“কালাপাহাড় এবং কোনারকের সুর্য্যমন্দির”
ডাঃ মৃনাল কান্তি দেবনাথ
‘কালাপাহাড়ের নাম শোনেন নি এমন দুর্ভাগা বাঙ্গালী আছেন বলে মনে হয় না। গায়ের রং কালো, দানবের মতো চেহারা= ‘কালাপাহাড়’। বাঙ্গালী ‘বৈষ্ণব ব্রাহ্মন তনয়’। ডাক নাম ‘রাজু’। ভালোনাম ‘কালোসোনা রায়’ । উচ্চাভিলাসী এই কালোসোনা বাঙ্গলার আফগানী সুলতান ‘সুলেমান করনানীর’ সৈন্য বাহিনীতে একজন মধ্য শ্রেনীর সিপাহী। সুলতানের সুন্দরী মেয়ে গুলনাজের প্রেমে হাবুডুবু খেতে থাকলো। কিন্তু হিঁদু হয়ে কি করে সুলতানের মেয়েকে বিবাহ করে???? খুব সোজা। বলো “লা ইলাহা ইল্লাল লা মুহম্মদুর রসুল উল্লাহ”= আল্লা এক এবং অদ্বিতীয়, মুহাম্মদ তার একমাত্র রসুল বা নবী। সেই সঙ্গে পুরুষাঙ্গের চামড়া কাটো, মাথায় টুপি পরো। সেই সঙ্গে তোমার পুর্ব পুরুষের সব কিছু ভুলে যাও শুধু নয়, তাদের সব কিছুকে ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও।
হলো ও তাই।‘কালোসোনা হয়ে গেলো “কালাপাহাড়” আর সেই সঙ্গে ‘৫ হাজারী মনসদার নিযুক্ত হলো। জীবনটাই পাল্টে গেলো। কোথায় গরীব ব্রাহ্মন আর কোথায় ‘এলেম ওয়ালা মনসবদার’।
কিন্তু এর পরের কাজ টাও তো করতে হবে। ঐ অসভ্য হিঁদু গুলোর যা কিছু ভালো সব ভেঙ্গে দেওয়ার গুড়িয়ে দেবার কি হবে??? হাতের সামনে আছে ‘কোনারক, পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দির, কামাখ্যার মন্দির’। তো বেরিয়ে পড়লো ‘কালাপাহাড়’ ৫০০০ সৈন্য নিয়ে। একে একে গুড়িয়ে দিলো সব হিন্দু মন্দির। কিন্তু সব কি শেষ হয়????
বাংলার সুলতান হুসেন শাহ। তিনি আর এক ‘খাটি শান্তির দুত”। সে কি!!! এখনো কোনারকের ওই মন্দির অটুট আছে???? তিনি এলেন আবার ভাংলেন। এই ভাবে উড়িষ্যার এবং বাংলার যতো হিন্দু মন্দির ছিলো তার প্রায় সব ধংস হলো। আজকের হিন্দুরা কিচু না জেনে না বুঝে ঘটা করে সেই সব দেখতে যায়। আর বলে “ একই বৃন্তের দুটি কুসুম”==== ।।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................