"আফগানিস্তান নিয়ে কিছু পৌরানিক কথা"
ডাঃ মৃনাল কান্তি দেবনাথ
পুরা কালে মুনি ঋষিরা শুধু উত্তরাখন্ডে যেতেন তাই নয়, হিন্দুকুশ পার হয়ে তারা পশ্চিমে গিয়েছিলেন। অগস্ত্য মুনি বিন্ধ্যপর্বত পার হয়ে দক্ষিনে গিয়েছিলেন, আর ফেরেননি। তাই বলে 'অগস্ত্য যাত্রা। এরা সবাই বৈদিক ধর্ম প্রচার করেছিলেন যাদের কোনো সুপিরিশিলীত আধ্যাত্ম বাদ ছিলো না, তাদের মধ্যে।
এই ঋষিরা কেউ আরবী ঘোড়ার পিঠে সওয়ার হয়ে লুট তরাজ করেন নি, তলোয়ার হাতে সাধারন পরিনত বয়ষ্কদের মেরে কেটে, তাদের সম্মপত্তি লুট করে , মহিলাদের যৌন দাসী এবং শিশুদের দাস বানিয়ে, খোঁজা বানাননি। আমরা যেমন ষাড়কে , ঘোড়াকে বা কুকুরকে তার অন্ডকোষ কেটে পোষ মানাই, কাজ কর্মে চাষ বাস বা পরিবহনে (গরুর গাড়ী) লাগাই,ঠিক তেমনি, বাচ্চাদের অন্ডকোষ কেটে তাদের পূরূষত্বহীণ করে চিরকালের মতো নির্বীজ পোষা কুকুর বা গরু বানানোর অভিনব প্রথা এক মাত্র এই 'শান্তির দুত' জিহাদীরাই করে গেছে। সারা মানব জাতির ইতিহাসে এমন বর্বর জাতির নজীর আর নেই কোথাও। আলাউদ্দিন খলজীর ৫০০০০ পায়রা পোষার জন্য ১০ হাজার খোজা শিশু ছিলো।
ঋষি আভাগানার (মতান্তরে 'ঊপগন', (উপগনস্তান) নামে তাই হয় আফগানিস্তান (এরা যে ভাষা বলে সেটাকে বলে পুস্তুন--Pustun). মুনি জাবালের নামে হয়-'জাবুল যা আজ কাবুল নামে পরিচিত।
এই বৈদিক মুনি ঋষিরা, আফগানিস্তানেই নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখেন নি। পশ্চিমে এরা গিয়েছিলেন আজকের জার্মানী ।মিউনিখ শহর--(হিটলারের জন্ম স্থান) এবং তার আশ পাশ অঞ্চলে গেলে প্রচীন বৈদিক সভ্যতার নিদর্শন আজো পাওয়া যায়। দানিয়ুব নদীর দুই তীরে (আমি ১৯৮৮-৯০, ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ওখানে কাটিয়েছিলাম প্রায় ৩ সপ্তাহ ছুটি কাটাতে), আজো সেই সব বৈদিক ঋষিদের ছোট ছোট মুর্তি দেখা যায়( আমার তখন ডিজিটাল ক্যামেরা ছিলো না ,কিন্তু মিউনিখ এবং দানিয়ুবের বেশ কিছু ছবি আছে পুরানো ক্যামেরায় তোলা)
ওয়েষ্ট ইন্ডিজে থাকাকালীন আমার সব থেকে ঘনিষ্ট বন্ধু ছিলো, আল-ব্রনিসাস। তার বাড়ী বর্তমান 'লিথুয়ানিয়া'দেশে। লিথুয়ানিয়ান ভাষা আর আমাদের সংষ্কৃত ভাষার মধ্যে তফাত মাত্র ২০%। বাকী ৮০ % হুবুহু এক। জার্মানীর হিটলার 'স্বস্তিক' চিহ্ন নিজের রাজনৈতিক দলের চিহ্ন করেছিলেন। কেনো?? তিনি মানুষ টা খারাপ হতে পারেন অনেকের কাছে, কিন্তু স্বস্তিক চিহ্ন জার্মানীর বর্বর জাতির বংশধররা (Barbarian জাতির থেকে নাম বর্বর,কারন নৃশংসতায় তাদের কোনো সীমা পরিসীমা ছিলো না।) কি করে পেলো?? ওরাই আজ জার্মানী এবং তার আশ পাশ অঞ্চলে সভ্য জাতি হিসাবে বাস করে। এদের সভ্য করেছিলেন আমাদের অনেক নাম না জানা মুনি ঋষি)।
এই সব বিষয় বিচার না করে, রাহুল সাংকৃত্যায়ন লেখেন "ভোলগা থেকে গঙ্গা"। তার প্রতিপাদ্য আমাদের পুর্ব পুরুষ এসেছিলেন 'ভোলগা নদী' র পার্শবর্তী অঞ্চল থেকে কঁকেশাস পর্বতের আশ পাশে এই আর্য্য জাতি বাস করতো। পশুপালন করতো, বেদুইন দের মতো ঘুরে ঘুরে বেড়াত। সেই ঘুরে বেড়নো যাযাবর জাতি নাকি হিন্দুকুশ পার হয়ে গঙ্গার সমতল পেয়ে গেলো আর হঠাৎ করে চাষ বাস করার জন্য এখানেই থেকে গেলো আর্য্য হয়ে। আজ থেকে প্রায় ৬০০০ বছর আগে হঠাৎ করে 'বেদ, উপনিষধ' ইত্যাদি সুত্র লিখতে শুরু করলো।। আদ্যপান্ত বামপন্থী এই লেখক, ইংরেজ দের 'Divide and Rule' পরিকল্পনায় ইন্ধন জুগিয়ে গেলেন।এই সব আজগুবি ধ্যান ধারনা হিন্দু সমাজে প্রনয়ন করে ইনি শুধু বিখ্যাত হয়েছেন তাই নয় সমস্ত হিন্দুদের মনে এক হীন মন্যতার সৃষ্টি করে গেছেন।
ইংরেজ দের স্বার্থ ছিলো এই দেশ শাসন করা, বামপন্থী দের ইচ্ছে ছিলো এই দেশটাকে চীনের কাছে বিক্রি করে দেবার। কিন্তু সত্য সত্যই। তা চাপা দিয়ে রাখা যায় না। আর্য্যরা বহিরাগত, বৈদিক সভ্যতা বলে কিছু ছিলো না, বেদ লেখা মাত্র ৩০০০ বছর আগে, মহাভারতের যুদ্ধ হয় নি, শ্রী কৃষ্ণ একজন কল্প কথার নারী সম্ভোগী লম্পট, এই সব কথা আর বেশী দিন কেউ (যারা সত্যিকারের শিক্ষিত--- (JNU and Jadavpur থেকে নয়), বিশ্বাস করবে না। ইরফান হাবিব আর রোমিলা থাপার ঐতিহাসিক হিসাবে ইতিহাসের আস্তাকুড়ে স্থান পাবে।
তা আফগানিস্তান 'জিহাদী তালিবানী' র মৌরূষীপাট্টা নেওয়া দেশ এই দাবী সারা বিশ্বের সব ঐতিহাসিক মানলেও এই হাতুড়ে ঐতিহাসিক (ডাক্তারী শিখে শখের ঐতিহাসিক) তার জীবদ্দশায় মানবে না।।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................