ইসলামের সুফি, মারফতি, সালাফী, পীর, মুফতি, যত মত পথ আছে সকলের লক্ষ্য একটাই- খিলাফত।

“হেযবুত তওহীদের” নারী সদস্যের পত্রিকা বিক্রি করা নিয়ে ডেইলি স্টারে নিউজ হয়েছে। সবাই হেযবুত তাওহীদকে সাধু সাধু করছেন। বলছেন এটি হচ্ছে ইসলামের আধুনিক সংস্কারবাদী গ্রুপ যাকে প্রগতিশীল এমনকি নাস্তিকদেরও সহাযোগীতা করা উচিত। বেশ কজন নাস্তিক, ও প্রগতিশীল লেখক যখন হেযবুত তাওহীদের প্রচার করে লিখতে শুরু করলেন তখন চুপ করে বসে থাকা আর ঠিক মনে হয়নি। এ বিষয়ে আমার একদম প্রথম কথাই হচ্ছে “হেযবুত তওহীদ” সম্পর্কে আপনাদের আসলে কোন পড়াশোনা জানাশোনা কিছুই নেই! ইসলাম নিয়ে আপনাদের এখনো ফ্যান্টাসি আছে বলেই মাঝে মাঝে ইসলামের অমুক গ্রুপকে উদার, তমুক মাওলানাকে লিবারাল দাবী করে তাকে আঁকড়ে ধরে ইসলামের ভদ্রস্থ একটা চেহারার স্বপ্ন দেখতে থাকেন। এটি কি আপনাদের স্বধর্মীয় একটি আশাবাদী অবস্থান? আপনারা চান ইসলাম একটা ভালো চেহারা নিয়ে টিকে থাকুক? না হলে মাঝে মাঝেই “সুফি ইসলাম” না হলে “বাংলা সহজীয়া ইসলাম” এরকম উদ্ভট আইডিয়ার পেছনে কেন দৌড়ান?

হেযবুত তাওহীদের প্রতিষ্ঠাতার নাম মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী। তিনি জেযবুত তাওহীদ কি চায়  সে সম্পর্কে বই লিখে গেছেন। ২০০৮-২০০৯ সালে যখন ঢাকার একুশে বইমেলায় আমরা যাই তখন দেখেছি একটি বই মেলার বাইরে প্রচুর ছেলেমেয়ে ফেরি করে বিক্রি করছে। বইটির প্রচ্ছদের দৈত্য দানব টাইট একটা চেহারা দিয়ে শিরোনামে লাল কালিতে লেখা ছিলো “দাজ্জাল”। বইয়ের পুরো নাম “দাজ্জাল? ইহুদী খ্রিস্টান সভ্যতা”। বায়াজীদ খান পন্নীর এটা ছাড়াও আরো অন্যান্য বই ও লেখা পরে সংগ্রহ করে পড়ে ফেলি। এ কারণেই আমি জানি যারা হেযুবত তাওহীদের প্রশংসা করছেন তারা হেযবুত তাওহীদ নিয়ে এতটুকু সময় খরচ করেননি। হেযবুত তাওহীদ কি চায় সেটা জানতে যেমন তাদের বইপত্র পড়েননি, ঠিক “জেএমবি” বা অন্যান্য জঙ্গি গ্রুপগুলোকে “জঙ্গি” বলার সময়ও জাস্ট বিশ্বাস করে বলেছেন, তাদের সম্পর্কেও কোন পড়াশোনা জানাশোনা করেননি। আনসার বাংলা কি ধরণের ইসলামিক জঙ্গিদল সেটা বুঝতে জসিমউদ্দিন রাহমানির বই পড়া প্রয়োজন। সেটি পড়লে জানতেন, এরকম বই লেখার কারণে জসিমউদ্দিন রাহমানির একশ বছরের জেল হওয়া উচিত ছিলো! যদিও বেচারা সবই লিখেছে কুরআন ও হাদিসের রেফারেন্সে। ঠিক বায়াজীদ খান পন্নীর বইগুলিও কুরআন ও হাদিসের রেফারেন্সে লেখা। তাহলে জসিমউদ্দিন রাহমানির “আনসার বাংলা” আপনাদের কাছে জঙ্গিদল হলে বায়াজীদ খান পন্নীর “হেযবুত তাওহীদ” কি করে উদার সংস্কারবাদী ইসলামী দল হলো? আবার বলছেন হেযবুত তাওহীদ “অরাজনৈতিক দল”! কী সাংঘাতিক কথা! বায়াজীদ খান পন্নীর বইয়ের পাতায় পাতায় রাজনৈতিক ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য আহাজারী, বারবার তিনি বলছেন নামাজ রোজা হজ জাকাত সব তুচ্ছ বিফল যদি না আপনি জেহাদ করে মরতে না পারেন!

বায়াজীদ খান পন্নী লিখেছেন, “আল্লাহ ঘোষণা দিয়ে দিলেন- আমার তওহীদকে, আমার সার্বভৌমত্বকে যে বা যারা স্বীকার করে নেবে, তা থেকে বিচ্যুত হবে না তারা কত ইবাদত করেছে, তারা কত গোনাহ করেছে, কিছুই আমি দেখবো না, তাদের জান্নাতে প্রবেশ করাবো, তারা ব্যভিচার ও চুরি করলেও (আবু যর (রা.) থেকে বুখারী, মুসলিম এবং আরও অসংখ্য হাদিস, ও কোর’আন)” (দাজ্জাল? ইহুদী খ্রিস্টান সভ্যতা/ মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী, পৃষ্ঠা-১৫)।

মানে তিনি তার অনুসারীদের বলছেন চুরি ধর্ষণ রাহাজানি যা কিছু কর তার জন্য কিছু বলবেন না যদি তুমি পৃথিবীতে আল্লার আইন প্রতিষ্ঠা করতে সংগ্রাম করে যাও! সারা বইয়ে তিনি এসব কথা বারবার লিখেছেন রেফারেন্সসহ। পরিস্কার করে বলেছেন, “সুতরাং সেরাতুল মুস্তাকীম নামায, রোযা, হজ, যাকাতের চেয়ে বা গোনাহ থেকে বেঁচে থাকার চেয়ে অনেক বেশি প্রয়োজনীয়, অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কী এই সেরাতুল মুস্তাকীম? কী এই সহজ সরল পথ? এর নাম সহজ সরল কেন? সামগ্রিক জীবনের কোনো অঙ্গনে আল্লাহর দেয়া আইন-কানুন (শরিয়াহ) ছাড়া আর কাউকে, কোনো কিছুকে না মানা, এই সহজ সরল কথা। এই জন্যই আল্লাহর রসুল আল্লাহর ঐ নীতিকে ব্যাখ্যা করে বলেছেন যে, যাদের ঐ সেরাতুল মুস্তাকীম অর্থাৎ তওহীদ থেকে ইবলিস বিচ্যুত করতে পারবে না তারা জীবনে যত বড় গোনাহই করুক, এমন কি এই দীনে যে দু’টি মহাপাপের শাস্তি সর্বোচ্চ, অর্থাৎ ব্যভিচার ও চুরি, সে দু’টি করলেও আল্লাহ তা মাফ করে তাদের জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।(দাজ্জাল? ইহুদী খ্রিস্টান সভ্যতা/ মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী, পৃষ্ঠা-১৪)।

হেযবুত তাওহীদ মনে করে যদি আপনি আল্লার আইন বাদ দিয়ে মানুষের তৈরি আইনকে আপনার ব্যক্তি ও রাষ্ট্রীয় জীবনে গ্রহণ করে নেন সেটি হবে মহা শেরকের কাজ। বায়াজীদ খান পন্নী লিখেছেন, “শেরক হলো আল্লাহকে আংশিকভাবে স্বীকার করে ও আংশিকভাবে অস্বীকার করে জীবনের কোনো কোনো ক্ষেত্রে, বিষয়ে নিজেদের ইচ্ছামত আইন-কানুন বা নিয়ম-পদ্ধতি তৈরি করে সেইমত চলা। জীবনের যে কোনো একটি মাত্র অঙ্গনেও আল্লাহর আইনের বদলে অন্য কোনো আইন মানা শেরক। আল্লাহ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন যে তিনি শেরক (তাকে আংশিকভাবে অস্বীকার করা) ও কুফর (তাকে সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করা) কখনও ক্ষমা করবেন না (সুরা নেসা, আয়াত ৪৮, ১১৬ ও সুরা মোহাম্মদ, আয়াত ৩৪)। (দাজ্জাল? ইহুদী খ্রিস্টান সভ্যতা/ মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী, পৃষ্ঠা-১৩)

এবার আমাকে বলুন হেযবুত তাওহীদ অন্যসব ইসলামী শরীয়া বা ইসলামী খিলাফত চাওয়া জঙ্গিদলগুলোর চাইতে ভিন্ন কিসে? তাদের দাওয়াতী কার্যক্রম দেখে? হ্যাঁ, বায়াজীদ খান পন্নী তার অনুসারীদের বলেছেন নবী মক্কায় ১৩ বছর যে তড়িকায় দাওয়াত দিয়ে গেছেন হেযবুত তাওহীদ সে তড়িকায় দাওয়াত দিয়ে যাবে। কোন সশস্ত্র ও সন্ত্রাসী কায়দায় নয়। কারণ মক্কার তের বছর যেমন নবী কাফের মুশরেকদের থেকে দুর্বল ছিলেন, মুশরিকরা ছিলো মহা শক্তিশালী, বর্তমানে “ইহুদী খিস্টান দাজ্জাল” শক্তিও তেমনি শক্তিশালী। যেদিন মুসলমানরা তাদের সমকক্ষ হবে সেদিনই তারা “কতল” পরিচালিত করতে পারবে। তার আগ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে মানুষকে বুঝাতে হবে আল্লার আইন ও তার শাসন নিজেদের জন্য কেন দরকার। বায়াজীদ খান পন্নী তার “হেযবুত তওহীদের লক্ষ ও উদ্দেশ্য” বইতে বলেছেন, নবী মদিনায় যাবার পর যখন সেখানে রাষ্ট্র গঠন করলেন তখনই নীতি বদলে গেলো। তখন অস্ত্র সেনা বাহিনী বানিয়ে কতল করতে লাগলেন। ব্যক্তি সংগঠন নয় ইসলামী রাষ্ট্র গঠন করেই কতল জিহাদের নীতি ধরতে হবে (হেযবুত তওহীদের লক্ষ ও উদ্দেশ্য, মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী, পৃষ্ঠা ১৯)।

বায়াজীদ খান পন্নী দৃঢ়ভাবে বলেছেন তার লেখা বইয়ে যে কতল আর জিহাদের কথা লেখায় জঙ্গিবাদী বই বলা হচ্ছে, অথচ জিহাদ ও কতল মুসলমানদের বাড়িতে রাখা দুটি বই কুরআন ও হাদিসে- এই শব্দ দুটি ও তার প্রয়োগের কথা তার লেখা বইয়ে যতবার আছে তার চেয়ে বেশিবার বলা আছে। বায়াজীদ খান পন্নী বলছেন, কুরআন ও হাদিসে কতল করলে পুরস্কার- না করলে শাস্তি লেখা আছে। যদি এসব লেখার পরও কুরাআন ও হাদিস নিয়ে কারোর কোন আপত্তি না থাকে তাহলে আমার বই নিয়ে কেন থাকবে? (হেযবুত তওহীদের লক্ষ ও উদ্দেশ্য, মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী, পৃষ্ঠা ১৯)।

মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী মানবসভ্যতার রেঁনেসাকেই বলছেন “দজ্জাল”! যে ইউরোপে একদিন বিজ্ঞান চর্চার কারণে জ্ঞানীদের পুড়িয়ে মারা হত, জেলে ঢুকানো হত, রাষ্ট্র সমাজকে যেখানে চার্চ খবরদারী করতে, তার বিরুদ্ধে যে রেঁনেসা তাকেই বলছেন কুরআন হাদিস বর্ণিত “দাজ্জাল”। তিনি লিখেছেন, “অষ্টম হেনরীর রাজত্বকালে ১৫৩৭ খ্রিষ্টাব্দে ইংল্যান্ডে প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে এই কাজ অর্থাৎ খ্রিষ্টান ধর্মকে মানুষের সার্বিক জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন করে ব্যক্তিগত জীবনে নির্বাসিত করা হলো, দাজ্জালের জন্ম হলো।...দাজ্জালের অর্থাৎ জুডিও খ্রিষ্টান বস্তুবাদী সভ্যতার আবির্ভাব মানুষ সৃষ্টির সময় থেকে পৃথিবীর ধ্বংস পর্যন্ত সমস্ত ঘটনার মধ্যে সর্ববৃহৎ ঘটনা, নুহের (আ.) সময়ের মহাপ্লাবনে মানবজাতি ধ্বংস হয়ে যাবার চেয়েও বড় ঘটনা” (দাজ্জাল? ইহুদী খ্রিস্টান সভ্যতা/ মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী, পৃষ্ঠা ২৫)।

এবার আসা দরকার হেযবুত তাওহীদের উদার সংস্কারবাদী কথা বার্তার শানে নাযুল কি? হেযবুত তাওহীদ আপনাকে দাড়ি রাখতে বলে না। টাকনুর উপর প্যান্ট পরতে বলে না। নামাজ, রোজা, হজ, যাকাত এগুলোর পিছনে সময় নষ্ট করতে বলে না। এমনকি নারী পুরুষের মধ্যে পর্দার কথাও বলে না। কেন বলে না? কারণ তারা শুধুই ইসলামের রাজনৈতিক লক্ষ্যের জন্য কাজ করছে। এখানে সংগ্রামে নারীদের তারা ঘরের মধ্যে আবদ্ধ করতে চাইছে না। কারণ মক্কার ১৩ বছরে ইসলামে নারীর পর্দার নির্দেশ আসেনি। তখন পর্দার নির্দেশ আসলে নবীর দলে মক্কার অনেক নারীই আসতে পারত না কারণ দ্বিনের বাণী তাদের কাছে শরীয়ত ভঙ্গের ভয়ে পৌঁছানো যেত না। একইসঙ্গে তারা নবীর সঙ্গে হিযরত করতে পারত না “বেগানা নরী” হওয়ার কারণে। ঠিক হেযবুত তাওহীদ মনে করে বর্তমান মুসলমান যেহেতু “প্রকৃত ইসলামকে” ভুলে গেছে, সেই ইসলামে সবাইকে বুঝি শুনিয়ে আনার আগ পর্যন্ত পর্দা দাড়ি নামাজ হজ নিয়ে বাড়াবাড়ি করার অনুচিত। এসব কথা বলাতেই ইসলামের অন্যান্য গ্রুপ যেমন কওমি ঘরোনার, দেওবন্ধ, মওদুদিবাদীসহ অন্যান্য ইসলামিক জঙ্গি সকলেই হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে চলে গেছে। অন্যরা বলেন আল্লার পথে জিহাদ করতে গিয়ে নামাজ রোজা হজ দাড়ি সুন্নত কোন কিছু ছাড়া যাবে না। এখানেই শুধু তফাত তাদের মধ্যে। বায়াজীদ খান পন্নীও ইসলামের পুরোহিতন্ত্র মানেন না। তিনি লিখেছেন, “আমাদের আলেম বলে পরিচিত শ্রেণিটি তার লক্ষ ভাগের এক ভাগও দেননি। যে ভয়াবহ ফেতনা থেকে আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ নবী আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়েছেন, আল্লাহর সার্বভৌমত্বকে, রবুবিয়াতকে প্রত্যাখ্যান করে সমস্ত মানব জাতিকে দিয়ে নিজেকে রব, প্রভু বলে স্বীকার করিয়েছে, সেই দাজ্জালের চেয়ে এই শ্রেণির কাছে দাড়ি, টুপি এবং অন্যান্য অনেক কম গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারগুলি অনেক বেশি প্রয়োজনীয়, গুরুত্বপূর্ণ।(দাজ্জাল? ইহুদী খ্রিস্টান সভ্যতা/ মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী, পৃষ্ঠা ৩০)

এটা নতুন কিছু নয়। ভারতের সাদ কান্ধলভীও এই “হুজুরতন্ত্রের” ঘোর বিরোধী। মসজিদে নামাজ পড়িয়ে, মাদ্রাসায় কুরআন পড়িয়ে টাকা নেয়ার বিরোধী। এসব কথা পন্নী সাহেবও বলে গেছেন। যে কারণে হেযবুত তাওহীদের বিরুদ্ধে কওমিরাও ক্ষিপ্ত। তাদেরকে খিস্টান মিশনারীদের ছদ্মবেশী গ্রুপ বলা হয়। বায়াজীদ খান পন্নী যেখানে ইহুদী খিস্টানদের “দাজ্জাল” বলছেন তখন তার বিরোধীরা তাকেই বলছে “খিস্টান মিশনারীদের লোক”! দেখুন সব গ্রুপেরই একই রকম ইহুদী খিস্টান ঘৃণা! একই রকম খিলাফত, শরীয়ার দাবী। শুধু কেউ দাওয়াতী কার্যক্রমে চায় কেউ চাপাতি দেখিয়ে চায়। আর আপনি না বুঝেই কাউকে জঙ্গি কাউকে সাধু রায় দিয়ে দিচ্ছেন! বহু ইসলামী তড়িকা আপনি পাবেন যারা কে হিন্দু, কে মুসলমান, কার মাথায় ঘোমটা আছে বা নাই- কে অবৈধ সম্পর্ক করছে তা নিয়ে মাথা ঘামাতে চায় না। এমনকি সে সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদও মানতে চায় না। আপনি তো এদের প্রেমে পড়ে যাবেন! কারণ আপনি জানেন না তারা চায় ইসলামের শুধু রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠা। তারা মনে করে একমাত্র ইসলামী আইন প্রতিষ্ঠা করলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। নারীদের এখনি বোরখা হাত মোজা পা মোজা পরিয়ে ঘরে জোর করে ঢুকানোর দরকার নেই। সে নিজে সেই শাসন মন থেকে চাক। যখন সে শাসন স্বেচ্ছায় চলে আসবে তখন শরীয়া আইনের শর্ত অনুযায়ীই সকলে দাড়ি রাখবে। মেয়েরা ঘরে থাকবে। সকলে নামাজ পড়বে। অমুসলিমদের জিজিয়া কর দিতে হবে। মুসলিম সেনাবাহিনী কাফেরদের দেশে হামলা চালাবে। এগুলো হচ্ছে রসূলের তড়িকা। রসূল যখন দুর্বল ছিলেন তখন মক্কায় “হেযবুত তাওহীদ” ছিলেন। মদিনায় গিয়ে তিনি “আনসার বাংলা” চেহারা নিয়েছিলেন। এটাই তফাত। ইসলামের কোন শাস্ত বৈরাগ্য রূপ নেই। সম্ভব নয়। যদি সেরকম কিছু কেউ বানাতে চায় তাহলে সেটা ইসলাম হবে না। নতুন কোন ধর্ম হয়ে যাবে। ইসলামের সুফি, মারফতি, সালাফী, পীর, মুফতি, যত মত পথ আছে সকলের লক্ষ্য একটাই- খিলাফত। সেটা কেউ সাধু ফকির সেজে করতে চায়, কেউ ভয় দেখিয়ে আদায় করতে চায়। এতটুকুই পার্থক্য।

#সুষুপ্তপাঠক
#susuptopathok

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted