বাংলাদেশের হিন্দু
প্রথম অধ্যায়
পর্ব ― ৪১
হতদরিদ্র কুলীন ব্রাহ্মণ পরিবারের এতিম সন্তান নিলিমেশ চ্যাটার্জী, জনৈক পুরোহিত ও জনৈক চক্রবর্তী বাবুর অনুগ্রহে লেখাপড়া শিখে সাংবাদিক হিসেবে দেশজোড়া খ্যাতি অর্জন করতে পেরেছে, দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও পুরস্কৃত হয়েছে। সংবাদিক মহোদয়ের উত্থানের পিছনে অবদান রাখা সেই দুই উপকারকারী ব্যক্তির ঋণ, নিলিমেশ চ্যাটার্জী কিভাবে শোধ করেছে- সেই প্রসঙ্গে দু'-চার কথা না বললেই নয়।
উপকারকারী সেই পুরোহিত মহোদয়ের নাবালিকা নাতনি- যে কিনা সাংবাদিকের কন্যার সমবয়সী; সেই মেয়েটিকে ধর্ষণ করতে ব্যর্থ হয়ে, নিলিমেশ চ্যাটার্জী- পুরোহিত মহোদয়ের বিরুদ্ধে পত্রিকায় এমন এক মনগড়া প্রতিবেদন ছাপিয়েছে, যার বিষয়বস্তু ছিল : ঐ পুরোহিত ধর্ম ব্যবসার আড়ালে মাদক কারবার করছে এবং সে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র'-এর এজেন্ট হিসেবে রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত।... পত্রিকায় প্রকাশিত নিলিমেশ চ্যাটার্জীর প্রতিবেদনে প্রভাবিত হয়ে পাকিস্তানপন্থী সরকারের প্রশাসন, সেই পুরোহিতের উপর এমন নির্যাতন শুরু করে; শেষ পর্যন্ত সেই পুরোহিত মহোদয় বাড়ি-ঘর, জায়গা-জমি ফেলে, রাতের অন্ধকারে সপরিবারে ভারতে পালিয়ে গিয়ে প্রাণে রক্ষা পায়।
পুরোহিত মহোদয়ের সর্বনাশ করার পর, নিলিমেশ চ্যাটার্জী টার্গেট করে- অপর উপকারকারী চক্রবর্তী বাবুকে। নিলিমেশ চ্যাটার্জী একদিন চক্রবর্তী বাবুকে বলেছিল, 'আমার কিছু টাকা ইন্ডিয়ায় পাঠানো দরকার।' চক্রবর্তী বাবু বলেছিল, 'চিন্তা করিস না ,আমি পাঠানোর ব্যবস্থা করে দেব খানে...'
সাংবাদিক মহোদয় সেই কথা গোপনে টেপ করে, জায়গা মতো পেশ করে এবং অভিযোগ দায়ের করে যে, চক্রবর্তী বাবু একজন হুন্ডি কারবারি। চক্রবর্তী বাবু গ্রেফতার হয়ে যায়। কথা আদায়ের জন্য সেই নিষ্পাপ বৃদ্ধ লোকটির উপর এমন অকথ্য নির্যাতন চালানো হয়েছে, বাকি জীবন চক্রবর্তী বাবুকে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে লাঠি ভর দিয়ে হাঁটতে হয়েছে, তার কথা জড়িয়ে যেত, ডান হাত দিয়ে ভাত তুলে খেতে পর্যন্ত তার কষ্ট হতো।
সেই চক্রবর্তী বাবু, ছোট ভাইদের মানুষ করতে গিয়ে, দোকানের মালিক থেকে দোকান-কর্মচারীতে পরিণত হওয়ায়- আর্থিক অনটনে বিয়েথা পর্যন্ত করতে পারেনি। চক্রবর্তী বাবুর ছোট ভাইয়েরা, বড় ভাইয়ের কষ্টার্জিত অর্থে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়ে এমন মানুষ রয়েছে- তারা দোকান কর্মচারী বড় ভাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা সঙ্গত ও সম্মানজনক মনে করে নি। জীবনের অন্তিম লগ্নে অত্যন্ত অসহায় অবস্থায় - বিনাচিকিৎসায় চক্রবর্তী বাবু মৃত্যুমুখে পতিত হয়।
নিলিমেশ চ্যাটার্জী, তার আপন ভাগনির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে - যা বাঙালি হি ন্দু সমাজে নিষিদ্ধ ও নিন্দনীয়।
সাংবাদিক নিলিমেশ চ্যাটার্জী আমার দ্বিগুণ বয়সী হলেও দুজনের মধ্যে তুই-তোকারি সম্পর্ক। সে আমাকে 'নাতি' ডাকে, আমি তাকে 'নানা' ডাকি। আমার স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন খবরাখবর নিলিমেশ চ্যাটার্জীর কাছ থেকে পাই, বিনিময়ে ইনফরমেশনের গুরুত্ব ও সত্যতা অনুযায়ী তাকে বকশিশ দেই।
"নানা, কি খবর এনেছিস?"
"বিশু কর্মকার দীনুরে সরাইয়া বড় মন্দিরের সভাপতি হইতে চায়। নাতি দীনুর ডানা ছাইট্টা ফালা।"
"নানা, বিশুদার সাথে আমার ভালো সম্পর্ক। রোজ দেখা হয়। সে তো আমারে কিছু কইলো না!"
"কইবে কি! ও তো জানে তুই দীনুর খাতিরের লোক। নাতি, তুই আমারে সভাপতি বানা।"
"তাইলে মন্দিরের একখান ইটও থাকপে না।"
"বিশু কি সৎ নাকি! শহরে বিশুর জুয়েলারি এখন টপে। সৎ হইলে কি এই রকম রাতারাতি তরতর করইয়া ওঠতে পারতো! কথায় বলে, স্যাকরা মায়ের গহনাও চুরি করে।"
নিলিমেশ চ্যাটার্জীর হাতে দশ টাকার একটা নোট ধরিয়ে দিয়ে, বিদায় করে দিলাম।
এতদিন দীনু বাবুর সঙ্গে চলেছি, আগামীতে তা আর সম্ভব হবে না। যতদিন শহরে আছি, সমাজে প্রভাব বজায় রাখতে, বিকল্প শক্তি বলয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা দরকার। বিশ্বনাথ কর্মকার ওরফে বিশুদার বাসার ফোন নম্বরে ডায়াল করছি। টি এন্ড টি ফোনের এমন বেহাল অবস্থা, লোকাল নম্বরে ঢুকতেও বার বার ট্রাই করতে হয়। তাও মাসে মাসে টাকা দেই - সব সময় টেলিফোন সচল থাকে; সারা মাসে যত কথাই বলি না কেন, আড়াইশো থেকে তিনশো টাকার মধ্যে বিল আসে।
বিশুদার স্ত্রী অর্চনা যখন স্কুলে পড়ে, তখন আমি পুরান বাজারে ওদের পাশের বাসায় ভাড়া থাকতাম। ওরা সপরিবারে নিয়মিত আমার ভাড়া-বাসায় টেলিভিশন দেখতে আসতো। সেই সুবাদে ঐ পরিবারের সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠতা। অর্চনার দাদা সুখেন কর ছিল, সাংস্কৃতিক সংগঠন 'উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী'-র শহর শাখার মধ্যমনি। সুখেন দার সূত্রে বিশুদার সাথে আমার পরিচয়। বিশুদা ছিল সুখেন দার বাল্যবন্ধু। বিশুদা একটি প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিল। বিশুদা আমাকে তার দলে ভেড়াতে না পারলেও, যথেষ্ট স্নেহ করতো।
রিম্পার দিদি ঝুম্পার বিয়ের আগের দিন রাতে, সুখেন দা শ্মশানে গিয়ে বিষপান করে আত্মহত্যা করে। সংবাদ পেয়ে শ্মশানে ছুটে গিয়ে দেখেছি - সুখেন দা মৃত্যুর আগে যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে, কিভাবে মাটি খামচে ধরেছে, আশপাশের ঘাস ও লতাপাতা উপড়ে ফেলেছে। তখন জানতে পারি, সুখেন দা এডভোকেট কৃপাসিন্ধু কুণ্ডুর দুই কন্যা ঝুম্পা ও রিম্পাকে গান শেখাতো। উকিল বাবুর বড় মেয়ে ঝুম্পার সঙ্গে সুখেন দার দীর্ঘদিনের গভীর প্রণয় ছিল। ঝুম্পা পারিবারিক সিদ্ধান্তে একজন প্রতিষ্ঠিত পাত্রের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে যাচ্ছে - এই দুঃখ শিল্পী মননের আবেগপ্রবণ সুখেন দা সহ্য করতে পারেনি।
সুখেন দার মর্মান্তিক আত্মহত্যা আমার কাছে আহাম্মকী মনে হলেও; একমাত্র পুত্রের মৃত্যু-শোকে তাৎক্ষণিক অপ্রকৃতস্থ হয়ে পড়া সুখেন দার মা যখন ছেলের লাশ ধরে বারবার নাড়া দিয়ে বলছিল, 'ও মনা ওঠ বাসায় চল...' ছেলের সাড়া নাই দেখে, সুখেন দার মা যখন আশপাশের সবাইকে বলছিল, 'মনায় রাগ করছে, বাসায় যাইবে না...' সেই সকরুণ দৃশ্যাবলী দেখে, আমার চোখে জল এসে গেছিল।
তখন আমি মহল্লায় নবাগত। ঝুম্পা ও তার দাদা পতিত পাবনের সঙ্গে কলেজে পরিচিত হওয়ার পর, তাদের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কারণে কথাবার্তা হতো; তবে হৃদ্যতা ছিল না। অভিজাত কুণ্ডু পরিবারের গার্জিয়ান লেভেলের কারো সঙ্গে তখন পর্যন্ত পরিচিত হয়ে ওঠার সুযোগ না হওয়ায় সম্ভবত- আমি ঝুম্পার বিয়েতে দাওয়াত পাইনি। পাড়ার লোকদের বলাবলি করতে শুনেছি, 'সুখেন এইভাবে আত্মহত্যা করলো, আর ঝুম্পা বিয়ের আসরে কত হাসিখুশি!...'
সুখেন দার শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে গিয়ে লক্ষ্য করি, অর্চনার সঙ্গে বিশুদার বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। এরপর থেকে অর্চনাকে এড়িয়ে চলতে আরম্ভ করি। আমি যখন মাস্টার্সে ভর্তি হয়েছি , তখন অর্চনা কেবল ইন্টারমিডিয়েট ফার্স্ট ইয়ারে। আগে অর্চনা আমাকে 'দাদা' ডাকতো; বিশুদার সাথে বিয়ে হওয়ার পর থেকে- অর্চনা আমাকে নাম ধরে ডাকে।
অর্চনা ফোন ধরে বলে, "অভিনব, তোমার দাদা তো বাজারে গ্যাছে।"
"বিশুদার সাথে দেখা করা দরকার।"
"বাসায় চলে আসো। দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করে যাবে।"
"তুই কি আমারে রাস্তার লোক ভাবলি! ফোন করলাম দেইখ্যা, খাওয়ার কথা কইলি!"
"তাইলে কি তোমারে গলবস্ত্র হইয়া নেমন্তন্ন করতে হইবে নাকি?"
"বাসায় আইয়া নেমন্তন্ন করবি।"
"*লের নেতা জালাইয়া গ্যাছে একজন!"
"ওরে ব্যাডা, আমি আর দীনুর সাথে নাই রে। জানো য়ার-ডায় আমার লগে বেইমানি করছে।"
"তাইলে আমি তোমার লইগ্গা পোলাও-রোস্ট আরো কি কি রান্না করতে আছি, আইয়া দ্যাখপা হানে।"
"ফোনের নেমন্তন্নে কাম হইবে না। তোর নিজের আইয়া নেমন্তন্ন করতে হইবে।"
"নেমন্তন্ন করতে এ্যাহন যদি তোমার বাসায় যাই, রান্নাবান্না করুম কখন!"
"তুই আবি আর যাবি।"
"ধুন-ফুন বুঝাও আমারে। উঁ!"
অর্চনা ফোন কেটে আবার ব্যাক করে, নমস্কার, আমি কি শ্রী অভিনব রায়ের সঙ্গে কথা বলছি?"
"নমস্কার, বউ ঠাকুরানী। আজ্ঞা করিলে বাধিত হইতাম।"
"অদ্য আমাদের গৃহে মধ্যাহ্নভোজন পূর্বক কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করিবেন।"
"যথা আজ্ঞা বউ ঠাকুরানী।"
দীনু বাবু এসে ফ্যানের নিচে বসে ঘামছে, "কাকা আপনার কি শরীর খারাপ? আজ তো তেমন গরম নেই, কাল রাত থেকে দেখছি ঘেমে যেন স্নান করছেন!"
"আর বইলোনা বাবাজী, কিছু লোক কানকথা কইয়া তোমার আর আমার সম্পর্কটা খারাপ করইয়া দিতে চাইতাছে।"
"কাকা আমি আর কোন কিছুর মধ্যে থাকব না, ঠিক করছি।"
"বাবাজী, দাদায় তো আহ্নিক করিয়া তোমার অপেক্ষায় বইসা রইছে। দাদার খাওয়া-দাওয়া সবকিছু টাইমলি।"
দীনু বাবুর সঙ্গে রিম্পাদের বাসায় গিয়ে দেখি, নিলিমেশ চ্যাটার্জী খাওয়ার টেবিলে বসে আছে। "নানা, তুই আবার এই জাগায় আইছো!"
"আমি কুলীন ব্রাহ্মণ, খাওনের গন্ধ পাইছিনা।"
"তুই তো আইছো আমার নামে স্যারের কানে বিষ ঢালতে। তোর কামই হইছে, বানাইয়া ছানাইয়া এক জনের কথা আরেক জনের ধারে কবি। কার লগে কার লাগাবি!"
রিম্পা বলে, "কি যে শুরু করছে! বাপের বয়সী লোকের সাথে তুই-তাকারি!"
নিলিমেশ চ্যাটার্জী হেসে রিম্পাকে বলে, "অভিনব আমার নাতি। নানা-নাতির কথায় কান দিতে নাই।"
পতিতপাবন, রিম্পা ও তার মা মিলে টেবিলে বিভিন্ন ধরনের খাবার আইটেম নিয়ে আসছে দেখে, আমি বললাম, "এতকিছু কেন! দুপুর বেলা আবার নেমন্তন্ন খেতে হবে।"
দীনু বাবু বলে, "দুপুরবেলা কোথায় নেমন্তন্ন খাবা বাবাজী।"
দীনু বাবু এমনিতেই জানবে যে, তার প্রধান প্রতিদ্বন্দীর বাসায় নিমন্ত্রণ খেতে যাচ্ছি; তবুও তার কানে আগেই পৌঁছিয়ে দিলাম, "কাকা বিশুদা, ঐ যে বিশ্বনাথ কর্মকার।"
দীনু বাবু বিমর্ষ হয়ে যায়। নিলিমেশ চ্যাটার্জী বলে, "দীনুর পতন বিশুর উত্থান।"
"নানা, তুই সবকিছুর মধ্যে জিলাপির প্যাচ লাগাও। আমারে বিশুদায় নেমন্তন্ন করে নায়, করছে তার বউ অর্চনা।"
রিম্পার দিকে তাকাতেই দেখি, সে হঠাৎ গম্ভীর হয়ে গেছে। উকিল বাবু আমাকে বলে, "আভিনব, আনফরচুনেটলি দেয়ার হ্যাববিন্ সাম মিসআন্ডারস্ট্যান্ডিং। বাট আই ওয়ান্ট টু কিপ আপ গুড রিলেশনশিপ অ্যজ বিফোর।"
"সম্পর্ক আগে যেরকম ছিল, এখনও সেই রকমই আছে, ভবিষ্যতেও একই রকম থাকবে। আপনি চিন্তা করবেন না, স্যার।"
দীনু বাবু বলে, "আমি টেনসনে সারারাত ঘুমাতে পারি নাই। তুমি আমার ক্ষতি করবা না তো বাবাজী?"
"প্রশ্নই আসে না কাকা। তাহলে তো কাল রাতেই আপনাদের বন্দুকের নল, আপনার দিকে ঘুরিয়ে দিতে পারতাম। শুনুন, জয়নাল ফালতু; ওকে কেউ কাউন্ট করেনা। তবে দাদু সাব শহরের অল ইন অল ছিল; এখন নেই, কারণ সে বন্দী। দাদু সাবের কিন্তু বাপ আছে। সেই বাপেও আবার বাপ আছে। সেই বাপ-দাদারা এই শহরেই বসবাস করে। তাদের কেউ চেনে না। সেই অদৃশ্য শক্তির রিমোট কন্ট্রোলে দাদু সাব চলে। সম্ভবত দাদু সাহেবের উপরে একজন বস আসবে। যেহেতু সরকার বদল হচ্ছে ...তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রশাসন নিরপেক্ষ। যৌথ বাহিনী টহল দিচ্ছে। এজন্য নিরাপত্তার স্বার্থে দাদু সাব সর্বোচ্চ এক মাস জেলখানায় থাকবে ... কাকা, অদৃশ্য শক্তি আপনার ক্ষতি করে আমার নামে বদনাম ছাড়াতে পারে।"
রিম্পা বলে ওঠে, "অদৃশ্য শক্তি কোন কিছু ঘটাইলে, এই ভদ্রলোকের-ই খালি বদনাম দেয়! তারা অন্য কোন লোকের বদনাম দেয় না কেন?"
নিলিমেশ চ্যাটার্জী বলে, "অদৃশ্য শক্তি ট্রাপে ফালাইয়া আমার নাতিরে তাগো দলে ভিড়াইতে চায়। তারা জানে, আমার নাতি একাই একশো।"
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................