পোপ ফ্রান্সিস ইরাকের খ্রিস্টানদের বলেছেন, অনুগ্রহ করে ইরাক ছেড়ে যাবেন না...। পোপকে কেউ সুধায়নি, যখন ইসলামী স্টেট খ্রিস্টানদের কচুকাটা করছিলো তখন ঈশ্বর কোথায় ছিলো? কেন রক্ষা করতে আসেনি? প্রশ্নটি কিন্তু মোটেই ফেলনা নয়। বিদ্যাসাগরকে মুরিদ করতে গিয়ে ব্যর্থ হওয়া রামকৃষ্ণ তার বিশিষ্ট চ্যালা মহেন্দ্রনাথ গুপ্তের মুখে শুনেছিলেন, বিদ্যাসাগর প্রশ্ন রেখেছিলেন, “ঈশ্বরকে ডাকবার আর কি দরকার?
দেখ চেঙ্গিস খাঁ যখন লুটপাট আরম্ভ করলেন তখন অনেক লোককে বন্দি করলেন ক্রমে ক্রমে প্রায় এক লক্ষ বন্দি জমে গেল। তখন সেনাপতিরা এসে বললেন মহাশয় এদের খাওয়াবে কে? সঙ্গে এদের রাখলে আমাদের বিপদ। কি করা যায়? ছেড়ে দিলেও বিপদ। তখন চেঙ্গিস খাঁ বললেন, তাহলে কি করা যায়; ওদের সব বধ কর। তাই কচাকচ করে কাটাবার হুকুম হয়ে গেল। এই হত্যাকান্ড ঈশ্বর দেখলেন, কই একটু নিবারণ তো করলেন না। তা তিনি থাকেন থাকুন, আমার দরকার বোধ হচ্ছে না। আমার তো কোনও উপকার হল না”। (সূত্র শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণকথামৃত, ষষ্ঠ সংস্করণ)।
দেখ চেঙ্গিস খাঁ যখন লুটপাট আরম্ভ করলেন তখন অনেক লোককে বন্দি করলেন ক্রমে ক্রমে প্রায় এক লক্ষ বন্দি জমে গেল। তখন সেনাপতিরা এসে বললেন মহাশয় এদের খাওয়াবে কে? সঙ্গে এদের রাখলে আমাদের বিপদ। কি করা যায়? ছেড়ে দিলেও বিপদ। তখন চেঙ্গিস খাঁ বললেন, তাহলে কি করা যায়; ওদের সব বধ কর। তাই কচাকচ করে কাটাবার হুকুম হয়ে গেল। এই হত্যাকান্ড ঈশ্বর দেখলেন, কই একটু নিবারণ তো করলেন না। তা তিনি থাকেন থাকুন, আমার দরকার বোধ হচ্ছে না। আমার তো কোনও উপকার হল না”। (সূত্র শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণকথামৃত, ষষ্ঠ সংস্করণ)।
মানুষ এভাবে ভাবেনা। ভাবেনা বলেই তাদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে থেতে পারে ঈশ্বরের প্রতিনিধিরা। নোয়াখালী দাঙ্গায় মরতে মরতে দেশছেড়ে পালিয়েছিলো এমন পরিবার ঘরের ঠাকুরকে বগলদাবা করে সীমান্ত পাড়ি দিয়েছিলো। সেই ঠাকুর ভারত সরকারের তত্ত্বাবধানে, আশ্রয় শিবিরে, সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের অধিনে নিরাপত্তা পেয়েছিলো।
পাকিস্তানে তার মূর্তিও নিরাপদ ছিলো না! তবু মানুষের ঠাকুরে ভক্তি কমে না! উত্তর ইরাকে সাড়ে চার লাখ খ্রিস্টান বাসবাস করত। আইএস এদের বিপুল একটা অংশকে হত্যা করেছিলো। বাকীরা পালিয়েছিলো। 'পরম পিতা' তাদেরকে রক্ষা করেনি। গোটা মধ্যপাচ্য থেকে ইহুদী খিস্টান পৌত্তলিকরা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে মুসলমানদের হাতে। কিন্তু সমগ্র পৃথিবীতে কি মুসলমানদের এরকম একছত্র শক্তি রাখে? মোটেই না। তাই মুসলমান সংখ্যালঘু হয়ে সেক্যুলারিজম চায়। আল্লার আইন পর্দা সুইজারল্যান্ডে বাতিল করা হয়েছে। আল্লার ক্ষমতা নেই সুইজারল্যান্ডে। ক্ষমতা থাকলে তো পুরো পৃথিবীকেই শরীয়া শাসনের খিলাফত কায়েম হত। পুরো কুরআন পড়লে দেখা যায় মুসলমানরা সংখ্যায় কম থাকলে আল্লাহ তাদেরকে কৌশল নিতে বলেছেন। মদিনায় শক্তি বাড়ার পর দাও বটি নিয়ে জিহাদ করার অনুমতি দিয়েছেন। এগুলো সমস্ত পার্থিব বাস্তবতা। আল্লার অলৌকিক কোন শক্তি থাকলে উহুদের যুদ্ধে মুহাম্মদের দাঁত উড়ে যেত না বর্শার আঘাতে? বাংলাদেশ পাকিস্তানে আল্লার যে ক্ষমতা দৃশ্যমান ভারত বার্মাতে তা দেখা যায় না। চীনের উইঘুর মুসলিমদের দেখলে বুঝা যায় ইসলামী খিলাফত আল্লায় প্রতিষ্ঠা করে দেয় না। তবু মানুষ মাথা খাটাবে না! কি এ মানসিক রোগ এই মানুষগুলির...।
নিজে জন্ম ভূমি রোক্ষার দায়ত্ব নিজে ঘাড়েই রাখুন। না হলে শুধু পালাতেই হবে।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................