পরীমনি : রাজর্ষি এখন কোথায় ?
---------------------------------------------------
রাজর্ষি যেদিন সিজ্জিনের কপাট ভেঙে পথে এসে দাঁড়ালো, সেদিন তার সম্বল কেবল একখানা ছেঁড়া খাতা,আর শীষ ভাঙা পেন্সিল।
অনেকগুলো ছেঁড়া ছেঁড়া চিন্তা মাথায়-
কোন অদৃষ্টের নির্দেশে তার কবিতার হলো ছুটি?
পূর্নিমার চাঁদ জেগেছিল,
রাজর্ষি নিজেকে শুধালো-এই কি তবে বুভুক্ষা ঝলসানো রুটি?
রাত্রির পুরুষ রাজর্ষি,অচিরে হারালো প্রচলিত শিষ্টতা-
তুলে নিলো হাতে,নদীর পাড়ে খুঁজে পাওয়া, সভ্যতার ধারালো ছুড়ি
নদীর ঢেউ ভাঙার তালে তালে, রাজর্ষি নতুন করে জন্ম দিলো তার ভাঙা পেন্সিলের শীষকে;
তাকে যে লিখতে হবে-
ঈশ্বরের অনুশাসন ভেঙে মানুষ হয়ে ওঠার কথা,
খিদের পাড়ার ডাস্টবিনে, মানুষে-কুকুরে প্রেমালাপের সংলাপ
রাম রহিমের রক্ত হোলির গল্প,
রাজর্ষির কল্পলোক, চুর চুর করে তার চারধার ঘিরে ভেঙে পরলো
মন পুড়িয়ে,গহীন আকাশে উড়ে গেল তার স্বপ্নপাখি;
কারা যেন রাতের নিঃস্তব্ধতা, খান খান করে ভেঙে বলে উঠলো:
'রাজর্ষি তোমার মুক্তি নেই,তোমাকে পরীমনিকে মুক্ত করতেই হবে' !
রাজর্ষির আর গ্লোবাল গ্রামের রাখাল সাজা হলো না।
" এখন রাজর্ষি এক অচেনা পাহাড়ের উপরে একটা ছোট মাচা ঘর বেঁধেছে, সে একাই থাকে। লোকে তাকে প্রায় দেখতে পায়না বললেই চলে। জলপাই রঙের হায়নারা যেদিন পাহাড়ি গ্রামে মেয়ে মানুষ শিকারে আসে, সেদিন কেবল রাজর্ষিকে দেখা যায়, সেই নদীর পাড়ে খুঁজে পাওয়া, সভ্যতার ধারালো ছুড়ি হাতে, রাজর্ষি জলপাই রঙের নারী শিকারিদের সিজ্জিনের ঠিকানা লিখে দেয় ।"
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................