“হিন্দু হটাও, মোদী হটাও, আমাদের বাচাও”

“হিন্দু হটাও, মোদী হটাও, আমাদের বাচাও”
ডাঃ মৃনাল কান্তি দেবনাথ 

হিন্দুরা তাদের নিজেদের মাতৃভুমির চালক হোক এই ব্যাপারটা কাদের পছন্দ নয়? কোনোদিন ভেবে দেখেছেন? আমার মনে হয় না। দেশ ভাগের আসল কারন এবং তার পরবর্তি ঘটনা সমুহ একটু তলিয়ে ভাবলে এর কারন বোঝা যায়। 
এর মুল কারন অর্থনীতি। ভারত সম্পদশালী, ভারতীয় প্রজ্ঞা এই পৃথিবীর মধ্যে শ্রেষ্ট। ঠিক সেই কারনে যুগে যুগে ভারতে এসেছে লুন্ঠনকারী এবং ভয় পেয়েছে ভারতের আধ্যাত্মিক আদর্শে।

একটি জাতির জাতিগত আদর্শ তার মুল প্রান শক্তি। সেই প্রান শক্তি তৈরী করে সব রকমের সম্পদ। ভারত কোনোদিন অন্য দেশ লুঠ করেনি। লুট করা তাদের প্রয়োজন হয়, যাদের কিছু নেই। চুরি ডাকাতি তারাই করে যাদের মধ্যে কোনো ভাবাদর্শ নেই, কিন্তু আদিম প্রবৃত্তি—লোভ এবং লালষা প্রবল। 

ভারতবর্ষে প্রথম লুন্ঠনকারী জাতি হিসাবে আসে “আরবীরা”। আরব থেকে উদ্ভুত “সাম্রাজ্যবাদী শক্তি” ছড়িয়ে পড়ে তৎকালীন পৃথিবীর দিকে দিকে। আরবের পুর্ব দিকে তারা সমস্ত দেশ দখল করে উপস্থিত হয় ভারতের দোড় গোড়ায়। মুল কারন লুঠপাট। ভারতের সম্পদ ( অর্থ এবং জন সম্পদ= দাস দাসী, যৌন দাসী) লুট করে নিয়ে নিজেদের মরুভুমির বালিতে তৈরী হয় মনোরম প্রাসাদ, আমোদ প্রমোদের ব্যাবস্থা। আরবের অসভ্য, বর্বর বেদুইন যুদ্ধবাজদের নিয়ে যে আগ্রাসী লুন্ঠনকারী দল তৈরী হয়েছিলো, তাদের মগজে ঢূকিয়ে দেওয়া হয়েছিলো এক “অশুভ শয়তানী আদর্শ” যার নাম “জেহাদ”। সেই অশুভ আদর্শকে (‘ঊম্মা’ = এক সর্ব ব্যাপি সাম্রাজ্য) বাস্তবে রুপায়িত করার চেষ্টা আজো চলছে।

ইতিহাস বলে না, ইহুদীরা বিশেষ ভাবে কোনোদিন এক “সাম্রাজ্যবাদী শক্তি “ রুপে পৃথিবীর মাটি রক্তে রাঙ্গিয়েছে। ইজরায়েল তাদের পিতৃভুমি “জিহোবা প্রতিশ্রুত ভুমি”। আরবীরা ইহুদীদের নিজ ভুমি থেকে উৎখাত করেছিলো, এটা ঐতিহাসিক সত্য। আজকের প্যালেষ্টাইন মুলত ইহুদীদের জায়গা। চীন প্রথমে তিব্বত দখল করেছে, এখন আমাদের ভারতের ‘অরুনাচল’ দাবী করছে, কোন সুত্রে? না ওই ভুখন্ড নাকি চৈনিক সাম্রাজ্যের অংগ ছিলো। তাহলে ইজেরায়েল যদি বলে “প্যালেষ্টাইন আমাদের” দোষ কোথায়??

আরবীরা তাদের “অশুভ আদর্শ’ শিখেছে খ্রীষ্টান দের কাছ থেকে। ওল্ড টেষ্টামেন্ট এবং নিউ টেষ্টামেন্টের নায়কেরা আরবীদের আদর্শ পুরুষ। খ্রীষ্টানদের থেকেই তারা শিখেছে, ধরো মারো কাটো, দখল করো,লুট করো। সব করো কিন্তু লুন্ঠিতদের “দাস-দাসী” বানিয়ে রাখো, মাথা তুলতে দিয়ো না, তাহলে শতকের পর শতক ওই লুটের ব্যাবসা চলবে না। নিজেরা কতোটা পারবে ?  বিজিত দেশের মানুষগুলোকে দাস-দাসী বানালে তারাই চিরকাল তোমার সেবা করবে , সে ইস্তানবুল হোক আর ভ্যাটিকান হোক। বিজিত দেশের মানুষ গুলোর “আদি কৃষ্টি, ধর্ম, সংষ্কার” সব পালটে দাও, তবেই সেই দেশ শাসন করতে পারবে ( লুটতে পারবে চিরকাল আর তৈরী হবে--- গজনী, ব্যাবিলন, ইস্তানবুল,রোম, লন্ডন, বার্সিলোনা, মাদ্রিদ, প্যারিস।





ব্রিটেন, স্পেন, পর্তুগাল, ফ্রান্স,জার্মানী, হল্যান্ড সবাই করেছে। আরবীরাও করেছে, তাদের বানানো দাসেরা করেছে ( ভারতের সুলতানী আমল ‘দাস বংশ’ নামেই খ্যাত। কুতুবুদ্দিন আইবেক ঘোরীর নিজস্ব দাস ছিলো। গজনীর মাহমুদের ঠাকুরদা আল্পতিগীন কৃতদাস ছিলো)। এই দাসেরা, যারা বহুদিন ভারত শাসন করেছে, তাদের না ছিলো কোনো শিক্ষা দীক্ষা, না ছিলো কোনো শুভ আদর্শ। তারা শুধু জানতো “গনিমতের মাল” – পাঁচ ভাগের একভাগ ‘খলিফা’কে পাঠাও, বাকি একভাগ যাদের দিয়ে মারমারি লুট করাই তাদের দাও, বাকী টা উমর উমরাহ দের দাও আর নিজে ভোগ করো, সে অর্থ হোক আর নারী হোক।

আগেই বলেছি, খ্রীষ্টানেরা শিখিয়েছে, আরবীরা তার নকল করেছে- পুস্তক থেকে শুরু করে দেশ দখল করার ফন্দি ফিকির সব।

ভারতে দুই ধরনের দাস আছে। এক, যারা এসেছিলো সরাসরি ‘আরবীদের দাস’ হয়ে তাদের বংশধর (যেমন বুখারী, ওয়াইসি ইত্যাদি)। আর এক দল যারা এই ভারতের ই সন্তান, কিন্তু ওই বিদেশী দের ধোকায় মাথা বিকিয়েছে।

মাত্র ৩৪ হাজার ব্রিটিশ শাসন করলো দুশো বছর, কি করে? এই ভারতের ই কিছু মানুষ যারা ব্রিটিশের দাস হয়ে গিয়েছিলো, চাকরী বাকরি ইত্যাদি , জমিদারী প্রথা চালু হবার পর (জমিদার) এবং বেশ কিছু ব্রিটিশ বন্ধু সামন্ত রাজা, মহারাজা এবং নবাব দের দ্বারা। জালিয়ান ওয়ালাবাগে ভারতীয়দের গুলি করার হুকুম দিয়েছিলো যে সে ব্রিটিশ কিন্তু যারা গুলি করেছিলো তারা ভারতীয়। ‘জেহাদী শাসনে’ ও ঠিক এমনি ছিলো।

দেশ টাকে ভাগ করাও হয়েছিলো সেই একই কারনে। ভারতের এক তৃতীয়াংশ দিয়ে দেওয়া হলো সেই আরবীদের ( ওরা তো আমাদের আদর্শেই চলে, কিছু তো দেওয়া উচিত) ভক্তদের। এই মহৎ কাজে সাহায্য করলো তিনটি লোক, একজনের ঠাকুরদা হিন্দু ছিলো, একজন “ Hindu by the accident of birth”, একজন সারা জীবন ওদের চামচাগিরি করে গেলো। বাকী টা রয়ে গেলো “হিন্দু নাম ধারী এক জাতির জন্য, যারা প্রকৃত পক্ষে ১০০০  বছর ধরে ইচ্ছায় অনিচ্ছায় দুই বিদেশী ঔপনিবেশিক শক্তির পদলেহন কারী। যারা এর বিরুদ্ধতা করলেন তারা আজ ঐতিহাসিকদের কারসাজিতে বিস্মৃতির অতলে। 

কিন্তু ভ্যাটিকানের আর আরবীদের কিছু “ Unfinished work”  রয়ে গেছে। যে সাম্রাজ্য আমরা দুই ভাই মিলে ১০০০ বছর ধরে শাসন করেছি, লুটেছি, সেই সাম্রাজ্যের অধিকার আবার চাই। সারা পৃথিবী আমরা দুই ভাই মিলে ভাগ করে নিয়েছি। কোথাও হয় তোরা আছিস না হয় আমরা আছি। আফ্রিকা আমাদের দুজনের, ইউরোপ আমাদের, উত্তর এবং দক্ষিন আমেরিকা আমাদের, অষ্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড আমাদের, চীন জাপান কোনোদিন আমাদের ছিলো না, রাশিয়া সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছিলো তা তাকে সামাল দিয়েছি। কিন্তু হিন্দু ভারত নাম ধারী ওই প্রাচীন দেশটাকে ভাগ করেও আজো দুজনে মিলে লুটে পুটে খেতে পারছি না। 

৫৫ বছর খেয়েছি কিন্তু এখন আবার “হিন্দু হিন্দু বলে বেড়ানো কিছু মানুষ” জেকে বসেছে। সরাও ওদের, নইলে আমরা দুই ভাই কি করবো??? 

আরে একজনকে সেই কবে পাঠিয়েছি। তার স্বামী, স্বামীর মা, ঠাকুরদা যে কাজ করে গেছে আমাদের জন্য আজ তার ছেলে আছে, মেয়েকে রাস্তায় নামিয়েছি ( দরকার পড়লে সেই মেয়ের বাচ্চা কাচ্চারাও বড়ো হয়ে উঠছে) ,  তাদের রাজনৈতিক ঘরানায় শিক্ষা লাভ করা মহিলাও তাদের সঙ্গে আছে, আরো আছে বেশ কিছু যাদের “ ফোর্ড ফাউন্ডেশানের বৃত্তি দিয়েছি, বড়ো পুরষ্কার দিয়েছি, কাড়ি কাড়ি টাকা পাঠিয়েছি আমাদের হয়ে কাজ করার জন্য এমন বেশ কিছু দল এবং নেতা নেত্রী আছে) 

হিন্দুদের হাতে, ভারতের ভুমি পুত্রদের হাতে, কিছুতেই ভারতের শাসন তুলে দেওয়া যাবে না। তাহলে সব চেয়ে যেটা ক্ষতি হবে সেটা হলো, “ভারতীয় হিন্দুদের রক্ত চুষে খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। আর হিন্দুরা একবার নিজেদের ক্ষমতা ফিরে পেলে ওরাই সারা পৃথিবীতে আমাদের দুই ভাইয়ের ব্যাবসা বন্ধ করে দেবে। তেলের পয়ষায় আর কতোদিন চলবে, আর আমাদের তো যা ছিলো সব শেষের পথে। 

তাই মোদী হঠাও, হিন্দু হঠাও, আমাদের বাচাও!!!!!!

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted