ইরানীরা ছিলো পার্সিক অগ্নি উপাসক। এই জাতির নববর্ষের নাম হচ্ছে ‘নওরোজ’। ইরানকে যখন ইসলাম দখল করে তখন সেখানে পার্সিকদের নিজস্ব সংস্কৃতির উপর হামলা শুরু হয়। তাদেরকে নওরোজ ত্যাগ করতে বলা হয়। আবদুল্লাহ ইবনে আমর ফতোয়া দেন, ‘যে ব্যক্তি অনারব তথা অমুসলিম দেশে বাসস্থান নির্মাণ করে এবং তাদের নওরোজ ও মেহেরজান উৎসব পালন করে তাদের সাদৃশ্য অবলম্বন করে, অতঃপর এ অবস্থার ওপরই তার মৃত্যু হয়, তাহলে ওই সব কাফেরদের সাথেই তার হাশর হবে।’ (আসসুনানুল কুবরা, বাইহাকি : ৯/৩৯২)।
ইরানীরা জাতিগতভাবে তাদের নিজস্বতা অনেকখানি হারিয়ে ফেলে ইসলামের আগ্রাসনের ফলে তবু একটা কাজ তারা করেছিলো, ইসলামের কোন পরিভাষা তারা গ্রহণ করেনি। সালাতকে তারা ‘নামাজ’ সওমকে তারা ‘রোজা’ আল্লাহকে তারা ‘থোদা’ করে নিয়েছিলো। এই শব্দগুলি তারা অগ্নি উপাসক থাকার সময়ও ব্যবহার করত যা তাদের নিজস্ব ভাষায়। কিন্তু নওরোজের উপর আক্রমন ছিলো আছে থাকবে...।
বাঙালী মুসলমানদের নববের্ষর উপর ইসলাম আক্রমণ করবে বলাই বাহল্য কারণ ইসলাম ভাষা সংস্কৃতি জাতীয়তাবাদের উপনিবেশ চালায়।
সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা।
14 April 2022
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................