আফগানিস্থানে নারীদের প্রকাশ্যে গান গাওয়া নিষিদ্ধ করে যে আইন পাশ হয়েছে সেটা কিন্তু তালেবান সরকার করেনি। করেছে তালেবানদের মত কওমি মাদ্রাসার ছাত্রদের ক্ষমতাচ্যুত করা সরকার।
এ কারণে আইনটিতে যথেষ্ঠ ইসলামিক নির্দেশনা প্রতিফলিত হয়নি। কারণ ইসলাম শর্তহীন গান বাজনা নিষিদ্ধ কিন্তু আফগান আইন বলছে মেয়েরা মেয়েদের ঘরোয়া অনুষ্ঠানে গাইতে পারবে। কোন প্রকাশ্য জায়গায়, কোন পুরুষ যেন শুনতে না পায়, কোন পুরুষ গানের শিক্ষকের কাছে যেন গান শিখতে না পারে- এইসব বিধান রাখা হয়েছে আইনে কিন্তু ইসলামী শরীয়তে এরকম কোন ছাড় নেই। ইসলামী আইনে তো কোন গানের ওস্তাদই থাকতে পারবে না। তবলা সেতার হারমনিয়াম বাঁশি বাজানোর মত কোন লোকই বেঁচে থাকবে না। তালেবান ক্ষমতায় আসার পর এই শ্রেণীর লোকজন সব মারা পড়ছিলো তালেবানদের হাতে। বাকীরা পাকিস্তান সীমান্তে পালিয়ে বেঁচেছিলো। আফগান সাধারণ মুসলমানরা বাংলাদেশ তথা ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলিমদের মতই ‘ইসলামেও আছি, জিরাফেও আছি’ তড়িকায় চলে। যেমন রোজার সময় গান বাজনা কম শোনে বা শোনে না, সিনেমা হলে মাছি পড়ে, কিন্তু অন্যসময় গান বাজনা সবই চলে। যদিও বিশ্বাস করে ইসলামে গান বাজনা সিনেমা, ছেলেমেয়েদের অবাধ মেলামেলা, নারীদের গান অভিনয় সব হারাম...। তালেবান অর্থ্যাত কওমি মাদ্রাসার হুজুররা ক্ষমতায় আসার পর যখন সেই ইসলামী আইন প্রয়োগ করতে গেলো তখন সাধারণ আফগান মুসলমানদের ‘জিরাফের অনুভূতিতে’ টান পড়ে। তারা তখন ‘কাঠমোল্লাদের ভুল ব্যাখ্যা’ জাতীয় ভবের ঘরে চুরি করার মত মার্কিন সমর্থিত তালেবান বিরোধী ফাইটারদের প্রতি সমর্থন জানায় এবং এক পর্যায়ে আফগানিস্থানের খিলাফত ছাড়তে বাধ্য হয় তালেবানরা। কিন্তু তালেবান গাছে ধরে না। আফগান পরিবারগুলোতেই দু-চারজন করে তালেবান অর্থ্যাত প্রকৃত ইসলামের সমর্থন থাকে। বাংলাদেশের পরিবারগুলোর কথাই চিন্তা করুন। বাড়িতে সবাই মিলে তারাবী নামাজ পড়া পরিবারের একজন সিরিয়াতে চলে যায় আইএসের যোগ দিতে। আফগানিস্থানে গান নিষিদ্ধের নিউজের নিচে শত শত উল্লসিত পাবলিক ইসলামিক মাইন্ডের পরিবারগুলো থেকেই এসেছে। প্রতিটি ঘরেই তালেবান আইএস জাতীয় এক্সট্রিম ইসলামিক থাকে। কাজেই আফগান সমাজে তালেবানদের জনসমর্থন রয়েই যায়। দেখা গেছে বিগত বছরগুলোতে আফগান সরকারকে তালেবানকে বিবেচনা না করে তাই পারা সম্ভব হয়নি। তাদের খুশি করতেই নারীদের গান নিষেদ্ধের আইনটি তারা পাশ করেছে। তালেবান আমলে গানই নিষিদ্ধ ছিলো, মডারেটদের আমলে সেটাই শুধু ঘরোয়া পরিবেশে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। এখানেই কট্টর আর মডারেটদের মধ্যে তফাত।
এ কারণে আইনটিতে যথেষ্ঠ ইসলামিক নির্দেশনা প্রতিফলিত হয়নি। কারণ ইসলাম শর্তহীন গান বাজনা নিষিদ্ধ কিন্তু আফগান আইন বলছে মেয়েরা মেয়েদের ঘরোয়া অনুষ্ঠানে গাইতে পারবে। কোন প্রকাশ্য জায়গায়, কোন পুরুষ যেন শুনতে না পায়, কোন পুরুষ গানের শিক্ষকের কাছে যেন গান শিখতে না পারে- এইসব বিধান রাখা হয়েছে আইনে কিন্তু ইসলামী শরীয়তে এরকম কোন ছাড় নেই। ইসলামী আইনে তো কোন গানের ওস্তাদই থাকতে পারবে না। তবলা সেতার হারমনিয়াম বাঁশি বাজানোর মত কোন লোকই বেঁচে থাকবে না। তালেবান ক্ষমতায় আসার পর এই শ্রেণীর লোকজন সব মারা পড়ছিলো তালেবানদের হাতে। বাকীরা পাকিস্তান সীমান্তে পালিয়ে বেঁচেছিলো। আফগান সাধারণ মুসলমানরা বাংলাদেশ তথা ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলিমদের মতই ‘ইসলামেও আছি, জিরাফেও আছি’ তড়িকায় চলে। যেমন রোজার সময় গান বাজনা কম শোনে বা শোনে না, সিনেমা হলে মাছি পড়ে, কিন্তু অন্যসময় গান বাজনা সবই চলে। যদিও বিশ্বাস করে ইসলামে গান বাজনা সিনেমা, ছেলেমেয়েদের অবাধ মেলামেলা, নারীদের গান অভিনয় সব হারাম...। তালেবান অর্থ্যাত কওমি মাদ্রাসার হুজুররা ক্ষমতায় আসার পর যখন সেই ইসলামী আইন প্রয়োগ করতে গেলো তখন সাধারণ আফগান মুসলমানদের ‘জিরাফের অনুভূতিতে’ টান পড়ে। তারা তখন ‘কাঠমোল্লাদের ভুল ব্যাখ্যা’ জাতীয় ভবের ঘরে চুরি করার মত মার্কিন সমর্থিত তালেবান বিরোধী ফাইটারদের প্রতি সমর্থন জানায় এবং এক পর্যায়ে আফগানিস্থানের খিলাফত ছাড়তে বাধ্য হয় তালেবানরা। কিন্তু তালেবান গাছে ধরে না। আফগান পরিবারগুলোতেই দু-চারজন করে তালেবান অর্থ্যাত প্রকৃত ইসলামের সমর্থন থাকে। বাংলাদেশের পরিবারগুলোর কথাই চিন্তা করুন। বাড়িতে সবাই মিলে তারাবী নামাজ পড়া পরিবারের একজন সিরিয়াতে চলে যায় আইএসের যোগ দিতে। আফগানিস্থানে গান নিষিদ্ধের নিউজের নিচে শত শত উল্লসিত পাবলিক ইসলামিক মাইন্ডের পরিবারগুলো থেকেই এসেছে। প্রতিটি ঘরেই তালেবান আইএস জাতীয় এক্সট্রিম ইসলামিক থাকে। কাজেই আফগান সমাজে তালেবানদের জনসমর্থন রয়েই যায়। দেখা গেছে বিগত বছরগুলোতে আফগান সরকারকে তালেবানকে বিবেচনা না করে তাই পারা সম্ভব হয়নি। তাদের খুশি করতেই নারীদের গান নিষেদ্ধের আইনটি তারা পাশ করেছে। তালেবান আমলে গানই নিষিদ্ধ ছিলো, মডারেটদের আমলে সেটাই শুধু ঘরোয়া পরিবেশে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। এখানেই কট্টর আর মডারেটদের মধ্যে তফাত।
আফগানিস্থানে নারীদের গান নিষিদ্ধের খবরের পর আমি টর্চ জ্বালিয়ে খোঁজ করেছি সেইসব ‘কুরআন থেকে দেখান’ মুমিনদের! যখন আমরা বলি ইসলামে গান হারাম তখন সাধারণ মুসলমানদের কাছে (ঐ যে যারা জিরাফেও আছে আবার ইসলামেও আছে) তাদের কাছে ইসলামকে ভালো দেখাতে যারা ইসলামে গান হারাম নয় দাবী করে বিতর্ক করে তারা এখন আফগান মডারেট সরকারের করা আইনের প্রতিবাদ করতে আসল না কেন? আমি চ্যালেঞ্জ করেছিলাম, ইসলামে যদি গান বাজনা হারাম না হয়ে থাকে তাহলে মসজিদে আল্লা নবীর প্রসংশামূলক গান গিটার, ড্রাম, কিবোর্ড, ভায়োলিন, হারমনিয়াম, সেতার বাজিয়ে গাওয়া হোক! মন্দির, গির্জা মঠে তো বাদ্য বাজিয়ে ভক্তিমূলক গান গাওয়া হয়। ইসলামে যদি সুস্থ সংস্কৃতিতে আপত্তি না জানিয়ে থাকে তাহলে একটা গজল হারমনিয়াম তবলা বাজিয়ে মসজিদে কেউ গেয়ে দেখাক তো! আছে কারোর বুকের পাঁটা?
#সুষুপ্ত_পাঠক
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................