কেউ কেউ দেখি আজকাল মুসলিম মনীষী হিসেবে হুমায়ুন আজাদকেও নিয়ে আসে।

মালাল ইউসুফজাঈকে আমরা সবাই চিনি। চিনি এবং জানি কারণ তিনি পাকিস্তানি তালেবানদের গুলি খেয়েছেন শুধুমাত্র স্কুলে যাওয়ার জন্য। 

স্কুলে যাওয়ার জন্য কেউ গুলি খেতে পারে এটা শোনামাত্র ই কিন্তু বিস্ময় নয় বিস্ময়াভিভূত হওয়ার কথা। "কারা সে বর্বর যারা স্কুল, শিক্ষা, জ্ঞান, চিন্তা এবং শান্তির বিপক্ষে!"  প্রশ্ন জাগে, মনে বারবার এই প্রশ্ন ই জাগে। 

মালালাকে নিয়ে বৃটিশ ভোগ সাময়িকীর একটি প্রচ্ছদ ছাপানো হয়েছে -- প্রথম আলো সে নিউজটি দিয়েছে এবং সাথে সাথে বাংলাদেশের অগনিত মুসলিম তরুণ মালালাকে চরম আপত্তিকর, অসভ্য, বর্বর গালিগালাজে সয়লাব করে দিয়েছে যদিও মালালা এইসব শুনে নাই কারণ তিনি তো আর বাংলাদেশের প্রথম আলোর পাঠক না। 

বিষয় হচ্ছে এখানে একশ্রেণী গালিগালাজ করছে এরা হচ্ছে চরম উগ্রবাদী তথা এরা সেমি তালেবান। আবার যারা এইসব গালিগালাজে উৎসাহ দিতে লাইক দিয়েছে এরা কোয়াটার তালেবান। এবং যারা এইসব গালিগালাজ দেখে প্রতিবাদ না করে এড়িয়ে গেছে তারা মোডারেট তালেবান তথা চুপাবাজ।

এই যে তিন ধারার মুসলিম তালেবানি তরুণ এদের বাইরে আরেকটি ছোট ধারা আছে যারা এইসব গালিবাজকারি এবং চুপাবাজদের বিরুদ্ধে সবখানে দাঁড়ায় তারা ই হচ্ছে মুসলিম তরুণদের সবচেয়ে অগ্রসরমাণ অংশ। এই অংশটিকে আবার সংখ্যাগরিষ্ঠ উপরের তিনটি অংশ ই কাফের /ইসলামবিরোধী মনে করে। 

আরেকটি মজার বিষয় হলো এখানে যারা পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে গালিগালাজ এবং ক্রিটিকে জড়িত এদের আবার একটা অংশ কোন আন্তর্জাতিক বা হাইপোথিটিক্যাল লেভেলের আলোচনায় মুসলমানদের মধ্যে ও "চিন্তাশীল" খোঁজে। এবং কথায় কথায় তারা সেইসব চিন্তাশীলদের তুলনা দিতে গিয়ে ইবনে সিনাকে নিয়ে আসে, ফারাবীকে নিয়ে আসে, আল - রাজিকে নিয়ে আসে। কেউ কেউ দেখি আজকাল মুসলিম মনীষী হিসেবে হুমায়ুন আজাদকেও নিয়ে আসে। আমি শিওর এরা দু'দিন পর বলবে মামলা একজন মুসলিম নারী মনীষা যেমন এরা ইরানের শিরিন এবাদীকে বলে মুসলিম নারী অধিকারকর্মী। 

এই যে দুদিকে পা দিয়ে চিৎ হওয়া কিছু মোডারেট  বাঙালি মুসলমান এরা ধর্মে আছে জিরাফেও আছে। এরাই মূলত একটি জাতিসত্তার জন্য হুমকি। কারণ এরা সর্ষের ভেতর বসে ভূতের সাথে মোলাকাত করে আবার ভূতের ভেতর ঢুকে সর্ষদানা ধ্বংস করে।

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted