ধোলাইপাড়ের মুজিব ভাস্কর্য নির্মাণ থেকে সরকার পিছু হটে এসেছে??

ধোলাইপাড়ের মুজিব ভাস্কর্য নির্মাণ থেকে সরকার পিছু হটে এসেছে। শূন্য বেদীটি এখন পড়ে আছে। বিবিসি বাংলার নিউজ থেকে জানা গেছে ভাস্কর্য নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকলেও প্রকল্প এখনো বাতিল হয়নি। চীন থেকে ৯ কোটি টাকা খরচ করে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যটি এনে এখন স্থাপন করতে সরকার ভয় পাচ্ছে। হেফাজত ইসলামের আন্দোলনের পর সরকার বিপদ বুঝতে পেরে ভিন্ন ইস্যুতে হেফাজতের কিছু নেতাকে বর্তমানে আটক করে জেলে রাখলেও চরমোনাই পীরের ছেলে ফয়জুল করিম ধোলাইপাড়ের এই মুজিব ভাস্কর্য তুলে বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেয়ার হুংকার পরও সে বহাল তবিয়তেই আছে এবং সারাদেশে তার সাম্প্রদায়িক ঘৃণার চাষ করে চলেছে। শেখ হাসিনাকে ভারত বাঁচাতে পারবে না বলে হুংকার দিলেও ফয়জুলের হিন্দি চুলও কেউ ছিড়তে পারেনি। উল্টো মুজিব ভাস্কর্য বন্ধ হয়ে গেছে। কথা ছিলো মুজিববর্ষে এই ভাস্কর্য উদ্বোধন করা হবে। বুঝাই যাচ্ছে এই ভাস্কর্য আর হবে না। আওয়ামী লীগের তৃণমূলে প্রগতিশীলতার ছিটেফোঁটাও নেই। এদের সকলেই ধর্মের প্রশ্নে হেফাজত ইসলামের সমর্থক। যুবলীগের সাম্প্রতিক একটি মিটিং শুরু হয়েছে নারায়ে তাকবীর দিয়ে। কেন্দ্র এই শ্লোগান বিষয়ে টু শব্দটি করেনি। কারণ তারাও জানে এই বিষয়ে কথা বললে স্থানীয় আওয়ামী লীগ হেফাজত ইসলামে রূপ নিবে।

বাংলাদেশ আগাগোড়া একটা মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র। এখানকার বুদ্ধিজীবী লেখকরা সবচেয়ে ভন্ড। এরাই মৌলবাদীদের অস্বীকার করে বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অনন্য প্রতীক অভিহত করে আসল চিত্রটি আড়াল করতে চায়। এদের লেখায় কথায় কখনোই আসল সত্যটি ধরা পড়ে না। ভারতের হিন্দুত্ববাদের চিন্তায় এরা পিড়ীত কিন্তু বাংলাদেশের মাদ্রাসা পাশদের উত্থানে এরা শীত নিন্দায়। বাংলাদেশের সাহিত্যে আপনি খুঁজে পাবেন না এদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে আলেম ওলামাদের বিরোধীতাকে। সমস্ত মসজিদগুলি ছিলো পাকিস্তান রক্ষা এক একটি আস্থার প্রতীক। ঢাকায় যুদ্ধের সময় ঈদের নামাজে মসজিদগুলি থেকে পাকিস্তান রক্ষার জন্য বিশেষ মুনাজাত ধরা হয়েছিলো। দেশের বড় বড় সমস্ত পীর ছিলো স্বাধীনতা বিরোধী। কওমি মাদ্রাসাগুলি ছিলো পাকিস্তানের অখন্ডতার জন্য তত্পর। এসব কি আপনি এদেশের কোন উপন্যাস সিনেমায় ফুটিয়ে তুলতে দেখেছেন? হুমায়ূন আজাদ ছাড়া আর কেউ তো লিখেনি।

জীবনে আপনি কখনোই দেখবেন না মসজিদে ২৫ মার্চ নিয়ে দোয়া হয়েছে। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস নিয়ে কোন কথা হুজুরদের বলতে শুনবেন না। কাশ্মীর ফিলিস্তিন নিয়ে তাদের মুনাজাত তো ধরতে দেখেছেন কিন্তু দেশের স্বাধীনতা দিবস বিজয় দিবস নিয়ে তাদের কিছু যায় আসে না। সরকারি বাইতুল মোকাররম মসজিদে সরকারের নির্দেশ দোয়া সেটা অন্য বিষয়। কিন্তু সারাদেশের মসজিদের এই নিরবতা হচ্ছে পাকিস্তান ভাঙ্গার প্রতি তাদের ক্ষোভ। ‘মুসলমানদের পরাজয় ঘটেছিলো রেসকোর্স ময়দানে’- মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে এরকম বক্তব্য রেখেছে এদেশের আলেম সমাজ অতিতে। তাদেরকে কখনো যুদ্ধের ভয়াবহতা নিয়ে কথা বলতে শুনবেন না। কারণ ওটি ঘটেছিলো পাকিস্তানের হাতে। যুদ্ধে হিন্দুদের উপর অত্যাচার একটি বড় বিষয় ছিলো সেটিও একটি বড় কারণ হুজুরদের নিরবতার জন্য। শর্ষীণার পীর যুদ্ধের সময় হিন্দু নারীদের গণিমতের মাল ঘোষণা করেছিলো।... আচ্ছা গণিমতের মাল যেন কি? কোন ধর্মে যেন এই শব্দটা আছে?

#সুষুপ্ত_পাঠক
26 March 2022

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted