ভারতের শীর্ষ ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান রিলায়েন্স গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ-এর কর্ণধার মুকেশ আম্বানির বাসভবনের সামনে বিস্ফোরকভর্তি গাড়ী জব্দ করা হয়েছে। এক জে†হাদী, তার সাগরেদদের রক্ষা করার জন্য আত্মহত্যা করেছে। ভারতের দীর্ঘলালিত ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির বাই-প্রোডাক্ট উগ্রপন্থী ধর্মান্ধ গোষ্ঠী জইশ-উল-হিন্দ, এই জঙ্গি হামলার প্রস্তুতির দায় স্বীকার করেছে; সেই সঙ্গে তারা আরও বলেছে যে, ইতোপূর্বে তারা ইজরায়েলের দূতাবাস টার্গেট করেছিল।
এই ষড়যন্ত্র ভারতের শিল্প-বাণিজ্য ধ্বংস করে ফেলার সুদূরপ্রসারী নীল নকশা। কিন্তু গোমূত্রবাদী রাজনীতিবিদ নামক নপুংসকরা, জাতিকে রক্ষা করার কোন উদ্যোগ গ্রহণ করছে না। বরং এই ফালতু নেতাদের প্রভাবে বহু সনাতনী তরুণ-তরুণী, জ্ঞান বিজ্ঞান বিমুখ হয়ে বিবাহ করছে না, ঘর সংসার ত্যাগ করছে।
পার্টিশনের সময় ভারত ও পাকিস্তানে মাইনরিটির সংখ্যা ছিল সমান। ডঃ বি আর আম্বেদকার মাইনরিটি বিনিময়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ব্রিটিশরা সেই প্রস্তাব মেনে নিলেও, ভারতের গান্ধী-নেহেরু সেক্যুলার চক্র সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে এবং প্রধানমন্ত্রী গাজী নেহেরু এবং পরবর্তীতে তার কন্যা ইন্দিরা ফিরোজ, ভারতে মাইনরিটির সংখ্যা বৃদ্ধির বন্দোবস্ত করেন। পাকিস্তান আজ মাইনরিটি শূন্য; আর ভারতে মাইনরিটির বর্ধিত জনসংখ্যার এত দাপট, সনাতনীরা কাশ্মীর ছেড়ে পালিয়েছে, ভবিষ্যতে ভারত ছেড়ে পালাতে বাধ্য হবে।
প্রচলিত উদ্ভট আধ্যাত্মিক মতবাদ, সনাতনীদের সর্বনাশের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই আধ্যাত্মিক দর্শন তরুণ-তরুণীদের বিষয়-বিমুখ ও যৌনতা-বিমুখ করে ফেলেছে। বিবাহ করে সন্তান জন্ম না দিলে জাতির ধ্বংস অনিবার্য। সনাতন ধর্মশাস্ত্রে লেখা আছে 'নারী নরকের-দ্বার'। এজন্য সনাতনীরা দেদারসে কন্যা শিশু ভ্রূণ হত্যা করছে; যদিও আইনের কারণে এখন আর তারা মেয়েদের জীবন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে হত্যা করতে সাহস পাচ্ছে না। তবুও এই অবমাননার প্রতিবাদে সনাতনী মেয়েরা ধর্মান্তরিত হতে উৎসাহিত হচ্ছে।
আরণ্যক অর্বাচীন আধ্যাত্মিক ধর্মগুরু নামক খা†নকির বাচ্চারা কী ভেবে দেখছে না―সমাজে নারী না থাকলে সন্তান জন্ম দেবে কে! সনাতন ধর্মশাস্ত্রে লেখা আছে, শূদ্ররা কুকুর ও শুয়োরের সমতুল্য। হয় এই অমানবিক ধর্মশাস্ত্র সংস্কার করুন, আইন করে অস্পৃশ্যতা নির্মূল করুন, বর্ণবাদী ধর্মগুরুদের জুতাপেটা করে ফাঁসি দিন - নতুবা এই জাতির বিলুপ্তি অবধারিত।
একটা আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কীভাবে বর্ণবাদী হয়! অবিলম্বে ভারতে বর্ণ-ভিত্তিক সংরক্ষণ বাতিল করা দরকার। অনগ্রসর মানুষকে অবশ্যই কোটা সুবিধা দিতে হবে; তবে সেটা জাতপাতের ভিত্তিতে নয়, অর্থনৈতিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে।
ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে সময়পযোগী পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরী। একসময়কার শতভাগ সনাতনী অধ্যুষিত ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, উজবেকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, মালদ্বীপ প্রভৃতি দেশে, ইসলাম ধর্ম যেভাবে সনাতন ধর্মকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করেছে, ভারতেও তার পুনরাবৃত্তি ঘটতে চলছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী ৪০/৫০ বছর পরে, ভারত ভূমিতে সনাতনীদের অস্তিত্ব থাকবে কিনা সন্দেহ।
সনাতন সদানন্দ দাশ
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................