিন্তে দানাশস্য খেতে ব্যাস্ত থেকে যায়।

আমাদের জাগাবে কে!! ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নেয়া অদ্ভুত এক নিরীহ জাত এই বাঙালি হিন্দু!!

পাশের বাড়ির গাছের ডাল, নিজের  বাড়ির সীমানায় ঢুকলে  মেনে নিতে পারে না যে বাঙালি, সেই বাঙালি হিন্দুদের কিছু নির্বোধ অংশ, পাশের দেশের মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের এইদেশে রেখে দেয়ার জন্য, যার যার রাজনৈতিক দলের হয়ে CAA বিরোধী আন্দোলনে সামিল হচ্ছে, ভাবা যায়!! 
এ যেন আগামীদিনে বাড়িতে ঢুকে যিনি আমাকে খুন করবেন, বাড়ির মেয়েদের ধর্ষণ করবেন, সম্পত্তি লুঠ করবেন, তাকেই সাদরে নিজের জমিতে বসবাস করার সুযোগ করে দেয়া!! 

লক্ষ লক্ষ হিন্দুদের ইসলামিক বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার পরেও, তারা বুঝতে পারছেন না, আগামীদিনে কি অপেক্ষা করে আছে আমাদের কপালে এই পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে!! 
এ রাজ্যে মুসলিমদের শক্তি কোন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে, সেটা কিছুদিন আগে,  CAA বিরোধী আন্দোলনে প্রশাসনকে বিন্দুমাত্র পরোয়া না করে ট্রেন, বাস,স্টেশন জ্বালিয়ে, তার প্রমান তারা  দিয়ে দিয়েছেন।

কাশ্মীরের পন্ডিতরা নিজেদের দেশেই উদ্বাস্তু হওয়ার  2 বছর আগেও ভাবতে পারেননি তাদের বাড়ির মানুষগুলোর জন্য কি ভয়াবহ বিপদ অপেক্ষা করে আছে।  আজ দেশের একমাত্র রাষ্ট্রবাদী দল ও প্রধানমন্ত্রীর অক্লান্ত প্রচেষ্টায়, বহু স্বজন হারিয়ে, সীমাহীন দুঃখ যন্ত্রণার বিনিময়ে তারা নিজেদের জায়গা ফেরৎ পাচ্ছেন।

বাঙালি হিন্দুদের নিরাপত্তার জন্য ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জিসহ বহু বরেণ্য বাঙালির সংগ্রামের ফসল, এই পশ্চিমবঙ্গ সৃষ্টির লক্ষ্যটাই আজ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মুসলিম তোষণের কারণে পুনরায় বিপদগ্রস্থ হয়ে পড়েছে।

ইসলাম ধর্মের ইতিহাস প্রমান করে, এই ধর্ম যেখানেই ঢুকেছে সেখানেই এটাই তারা করে এসেছে,  আমাদের দেশে ঢুকে জায়গা ছিনিয়ে নিয়ে, তিনটি ইসলামিক দেশ বানিয়ে (আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ) নিয়েও তারা নিজের দেশে আটকে না থেকে, পুনরায় অনুপ্রবেশ করে করে এই বঙ্গে প্রায় ৪৫%(অনুপ্রবেশকারী ধরে) হয়ে গেছে। পাঁচটি জেলায় হিন্দুরা আজ সংখ্যালঘু হয়ে পরেছে, ৪০০০ গ্রাম হিন্দুশূন্য, কিন্তু তাও এই বাঙালি হিন্দু জাগে না!! 
আগামী ভয়াবহ বিপদ সম্পর্কে সজাগ করতে গেলে, উল্টে হিন্দুত্ববাদীদের সাম্প্রদায়িক বলে, নিজেকে মানবতার পূজারী ভেবে আত্মশ্লাঘায় ভোগে কিছু সংখ্যক হিন্দু বাঙালি!!! 

তোষণ রাজনীতির কারণে লেবাননের মতন একই পরিস্থিতি আজকের বাম কেরালায়, আগামীদিনে কেরালা সম্পূর্ণভাবে মুসলিম অধ্যুষিত হওয়ার পথে, সৌজন্যে বাম শাসন।

একটাই আশার কথা দেশের বাকি অংশের হিন্দুরা জেগে উঠছেন, তারা শক্তভাবে মোদীজীর পেছনে দাঁড়াতে শুরু করেছেন, তাই কাশ্মীরের পবিত্র মাটিতে আবার হিন্দুঝান্ডা স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে।

আন্টি ইন্ডিয়া, আন্টি হিন্দু পার্টিগুলোকে এখনো বেশ কিছু হিন্দুরা সাপোর্ট করে যায়, শুধুমাত্র কিছু পাবে বলে অথবা নিখাদ অজ্ঞতার কারণে।

মনে রাখতে হবে এই বোকা, স্বার্থপর, লোভী মানুষগুলোর বাস্তববুদ্ধির অভাবের কারণেই, মাত্র কয়েক হাজার সৈন্য নিয়ে এসেও, এদেশে মুসলিম আর খ্রিস্টান শাসকরা, সুদীর্ঘকাল ধরে কোটি কোটি হিন্দুদের দাস বানিয়ে, শোষণ করে যেতে পেরেছিলো। সেই ট্রাডিশন এখনো তাদের বংশধররা মেনে চলেছে বলেই মনে হয় আমাদের রাজ্যে। 

*মনে রাখবেন 25 কোটি মুসলিমদের স্বার্থ্যরক্ষার জন্য ২৬ টা পার্টি আছে,  কিন্তু  ১১০ কোটি হিন্দুদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখার জন্য একটাই মাত্র পার্টি আছে যার নাম বিজেপি।*🕉️🕉️
বাংলাভাষীদের মধ্যে, সমগ্র বিশ্বে হিন্দুদের পার্সেন্টেজ ৩০ শতাংশ এসে দাঁড়িয়েছে, যেটা একটা সময় ১০০% ছিলো!! নিয়মিত  সিরিয়াল দেখা,  নির্বিরোধী, নিরুত্তাপ, বউয়ের আচলে মুখ মোছা, বাঙালি হিন্দুদের দিকে তাকালেই তার কারণ বোঝা সম্ভব। 

যেদিন জিহাদীরা তাদের ধর্মীয় নির্দেশ পালন করতে এসে বাড়ির দরজা ভাঙবে, সেদিনও হয়তো ঘুমিয়ে থেকে এনারা বলে যাবেন হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই!! 

আত্মক্ষয়ি, আত্মবিস্মৃত বাঙালি হিন্দুদের মধ্যে বুদ্ধিমান ও বিচক্ষণ বলে আর কিছু থাকতে দেবে না, বিশেষ কিছু রাজনৈতিক দল ও তাদের বিশেষ দলদাস কেডার বাহিনী। 

*আজ যদি সমগ্র বাঙালি হিন্দুরা দলমত নির্বিশেষ নিজের হোমল্যান্ড রক্ষা করতে এগিয়ে না আসেন , আগামী প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না, এই দেশ ইসলামিক হয়ে যাবে একটা সময়ে*।

সব কটা বিরোধী দল মিলে মুসলিদের দাঙ্গাকে সমর্থন দিচ্ছে,  তোষণ করছে আর দুই গুজরাটি মানুষ বাঙালি শরণার্থীদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য, নিজেদের জীবনপন করে লড়ে যাচ্ছেন, এক শ্ৰেণীর বোকা হিন্দু বাঙালি তাদেরই উল্টে গাল পারছে। কি বিচিত্র এই দেশ!! 

আমার তিনটে  প্রশ্ন স্যেকুলার গ্যঙ্গের কাছে! 

➡️প্রথম :- মুসলিমরা যদি দেশভক্ত হয় তাহলে ভারতবর্ষ কেন বার বার ভাগ হলো?

➡️দ্বিতীয়:- যদি হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই হয়, তাহলে কাশ্মীর, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশে কেন হিন্দুরা শেষ হলো?

➡️তৃতীয়:-  পাকিস্তান ও বাংলাদেশের অবশিষ্ট হিন্দুরা ভয়ে ভারতে আসতে চায়!! কিন্তু কোনো ভারতীয় মুসলিম ভয়ে পাকিস্তান, বাংলাদেশে যেতে চায় না কেন?

এই খন্ডিত বঙ্গে এখন দুধেল জিহাদিদের  সংখ্যা সরকারিভাবে ৩৩%(বেসরকারি ভাবে ৪৫%)। মনে রাখবেন এইসংখ্যা ৫১% তে পৌঁছলেই গান্ধীবাদ, মার্কসবাদ, মমতাবাদ,কীর্তন, মালা,টিকি মহোৎসব ভোগারতি সব শেষ হয়ে যাবে। 

যে জাতি, তার সিংহভাগকে ১৯৪৭ সালে দেশভাগের শিকার হয়ে নিজের দেশেই আচমকা শরণার্থী -উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়ে, প্রাণ আর নারী সম্মান বাঁচাতে ইসলামিক বাংলাদেশ ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গ নামক নতুন রাজ্যে  আসতে দেখেও, নিজের ধর্ম আর বাসভূমি রক্ষায় একত্রিত হয় না -- *সেই জাতির অস্তিত্ব কোনো দিন টিকে থাকে না -- এটাই সত্যি।* 

🟠 হিন্দুদের ভোটের লক্ষ্য গ্যাসের দাম কমানো!!
🟠 *মুসলিমদের ভোটের লক্ষ্য একজন মুসলিম মুখমন্ত্রী বানানো।*
 
কবে বুঝবো আমরা!!

পরিশেষে একটা কথাই বলবো
*দিব্যজ্ঞান জরুরী কিন্তু কান্ডজ্ঞান আরোই জরুরি।*

✍️ বিনয় চক্রবর্তী।

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted