ইস্পাত লিঙ্গ
****************************************
গিন্নিকে নিয়ে একাধিকবার জাপানে ভ্রমনে গিয়েছিলাম, কিন্তু জাপানিদের বসন্তকালীন উৎসব কানামারা মাতসুরি কখনই চোখে পড়েনি ! প্রতিবছর এপ্রিল মাসের প্রথম রবিবার পালন করা হয়। এই বৎসর উৎসব হবে পবিত্র রমজান মাসের দ্বিতীয় দিনে !
আল্লা থাকতে এই উৎসব কেমন করে হয় ?
মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে এই মাসেই আল্লাহ কোরানের প্রথম আয়াত, ইসলামের পবিত্র পাঠ, মোহাম্মদের কাছে “দ্যা নাইট অফ পাওয়ার” (বা আরবীতে লায়লাতুল কদর) নামে পরিচিত একটি রাতে নাজিল করেছিলেন।
যখন রমজান মাস শুরু হয়, তখন বেহেশতের দরজাগুলি খুলে দেওয়া হয় এবং নরকের দরজাগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং শয়তানদের শৃঙ্খলিত করা হয়।
কানামারা মাতসুরি’র আক্ষরিক অর্থ ‘ইস্পাতলিঙ্গ উৎসব’। আর সে উৎসবের প্রধান হয়ে আছে পুরুষাঙ্গ।( নাউযুবিল্লা রোজা মকরু হই যাইতেছে )
জাপানিদের প্রবাদে আছে কোনো দাঁতাল দৈত্য নাকি এক মহিলার প্রেমে পড়ে তার যোনিতে লুকিয়েছিল। কিন্তু সেই মহিলার সঙ্গে আলাদাভাবেই দু-জন পুরুষের বিয়ে হলে, বিয়ের রাত্রি সেই দুইজন স্বামীর লিঙ্গ খেয়ে ফেলে সেই দৈত্য।
ভয়ংকর ওই দৈত্যের হাত থেকে রেহাই পেতে সেই মহিলা লোহার লিঙ্গ তৈরি করিয়ে দৈত্যের দাঁত ভাঙে। সেই বিশ্বাস থেকে এই উৎসবের প্রচলন !
কিন্তু এখন জাপানের সাধারণ লোকজন এই উৎসবে প্রার্থনা করে সন্তানকামনায়, সাবলীল বৈবাহিক জীবনের আশায়, বা ব্যাবসায় সমৃদ্ধির জন্য !
যেমন হিন্দুরা শিবলিঙ্গের পূঁজা করে , বাঙালি মুসলমানরা এই নিয়ে ঠাট্টা ব্যাঙ্গ করে থাকে ! তারা জানেনা শিবলিঙ্গ হল হিন্দু দেবতা শিবের একটি প্রতীকচিহ্ন। ধ্যানমগ্ন শিবকে এই প্রতীকের সাহায্যে প্রকাশ করা হয়। শিব ব্রহ্মের ধ্যানে লীন থাকেন। আর সব মানুষকেও ব্রহ্মের প্রতি ধ্যানমগ্ন হতে উপদেশ দেন।
বিচিত্র এই ধর্ম বিশ্বাসগুলো , যারা নিজেদের ধর্মের গাঁজাখোরি গল্পের কথা একতরফা শোনাতে চাইবে , কিন্তু তারা অন্য ধর্মের গাঁজাখোরি গল্পের কথা শুনতে চাইবে না।
হাই টেকনোজজিতে বিশ্বের সেরা দেশ জাপানে প্রত্যক্ষ নাস্তিক শতকরা ৩১ ভাগ হলেও সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের গুরুত্ব নিয়ে ভাবেন না এমন মানুষও আছে অনেক , তাই তারা মুসলমানদের পবিত্র দিনে বসন্তকালীন উৎসব কানামারা মাতসুরি পালন করে ! হ
শুভ সকাল !
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................