কাশ্মীরের মার্ত্যন্ড সুর্য্য মন্দির

“কাশ্মীরের মার্ত্যন্ড সুর্য্য মন্দির” 
ডাঃ মৃনাল কান্তি দেবনাথ 

এই পৃথিবীতে যা কিছু শুভ, যা কিছু সুন্দর তার ধংস করা কোনো একটি বিশেষ ধর্ম এবং তার অনুসারীদের এক মহান পবিত্র কর্ম। ইতিহাস তাই বলে। 

আজ যে কাশ্মীরি যুবকেরা ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকতে চায় এবং তার জন্য সেই নয়ের দশক থেকে ধারাবাহিক ভাবে নরহত্যা, নারী ধর্ষন , হিন্দুদের কাশ্মীর থেকে নির্বাসিত করে চলেছে, তারা নিজেরাই জানে না তাদের পুর্ব পুরুষদের কথা। কাশ্যপ মুনির সাধনাস্থল, চিরকাল হিন্দু দেশের এক মুকুট মনি এই কাশ্মীর। কাশ্মীর সনাতনী হিন্দুদের গৌরবের স্থল। সেই কাশ্মীর উপত্যকা আজ এক ‘অশুভ শক্তির’ উন্মদনার স্থান। 

আজ থেকে অনেক বছর আগে , প্রায় ৪৭০০ বছর আগে পান্ডব দের অনেক অধঃস্তন পুরুষ রাজা রামদেব প্রতিষ্ঠা করেন এক বিশালাকায় ‘সুর্য্য মন্দির’ কাশ্মীরের ‘মাঠান’ নামক স্থানে এক টিলার ওপরে। এই মন্দির থেকে সমগ্র কাশ্মীর উপত্যকা দেখা যায়। সেই মন্দিরের নামই “মার্ত্যন্ড মন্দির”। অনেক পরে কাশ্মীরের রাজা ললিতাদিত্য এই মন্দিরের সংষ্কার এবং পরিবর্ধন করেন। বর্তমান ঐতিহাসিকদের কাছে রামায়ন, মহাভারত, শ্রী রাম ,শ্রী কৃষ্ণ, পান্ডব সব গাজাখুরী গল্প। তাই রাজা ললিতাদিত্য পেয়েছেন এই মন্দিরের আদি প্রতিষ্ঠাতার শিরোপা। 

মন্দিরে বহু হাজার বছর ধরে ‘সুর্য্য দেবের’ উপাসনা হতো। আজ সেই মন্দির পড়ে আছে তার অতীতের স্মৃতি নিয়ে। ভারতের ভ্রমন বিলাসীরাও খুব একটা ওই দিকে পা মাড়ান না। তবে হ্যা, বম্বে ফিল্মের পরিচালক তার “হায়দার” ছবিতে এই মন্দিরের ভগ্ন স্তুপকে “শয়তানের জায়গা” বলে উল্লেক করতে ছাড়ে নি। আর যে করেছে , সেই পরিচালক ও একজন হিন্দু নাম ধারী হিন্দু বিদ্বেষী। 

কেনো এই মন্দির আজ নেই বললেই চলে? কারন মরুভুমির আরবী দস্যু যার নাম সিকান্দার শা মিরি, কাশ্মীরের মুসলিম শাসক ঠিক করলেন এমন একটি হিন্দুদের “শয়তানের আখড়া” থাকতে দেওয়া যায় না। তাই ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও। ঠিক যে ভাবে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কোনারকের সুর্য্য মন্দির, সোমনাথের শিব মন্দির এবং আরো প্রায় ৩৩০০ হিন্দু মন্দির। 

না না, একদম না, আমাদের গাল দেবে না। আমরা হচ্ছি “শান্তির ধর্মের পুজারী”। তোরা শয়তানের পুজারী। তাই তোদের সব কিছু পুড়িয়ে , গুড়িয়ে দিয়ে “শান্তি “ প্রতিষ্ঠা হচ্ছে।

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted