॥কারাহান টেপে, দক্ষিণ তুরস্ক ॥
॥প্রস্তরযুগের মানুষদের বানানো আরাধনা স্থল॥©তুষারমুখার্জী5-1-2022
ছোটবেলা থেকে আমরা পড়ে এসেছি যে মানব সভ্যতার শুরু কৃষিকাজের শুরু থেকে। মানুষ কৃষিকাজ শিখলো, তারপরে মাঠের ফসল ওঠার অপেক্ষায় তারা বাধ্য হলো গালে হাত দিয়ে বসে থাকতে তিন মাস। ফলে তারা আর যাযাবর থাকলো না। স্থায়ী বসতি গড়ল। ঘরবাড়ি বানালো, গ্রাম বানালো, ইত্যাদি ইত্যাদি। তারই সাথে তারা সমাজবদ্ধ জীবনে অভ্যস্ত হল। ক্রমে নিয়মকানুন বানালো। সাথে অন্যের ফসলের জমি দখলের জন্য মারামারি কাটাকাটি করতে শিখলো। বাড়তি ফসল থেকে সম্পদ সঞ্চয় করতে শিখলো, তারই সাথে সেই সঞ্চয় ছিনিয়ে নিতে চুরি ডাকাতি করতে করতে যুদ্ধ অবধি সব শিখে গেল।
মানব সভ্যতার শুরু আর অগ্রগতির এই ধাপগুলো মুখস্ত করেছি, আর পরীক্ষার খাতায় সেই মুখস্থ বুলি উগরে দিয়েছি আমরা সবাই।
কিন্তু এখন যদি বলা হয় সব ভুল। সব ভুল। ভুল কথা পড়েছি, ভুল কথা মুখস্থ করেছি, ভুল কথা লিখে দশে দশ নম্বরও পেয়েছি, তবে মুখের স্বাদ তেতো লাগতেই পারে। রাগও হবে, কেন ভুল শেখানো হল? সব বিদেশি শিক্ষার কুফল। বিদেশিরা আমাদের এগিয়ে যাওয়া রুখতে ইচ্ছে করে ভুল শিখিয়েছে, এবং ইত্যাদি ইত্যাদি।
না। তা না। বিদেশিরাও তাই শিখেছে। কারণ এতকাল সবাই তাই জানত। হালে প্রথম সন্দেহ জাগে জাগ্রোস, পিস কেভ, মেহেরগড় প্রতাপগড় এমনি সব নব্যপ্রস্তরযুগের বসতিগুলো খুঁড়ে বের করার পরে। সেখানে দেখা যায় কৃষিকাজ শুরু হবার আগেও মানুষ স্থায়ী বসতি গড়েছিল। তাদেরও ঘরবাড়ি গ্রাম ছিল, তারাও বানিজ্য করত, দুর দেশ থেকে গয়না কিনে এনে পরত। তখন কিছুটা বোঝা গেল, কিছুটা অনুমান করা গেল যে মাঠে ফসল ফলাবার আগেই ফল ফলারি তরকারির গাছ লাগাতে তারা শিখে গিয়েছিল, সাথে শিখে গিয়েছিল পশুপালন। ফলে যাযাবর শিকারি-সংগ্রাহক জীবন থেকে কিছুটা সরে এসে তারা স্থায়ী জীবনযাত্রা শুরু করেছিল।
যেহেতু ফলের তরকরির গাছ লাগাতে, পশুপালন করতে শিখেছিল, তাই তারা ঘরবাড়ি বানিয়ে স্থায়ী বসতি গড়েছিল। এই কথাগুলো পাঠ্যবই তে লিখে সংশোধন করার আগেই, আবার সন্দেহ, ঠিক এই ভাবেই ঘটনাগুলো পরপর ঘটেছিল তো? না আবার ভুল করছি?
গাছ লাগানো পশুপালন জানার ফলে স্থায়ী বসতি সম্ভব হল, না কি স্থায়ী বসতি গড়া হয়েছিল বলেই গাছ লাগানো পশু পালন সম্ভব হল? কার্য কারণ সম্পর্কের হিসাব। কিন্তু কোনটা কার্য আর কোনটা কারণ তাই তো গুলিয়ে যাচ্ছে, বদলে যাচ্ছে কয়েক বৎসর বাদে বাদে। তা যাক। পাঠ্য বই সেই মত বদলানো যাবে। পরের প্রজন্ম বা তারোপরে (ভারতের বেলা সেটা হয়ত পঞ্চাশ বৎসর পরে) ঠিকই বদলানো হবে। এতো ধর্মের কথা নয় যে একটি শব্দও নাড়াচাড়া করা যাবে না। এ হল বিজ্ঞান। ভুল থাকলে ভুল সংশোধন হবেই। আজ নয় কাল।
এই শেষতম বলা কার্যকারণের হিসাব উল্টে গেছেই এমন কথা এখনো জোর দিয়ে বলা যাবে না। তবে ভাবতে বাধ্য হচ্ছি আমরা। হয়ত গাছ লাগান পশু পালনের জন্য স্থায়ী বসতি গড়ে ওঠেনি, ঘটেছিল উল্টোটা। স্থায়ী বসতি গড়ে উঠেছিল বলেই গাছ লাগাতে হয়েছিল, পশু পালন শুরু করতে হয়েছিল। পেটের খিদে মেটাবার তাগিদেই স্থায়ী বসতির লোকেরা ফলের গাছ লাগাতে শুরু করে, পশু পুষতে শুরু করে, আর তারপরে অনকুল আবহাওয়ায় জন্ম নেওয়া কিছু ঘাসের বীজ খুঁজে পায়, যা তাদের খিদে মেটাতে পারে। তারপরে সেই ঘাস লাগাতে শুরু করে। শুরু হয় আমাদের জানা কৃষিকাজ, মাঠে ফসল ফলানো।
এই নবতম ভাবনার জন্ম দিয়েছে তুরস্কের একটি প্রত্নক্ষেত্র। গোবেক্লি টেপে। ইউনেস্কো হেরিটেজ প্রত্নক্ষেত্রটি ২০০০ সালেই বের হয়ে গেছে। এখন উৎসাহীরা সবাই জেনে গেছেন, পড়ে ফেলেছেন গোবেক্লি টেপের কথা। আজকের আলোচনায় ইতিমধ্যে বহু আলোচিত গোবেক্লি টেপের কথা থাকছে না। তবে ঐ এলাকারই কথা থাকছে।
গোবেক্লি টেপে একটি প্রত্নক্ষেত্র, যা থেকে আমরা ভাবতে বসেছিলাম শিকারি-সংগ্রাহক লোকেরা দীর্ঘ সময় ও পরিশ্রমে অমন ধর্মাচরণ ক্ষেত্রের সৃষ্টি কি করে করল? এতদিন তাকে ব্যতিক্রমি প্রত্নক্ষেত্র হিসাবেই ধরা হচ্ছিল। কিন্তু সেখানেও আমাদের জানার খামতি থেকে গিয়েছিল। এখন জানা যাচ্ছে গোবেক্লি কোন আচমকা ব্যাতিক্রমি প্রত্নস্থল না। গোবেক্লির আশপাশে জন বসতি ছিল মাত্র ১৫০০ বৎসর আগেও। রীতিমত ঘরবাড়ি সহ জনবসতি। এবং একটি বিশাল এলাকা জুড়ে। আনুমানিক ৭০০-৮০০ বৎসর ছিল তাদের বসবাস কাল। এলাকাটি মোটামুটি ১০০ কিলোমিটার বিস্তৃত। এবং কেবল গোবেক্লি টেপে নয় আরো ৩০টি ওরকমের প্রত্ন ক্ষেত্র আছে ঐ এলাকায়। অথচ গোটা এলাকায় ঐ সাড়ে এগার হাজার বৎসর আগে কোন কৃষিকাজ হত না। সেখানে পাওয়া গেছে কেবল পাথরের হাতিয়ার।
এটা এখন সহজবোধ্য যে, এই বিশাল এলাকা জোড়া শিকারি-সংগ্রাহকদের বসতিগুলো প্রমাণ করে মানব সভ্যতার প্রথম ধাপে তারা পা রেখেছিল। এবং সেটা সম্ভব কেবল তখনই, যখন ভাবা যায় যে, স্থায়ী বসতি ছিল বলেই মানুষ পশু-পালন বৃক্ষ-রোপন থেকে ফসল ফলানোতে উত্তরণ ঘটাতে পেরেছিল। এই ভাবনা আরো জোর পাবে যখন খেয়াল করব এই এলাকাটি আনাতোলিয়ায়। যেখানে গম-বার্লি চাষের শুরু হয়েছিল। যে আনাতোলিয়ার কৃষকরা গোটা ইয়োরোপেও কৃষিকাজের জন্ম দিয়েছিল।
আজকের আলোচনার কেন্দ্র হল গোবেক্লি টেপে এলাকার থেকে ৬০ কিলোমিটার দুরে সদ্য পাওয়া আরেকটি আরাধনা স্থল কারাহান টেপে। এটিও শিকারি-সংগ্রাহকদের হাতিয়ার পাওয়া, এবং কৃষিকাজের সাথে সম্পর্কহীণ এলাকা। যদিও অনুমান এখানে লোক বসতি ছিল প্রায় ১৫০০ বৎসর ধরে। তবু কোনরকম কৃষিকাজের কোন চিহ্নই এখানে নেই।
গোবেক্লির কালধার্য হয়েছে ৯হাজার সাধারণ পূর্বাব্দ। সম্ভবত সবে বের হওয়া কারাহান প্রত্নক্ষেত্রটির বয়সও তারই কাছাকাছি হবে।তবে যেহেতু এখনো কোন কালধার্যের প্রচেষ্টা হয় নি, তাই সাদার ভাবে ঐ এলাকার জন বসতির কাল ১১.৫-১২ হাজার বৎসর ধরেই এই আলোচনা এগিয়ে নিচ্ছি।
কারাহানের খনন কাজ শুরু হয়েছে এই কোভিড মহামারীর আমলে ২০১৯ সালে। সেখানে খনন কাজ হয়েছে মাত্র এক বৎসর। এখন পর্যন্ত প্রত্ন এলাকাটির খনন কাজ হয়েছে মাত্র ১ শতাংশ। কাজেই এলাকাটির অনেক কথাই এখনো অজানা। তবু যা জানা গেছে তা হল, বৃস্তিত এলাকা জুড়ে গোবেক্লি টেপের মতই ইংরেজী টি অক্ষরের আকারে তৈরী কাজ করা পাথরের স্তম্ভ ছড়িয়ে আছে। মাটির উপরেই অসমাপ্ত স্তম্ভের খানিক করে বের হয়ে আছে। এমন স্তম্ভের সংখ্যা এখন অবধি গোনা হয়েছে ২৫০টি। ফলে খুব সহজেই অনুমেয়, আজ থেকে ১১.৫-১২ হাজার বৎসর আগে কি বিশাল কর্মকান্ড চলেছিল এই গোটা এলাকায়। ইতিমধ্যে কারাহানের মত আরো ১২টি প্রত্নক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়ে গেছে।
এই প্রাচীন শিকারি-সংগ্রাহকরা তাদের আরাধনা স্থল তৈরী করত আবার পরে এক সময় সযত্নে তাকে মাটি দিয়ে ভরাটও করে দিত। এর সাথে মৃতদের কবর দেবার মিল আছে বলে ধারনা করা হয়েছিল যে কোন না কোন ভাবে এগুলো মৃত্যুর সাথে জড়িত। গোবেক্লি টেপে থেকে উদ্বুত এই ধারনার এখনো বজায় থাকলেও এই কারাহান টেপের আরাধনা স্থল দেখে অনেকটা ভিন্ন পথে চিন্তা করা শুরু হয়েছে।
এ পর্যন্ত যতটা খোঁড়া হয়েছে তাতে বোঝা গেছে কারাহান টেপের আরাধনা স্থল গোবেক্লির থেকে খানিকটা হলেও আলাদা। এখানে আরাধনা স্থল কয়েকটি গোলাকার খোপে ভাগ করা। সহজেই বোঝা যায় খোপগুলো আগে থেকে ভেবে চিন্তে একই সময়ে বানানো। গোবেক্লি টেপের আরাধনা স্থলে ছিল ইংরেজী টি আকারের পাথরের স্তম্ভ যার গায়ে কীট পতঙ্গ ও নানা জীবের মুর্তির অলঙ্করণ। এখানেও তেমন তো ছিলোই, তাছাড়া একটি খোপে ছিল পাথর কুঁদে বানানো ১১টি পুরুষাঙ্গ। লিঙ্গ কথাটা ব্যবহার করলাম না সজ্ঞানে, না হলে অনেকেই ভাববেন শিব লিঙ্গের কথা। না কারাহান টেপেতে সেরকম প্রতীকি লিঙ্গ নয়, যথাযথ পুরুষ লিঙ্গই বানানো হয়েছে। মানে সেই সাড়ে এগার হাজার বৎসর আগে যতটা ঠিকঠাক আকারে বানানো সম্ভব তেমনটাই করা হয়েছে।
বিশালাকার পাথরের পুরুষাঙ্গগুলো খাড়া করে রাখা আছে।
শুধু তাই নয় একদিকের পাথরে একটি মুখাবয়াবও বানানো হয়েছে, যার গলাটি অনেকটা সরিসৃপের মত বলে বিজ্ঞানীরা বলছেন।
এখানেই শেষ নয়
কারাহনের খোঁড়া কয়েকটি গোলাকার খোপের একটিতে, যেখানে ১১টি পুরুষাঙ্গ দাঁড় করানো আছে, তার ঘেরের একদিকের পাথরে একটি ছিদ্র ছিল। দেখা গেল দক্ষিনায়নের কালে ভোরের সূর্যের প্রথম আলোর রশ্মি একটি সরু রেখায় এসে পড়ে একদিকের দেওয়ালে পাথর কুঁদে বানানো সরীসৃপের মত গলা আর মানুষের মুখ নিয়ে থাকা প্রস্তর খন্ডে। এখন সূর্য রশ্মি প্রথমে মুখের একপাশে, তারপরে তারপরে নীচের অংশ হয়ে সব শেষে মাথার উপরদিকটা আলোকিত করে। অথচ সেই গোটা সময় পাথরের খাড়া পুরুষাঙ্গগুলো থাকে আবছা অন্ধকারে। বেলা বাড়লে মুখের শিরোভাগ থেকে আলো সরে গেলে গোটা খোপটি অন্ধকারে ডুবে যায়।
গোটা ঘটনাটি যে নিখুঁত জ্যামিতিক ভাবেই ঘটে তা নয়। খানিক কল্পনার সাহায্য নিতে হয় হয়ত। সাথের ছবিগুলো দেখলে খানিকটা বোঝা যাবে।
তবে একটু কল্পনার আশ্রয় আপাতত নেওয়া যেতেই পারে। হয়ত বানানোর সময় জ্যামিতিক নিপুনতা বজায় রেখেই সূর্যরশ্মি রেখাটি মুখের নীচ থেকে উঠে উঠে ক্রমে মাথার উপরে আলোকবৃত্ত বানাতো। অথবা হয়ত একবারেই গোটা মুখমন্ডল আলোকিত হে উঠত, তা সঠিক বলা মুশকিল। বিগত এগার হাজার বছরে সূর্যের গতিপথের কতটা পরিবর্তন হয়েছে সেই হিসেব করে দেখলে বোঝা যাবে, কতটা কল্পনা আর কতটা বাস্তব। এখনো এই সব নিয়ে তেমন কেউ মাথা ঘামায় নি। নজর করেছেন ও লিখেছেন একজন মাত্র।
ওখানেই আছে এক খন্ড ঢালু পাথর। তার গড়ন এমনই যে তাকে গর্ভবতী নারীর স্ফীত উদর ভাবা যেতে পারে। পাথরে গড়া পুরুষাঙ্গ তার পাশেই নারীর গর্ভবতী স্ফীত উদর রূপী ঢালু পাথর। সব নিয়ে আমাদের কল্পনা একটা নিটোল রূপ নেয় বটে কিন্তু সমস্যা বহুদুর অবধি হল সাড়ে এগার হাজার বৎসর আগের লোকেরা আসলে কি ভেবেছিল তা জানা সম্ভব না। ফলে কল্পনা পাখা মেলতেই পারে বহুদুর অবধি।
সেই স্ফীত উদর রূপী পাথরে করা আছে অনেকগুলো ছোট ছোট গোল গর্ত। এগুলোর ব্যাখ্যা কি হবে? কল্পনা করা হয়েছে এগুলোতে শীতের রাতে কুয়াশা জমে জল হয়ে থাকত। অসম্ভব নয়। সে জল কি কাজে লাগত বা কেন সেই কুয়াশার জল সংগ্রহের জন্য তারা গর্তগুলো বানিয়েছিল?
সেই জলে ভোরের পবিত্র সূর্যকিরণ পড়ে জলকে পবিত্র করে তুলত। এবং তারা সেই জল ব্যবহার করত নানা রোগ বালাই সারানোর ঔষধি হিসাবে। এটাও অবশ্যই কল্পনা। তবে খুব যে অসম্ভব তাও না। হতেও পারে।
কারাহানে সবে খনন শুরু হয়েছে। তাও হয়েছে কোভিডের সময়। তুরস্কের ইস্তানবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক নেসমি কারুলের নেতৃত্বে মাত্র ৩৫জন কর্মীকে নিয়ে এক বৎসর কাজ হয়েছে। তারই মধ্যে যতটা জানা গেছে তা অনেক অনেক। এই কাজ থামছে না, চলবে।
তুরস্ক সরকার গোটা এলাকা জুড়ে কাজের পরিকল্পনা নিয়েছে। যদিও সরকারী স্তরে ১১-১২ হাজার বৎসর আগের ইতিহাস নিয়ে খুব বেশি মাথাব্যাথা না থাকারই কথা, কিন্তু তুরস্ক সরকার দেখছেন এখানে ভবিষ্যতের পর্যটকদের আগমন জনিত বিশাল লাভজনক অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের বৃস্তিতি। শুধু গোবেক্লিতেই ২০১৯ সালে ৪লক্ষ পর্যটক এসেছিল। আরো প্রত্ন এলাকা মানেই আরো পর্যটক। সরকার এই এলাকায় সর্বমোট ৩০টি প্রত্নক্ষেত্রের কাজ করবে। এবং আশা করছে বছরে ৫০লক্ষ পর্যটক এখানে আসবে। তাই ব্যায়-বরাদ্দ রেখেছে ১কোটি৪০লক্ষ ডলার।
গোবেক্লি নিয়ে অন্য ভাবনাও আছে। অত অত পর্যটকের ভীড়, হল্লাগোল্লা, আর সম্ভাব্য ভাঙ্গচুর বা লুটপাট থেকে কি করে রক্ষা করা যাবে এই প্রত্নক্ষেত্রটিকে, তা নিয়ে কপালে ভাঁজ বিজ্ঞানী মহলের। একটি এলাকা ঘেরা দিয়ে ছাউনি তুলে রাখা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা ভাবছেন, একটি মাত্র এলাকা পর্যটকদের দেখার জন্য খোলা রেখে, বাকি গোটা এলাকার থ্রীডি ছবি তুলে, নক্সা বানিয়ে, ভরাট করে দেওয়াই হয়ত সবচেয়ে ভালো হবে।
এবার গোবেক্লির সাথে যোগ হবে কারাহান, এবং আরো সম্ভাব্য ১২টি বা তারও বেশি প্রত্নক্ষেত্র। সরকার ভাবছেন ১০০ কিলোমিটার এলাকায় ৩০টি প্রত্নক্ষেত্র হবে। ৫০ লক্ষ পর্যটক হবে। এসব মিলিয়ে সরকারকে অবশ্যই ভাবতে হবে। এবং ভাবতে হবে বিজ্ঞানীদেরও। এখনই অনেক বিজ্ঞানী অভিযোগ করছেন গোবেক্লিতে পর্যটকদের ভীড় চিৎকার চেঁচামেচিতে সেখানে কোন কাজে মনযোগ দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে।©তুষারমুখার্জী
তথ্যসূচীঃ-
1. The new Karahantepe Settlement may be older than Gobklitepe: By Demiroren News Agency, Sunliurfa Turkey. Nov.27 2020, published in Daily Sabah.
2. Karahantepe: Daily news, Sunliurfa, 10th Sept. 2019
3. Karahantepe: Daily news, Sunliurfa, 4th April. 2020
4. Turkey: Conservation not excavation, focus on Gokelitepe. Handan Kazanci, AA Turkey Culture, Istanbul.
5. Discovery of Turkish 11,400 year old villages challenges when and why humans fist settled down.: The Art News Paper, Istanbul.
6. Karakhan Tepe: Stunning new discovery of Winter Solstice Sun Rise Alignment: By Hugh Newman. 22nd Dec. 2021
চিত্রপরিচিতিঃ-
১. মাটির উপর খানিক বের হয়ে থাকা টি আকারের স্তম্ভ।
চিত্র কৃতজ্ঞতাঃ Daily News, Sunliurfa, Turkey
2. কারাহান প্রত্নক্ষেত্রঃ
চিত্র কৃতজ্ঞতাঃ The Art News Paper Via Esber Ayaydin/Anadolu Agency via Getty Images
3. কারাহান প্রত্নক্ষেত্রের পুরুষাঙ্গ ও মুখমন্ডল সহ বৃত্তাকার খোপটি
চিত্র কৃতজ্ঞতাঃ The Art News Paper Via Ayla Jean Yackley
৪. অধ্যাপক নেসমি কারুল
চিত্র কৃতজ্ঞতাঃ The Art News Paper Via Ayla Jean Yackley
৫. কারহান টেপের পাথরের মুখ ও গলা
চিত্র কৃতজ্ঞতাঃ Reddit : Posted by Pricise Pegion
৬. কারাহান টেপে সূর্যের রশ্মি রেখা পথ
চিত্র কৃতজ্ঞতাঃ Hugh Newman via Ancient Origin
৭. কারাহান টেপে সূর্যের রশ্মি রেখা মুখের একপাশ প্রথম স্পর্শ্ব করেছে।
চিত্র কৃতজ্ঞতাঃ Hugh Newman via Ancient Origin
৮. কারাহান টেপে সূর্যের রশ্মি রেখা মুখের নীচের দিক আলোকিত করেছে।
চিত্র কৃতজ্ঞতাঃ Hugh Newman via Ancient Origin
৯. কারাহান টেপে সূর্যের রশ্মি রেখা মাতার উপরদিক আলোকিত করেছে।
চিত্র কৃতজ্ঞতাঃ Hugh Newman via Ancient Origin
১০. কারাহান টেপে ঢালু পাথরের মধ্যে গর্ত
চিত্র কৃতজ্ঞতাঃ Hugh Newman via Ancient Origin
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................