ভারত ইসলামের পৈত্রিক সম্পত্তি ভাবার কোন কারণ নেই।
✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍
দেশভাগের পর ৭ দশক অতিক্রান্ত।কিন্তু আজও দ্বিজাতিতত্ত্বের বিষয়টি আলোড়িত।যে কারনে দেশভাগ হল তা আজও প্রবলভাবে বিদ্যমান।মুসলমানরা আজও তাদের পরাজয় মেনে নিতে পারেনি।ভারত যে একটি হিন্দু অধ্যুষিত দেশ এখানে যে আর মুঘল শাসনের কোন বিধানই কার্যকর সম্ভব নয় সে কথাটি আজও মুসলিম সমাজ মেনে নিতে পাচ্ছেনা।তারা আজও ভারতকে ইসলামের পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করে।তাই কখনো ধর্মনিরপেক্ষতার নামে কখনো মুসলিম ধর্মীয় আচারের নামে কখনো আবার অধিকারের কথা বলে তারা সারাদেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়।অতীতে বহুবার তারা এই খেলায় মেতেছে কিন্তু সফল হতে পারেনি।নাগরিকত্ব বিল পাশের পরে তারা সারাদেশ অচল করার চেষ্টা করেছিল।দিল্লি দাঙ্গার পিছনে ছিল নাগরিকত্ব বিলের ছায়া কিন্তু কোন ক্ষেত্রেই তারা সফল হয়নি।বাংলাদেশে দুর্গাপূজার সময় মূর্তিভাঙার পর ত্রিপুরা এবং কলকাতায় চেয়েছিল পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে কিন্তু পারেনি।সম্প্রতি তারা কর্নাটকে হিজাবকে কেন্দ্র করে চেয়েছিল সারাদেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে কিন্তু কর্নাটক হাইকোর্ট পরিস্কার বলে দিয়েছে দেশ চলবে সংবিধান মেনে হিজাব ইসলামের কোন অত্যাবশকীয় অংশ নয়।তারপরও এনিয়ে প্ররোচনা অব্যাহত রয়েছে।কোন মুসলিম দেশে মসজিদে মাইকে আযানের ব্যবহার নেই।কিন্তু ভারতে প্রতি শহরে অমুসলিম মানুষের ঘুম ভাঙে আযানের আওয়াজে।এটা নাকি তাদের অধিকার।
ইসলাম কি কোথাও জনজীবন বিপর্যস্ত করে রাস্তাঘাট আটকিয়ে মৃত্যু পথযাত্রী রোগীর এম্বুলেন্স দাড় করিয়ে রেলক্রসিং অবরুদ্ধ করে ট্রেন দাড় করিয়ে স্কুল কলেজ হাসপাতালের রাস্তা বন্ধ করে নামাজ আদায় করার কথা বলেছে?কিন্তু ভারতের বহু শহরে এই প্রবনতা দিনদিন বেড়েই চলেছে।বিশেষ করে পঃবঙ্গে এনিয়ে কোন রাখঢাক নেই।যখন যার যেখানে ইচ্ছে সেখানে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ছে।সেই জন্য প্রতি শুক্রবার গনপরিবহনের মতো অত্যাবশকীয় সার্ভিস আটকে যাচ্ছে পুলিশ নির্বিকার।
ইসলামের নামে এই যে দখলদারিত্ব অসহিষ্ণু মনোভাব আইনকে বুড়ো আঙুল দেখানোর প্রবনতা তা দেশের আইন সমর্থন করে না।কিন্তু তারা সচেতনভাবে ধর্মের নামে আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যাচ্ছে।বিজেপি ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত এসব নিয়ে কোন কথা উঠেনি।কারণ এর সাথে ছিল তোষামোদি আর ভোটের রাজনীতি।পূর্ববর্তী সরকারগুলো কখনো এসব বেআইনী কাজ প্রতিরোধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।কিন্তু এই সরকার মানুষের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার অঙ্গিকার করে ক্ষমতায় এসেছে তাই বিজেপি সাম্প্রদায়িক দল।এমন অনেক কিছু ইসলাম সমর্থন করে না কিন্তু একশ্রেণির মুমিন ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা করে একশ্রেণির আলেমদের প্ররোচনায় পড়ে এবং চিহ্নিত কিছু রাজনৈতিক নেতাদের মদতে ইসলামকে একটি অসহিষ্ণু ধর্মে পরিনত করেছে।এই অসহনশীলতার পিছনে রয়েছে জাতিবিদ্বেষ এবং ইসলামের অন্ধকার দিনকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা।
ইসলামের বিধানের জন্যই মুসলমান ভারতকে স্বদেশ মনে করে না।বিশ্বাস করে না সকল ধর্মের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে।অমুসলমানদের পরাজিত করে ভারতসহ সারা পৃথিবীতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাই তাদের স্থির লক্ষ।ভারতে ধর্ম নিরপেক্ষতা সেই নিরিখেই বিচার্য।ধর্মীয় সহিষ্ণুতা যদি ধর্ম নিরপেক্ষতার মূল বৈশিষ্ট্য হয়ে থাকে তাহলে পৃথিবীর সব গনতান্ত্রিক দেশই ধর্ম নিরপেক্ষ। কিন্তু ইসলাম সে কথা শিকার করে না।পৃথিবীতে যত সভ্য দেশ আছে সেখানে প্রথমে তারা সংখ্যালঘু তারপর জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে তারা হয়ে যায় ইসলামী শাসনের দাবিদার।গত দেড় বছরে ফ্রান্সের সরকার ২২টি মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে।অথচ সে দেশে অন্য ধর্মাবলম্বীদেরও ধর্মস্থান রয়েছে।তাদের নিয়ে ফ্রান্স সরকার বিব্রত নয় যতদূর মসজিদ নিয়ে।সেখানে ইসলামী বই নিষিদ্ধ।এখনো পোল্যান্ডের মতো ফ্রান্সে কোরান নিষিদ্ধ হয়নি।তবে অদূরভবিষ্যতে যে সেখানে নিষিদ্ধ হবে না এমন গ্যারান্টি নেই।পোল্যান্ডের এক সাংসদ বলেছেন,আমরা ২০ লক্ষ ইউক্রেনীয়দের জায়গা দেব কিন্তু একজন মুসলিমও নয়।জাপানে ইসলাম নিষিদ্ধ।সে দেশে ইসলাম প্রচার আইনতঃ অপরাধ।কোন মুসলিমকে সে দেশে নাগরিকত্ব দেয়া হয়না।মায়ানমার থেকে ১০ লক্ষ জেহাদি মুসলমানদের সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় তাড়ানো হয়েছে।অস্ট্রেলিয় সরকার বলে দিয়েছে হয় আইন মান নইলে দেশ ছাড়ো।
ভারতে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু।কিন্তু দেশভাগের পর থেকে যারা শাসন ক্ষমতায় ছিল তারা কেউ হিন্দুর পাঁচ হাজার বছরের পরম্পরাকে লালন করেনি করেছে তোষামোদির রাজনীতি।যার জন্য এত বছরের অভ্যাসকে হিন্দুত্বে কনভার্ট করা খুব সমস্যা।বিজেপি সে চেষ্টা করছে।যার জন্য তারা সাম্প্রদায়িক অথচ যারা ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা বলে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে তোষণ করে যাচ্ছে তারা কেউ সাম্প্রদায়িক নয়।ইংল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় ধর্ম প্রোটেষ্ট্যান্ট।সে দেশে চার্চ ও রাষ্ট্রের মধ্যে রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক।রাজা হলেন চার্চের প্রধান।রাজবংশের কেউ ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের নারী বা পুরুষকে বিবাহ করলে সে সিংহাসনের অধিকার হারাবে।সেক্ষেত্রে ভারতের প্রধানমন্ত্রী যদি রাষ্ট্রীয়ভাবে কোন মন্দির পরিদর্শনে যায় তাহলে দেশ অশুদ্ধ হয়ে পড়বে।জার্মানিতে খ্রিষ্টান ধর্মের অনেক সম্প্রদায়ের বাস।সেখানে রাষ্ট্র দুটি সম্প্রদায়ের জন্য কর সংগ্রহ করে।উপরন্তু স্কুলে দেয়া হয় ধর্ম শিক্ষা।আর ভারত এখনো সমান্তরালভাবে সর্বত্র ধর্ম শিক্ষার কথা বলতেই পাচ্ছেনা।পঃবঙ্গে তো মহাভারত পড়ানো নিষেধ। অথচ মাদ্রাসায় ধর্ম শিক্ষার উপর নিষেধাজ্ঞা নেই।
সুপ্রিমকোর্ট সম্প্রতি এক রায়ে বলেছে,"হিন্দু ধর্ম হলো ভারতের জাতীয় ধর্ম"।ভারতে হিন্দুধর্ম হিন্দুত্ব আজ উপহাসের বস্তু সেকুলাররা মনে করে হিন্দু পরিচয় কলঙ্কের।গান্ধীর হিন্দু-মুসলিম মিলন যজ্ঞে আত্মাহুতি দিয়েছে অর্ধ কোটি হিন্দু,দ্বিখণ্ডিত হয়েছে মাতৃভূমি।খন্ডিত ভারতে ধর্ম নিরপেক্ষতার ছদ্মবেশে সৌদি আরবের অর্থে লালিত হয়ে প্রথম ও প্রধান লক্ষ হল হিন্দুধর্ম ও হিন্দু জাতি।ভারতের সভ্যতা সংস্কৃতি সব অর্থেই হিন্দু সভ্যতা।কিন্তু ধর্ম নিরপেক্ষতার ধ্বজাধারীরা তা অস্বীকার করার সব ধরনের চেষ্টা করে যাচ্ছে।একি কোন অশুভ সংকেত?স্বামীজী বলেছেন,"ধর্ম ভারতের অবনতির কারণ নয়, প্রকৃত ধর্মের অভাবই ভারতবাসীর দুঃখের কারন"।ভারতীয় পরা ও অপরা সকল বিদ্যার উৎস এই ধর্ম চেতনা। ভারতে তাই মুসলমান ও ধর্ম নিরপেক্ষ জোট জেহাদ ঘোষণা করেছে সেই হিন্দুধর্ম ও হিন্দু জাতির বিরুদ্ধে। তাই সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এখন থেকেই সচেতন না হলে বরন করে নিতে হবে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................