মুসলমান কখনোই ভালোবাসার মূল্য দিতে জানে না। তারা তাদের ভালোবাসার মানুষকে শর্ত দিবেই ‘যদি আমাকে বিয়ে করতে চাও তাহলে তোমাকে অবশ্যই ইসলাম গ্রহণ করতে হবে’। মুসলিম নারী হোক কিংবা পুরুষ, ধনী হোক কিংবা গরিব। ভালোবাসার মানুষের ধর্মটিকে কেন ভালোবাসা গেলো না?
ভিনদেশী এক সাদা মানুষ সম্পূর্ণ অচেনা একজন গ্রাম্য মহিলাকে নিজের টাকায় বিপুল অর্থব্যয় করে চিকিত্সা করালেন। এরকম একজন মানুষকে একমাত্র মুসলমানই পারে শর্ত দিতে ‘যদি আমাকে বিয়ে করতে চাও তাহলে তোমাকে মুসলমান হতে হবে’।
বাংলাদেশে এসেছিলেন এই অস্ট্রেলিয়ান ম্যালকম আর্নল্ড বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে লেখালেখি করতে। একই সঙ্গে তিনি একজন আর্টিস্ট। মোংলা ঘুরতে গিয়ে দরিদ্র হালিমা বেগমের সঙ্গে তার পরিচয়। ম্যালকম অস্ট্রিলিয়ায় ফিরে গেলেও হালিমা বেগমের সঙ্গে চিঠি চালাচালি হতো। এর মধ্যে হালিমা গুরুতর অসুস্থ হলে ম্যালকম দুই হাজার ডলার নিয়ে বাংলাদেশে এসে তার চিকিত্সা করান। পরে হালিমাকে বিয়ে করার কথা জানালে হালিমা তাকে শান্তির ছায়াতলে আসার শর্তের পাশাপাশি তাকে বাংলাদেশে থেকে যাবার শর্ত দেন। ম্যালকম ভালোবাসার টানে অস্টিলিয়া থেকে তার বাড়ি বিক্রি করে সমস্ত টাকা পয়সা নিয়ে হালিমার কাছে চলে আসেন। এখন ঢাকা ট্রিবিউনের নিউজ অনুযায়ী ম্যালকম হত দরিদ্র জীবনযাপন করছেন। হালিমা তাকে ছেড়ে যায়নি। কিন্তু ম্যালকমের চিকিত্সা করার পয়সা পর্যন্ত নেই।...
বাংলাদেশের বাসে প্রায়ই দেখতাম কিছু ভিক্ষু উঠত। এরা বলত হিন্দু থেকে মুসলমান হয়েছে আত্মীয় স্বজন সবাই ত্যাগ করেছে সবাই যেন সাহায্য করে। নওমুসলিম হয়ে বাসে ট্রেনে উঠে ভিক্ষে করার পাশাপাশি ভয়ংকর জঙ্গি হতেও দেখেছি। ভারতের সিদ্ধার্থ একটি করুণ উদাহরন। গিটার বাজিয়ে গান গাইত সিদ্ধার্থ, মুসলিম মেয়ের প্রেমে পড়ে নওমুসলিম হয়ে সে যোগ দেয় আইএসে। সিদ্ধার্থের নৃসংস খুনোখুনি ছবি প্রকাশিত হলে মানুষ শিউরে উঠেছিলো। নওমুসলিম হওয়ার পেছনে ৯৯ ভাগ কেসই মুসলিম নারী অথবা পুরুষকে বিয়ে করার শর্ত পূরণ করতে। ম্যালকম যদি কোন মুসলিম নারীর ভালোবাসার বদলে অন্য কোন ধর্ম সম্প্রদায়ের ভালোবাসায় পড়তেন তাহলে কি তাকে এই শর্তের বেড়াজালে পড়তে হত? আমি কিন্তু হালিমা বেগমকে দোষ দিচ্ছি না। তাকে বরং আমি ধন্যবাদ জানাই। যদি তার জায়গায় ম্যালকম কোন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মুমিনার প্রেমে পড়ত তাহলে এতদিনে তার চেহারা হতো গোঁফহীন দাড়িওয়ালা ভয়ংকর দর্শন। হয়ত মাদ্রাসায় পড়ালেখা শুরু করে ওয়াজ করা শুরু করত। তারপর খ্রিস্টান ধর্ম নিয়ে নোংরা নোংরা কথা বলত। আইএস বা জেএমবিতে যোগ দিয়ে হয়ত গ্রেফতার হলে আমরা জানতে পারতাম একজন অস্ট্রেলিয়ান নওমুসলিম গ্রেফতার হয়েছে...। কপাল ভালো হালিমা বেগম ইসলামের কিছুই জানে না। সহজাত মুসলমান বানানো ছাড়া তার অন্য কোন ইসলামিক উদ্দেশ্য ছিলো না। ম্যালকমের দারিদ্রতার জন্যও হালিমাকে দোষ দেয়া যায় না। ইংলেন্ডের সপ্তম রাজা প্রেমের জন্য সিংহাসন ছেড়েছিলেন। আমি বরং খুশি ম্যালকমকে সিদ্ধার্থের মত জিহাদী হতে হয়নি। সে এখনো ছবি আঁকত। ছবি বিক্রি করেই সে পেট চালাতো। অসুস্থতার কারণে এখন সে ছবি আঁকতে পারে না। তার শেষ বয়েসে বাংলাদেশে চলে আসাটাকে আমি কি বলব বুঝে উঠতে পারছি না।
#সুষুপ্ত_পাঠক
28 April 2022
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................