পরকালে বেশ্যালয় গমনের জন্য ইহকালকে রক্তাক্ত করার অধিকার কে দিলো ?
----------------------------------------------------------------------------------------
বিশ্বের যে কোনো জায়গাতে যখন ইসলামী সন্ত্রাসের থাবা পরে, সেটা মানুষের গায়ে গাড়ি উঠিয়ে হত্যা, টিউব রেলে বোমা ফাটিয়ে হত্যা, রেস্তোরায় ঢুকে মানুষ মেরে বা কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফের জওয়ানদের গাড়িতে আত্মঘাতী বোমার হামলা করে, যেটাই হোক না কেন, দুনিয়ার সেকুলাঙ্গার, মডারেটরা এই ইসলামী জঙ্গি জেহাদকে আড়াল করে, মুসলিমদের প্রতি সামাজিক অবজ্ঞা, অবহেলা আর অত্যাচারের থিওরি কপচে এটা প্রমান করতে উঠেপরে লেগে যায় যে ইসলাম জঙ্গিবাদকে সমর্থন করে না। হামলাগুলোতে জড়িত কতিপয় মুসলিম অত্যন্ত সামাজিক বৈষ্যমের শিকার হয়ে জেহাদি জঙ্গি হয়ে গেছে। এর সাথে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই, এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এই ধরুন না কেন, কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফের জওয়ানদের গাড়িতে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো আদিল আহমেদের কথা, যে কিনা তার বাবার বয়ান অনুযায়ী, কেবল মুসলিম বলে চরম সামাজিক বৈষ্যমের স্বীকার হয়েছিল আর তাই ২০১৮ সালে পাকিস্তান মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদে যোগদান করে আর তারপর ? তারপরের ঘটনা ১৪ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ আমরা সকলেই তো জানি। ইসলামী জঙ্গি আদিল আহমেদের বাবার কথা যদি সত্যি হয় , তাহলে হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ঘটনাতে জড়িত আরেক ইসলামী জঙ্গি শরিফুল ইসলাম সম্পর্কে মডারেট,সেকুলাঙ্গার সুতিয়ারা কোন লজিক খাঁড়া করবে ? শরিফুলের বাবা বাগমারা পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক আবদুল হাকিম স্বপ্ন দেখতেন, তার বড় এই ছেলে সরকারি প্রশাসনিক কর্মকর্তা (বিসিএস ক্যাডার) হবে। শরিফুল ইসলামের মেধাবী হিসেবে নামডাক ছিল। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পেয়েছিল ছেলেটি। এই শরিফুল ইসলামও কি শতকরা ৯০% মুসলিমের দেশ বাংলাদেশে একজন মুসলিম বলে অত্যন্ত সামাজিক বৈষ্যমের শিকার হয়ে জেহাদি জঙ্গি হয়েছিল ? শরিফুল ইসলামের বাবা কিন্তু তার জঙ্গি ছেলে সম্মন্ধে সামাজিক বৈষ্যমের সাফাই না গেয়ে বলেছিল : ‘আমার ছেলে যদি জঙ্গি হামলা বা শিক্ষক হত্যায় জড়িত থাকে, তাহলে অবশ্যই তার সাজা হওয়া উচিত। আমি চেয়েছিলাম, আমার ছেলেটি লেখাপড়া শিখে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হবে। ওকে নিয়ে আমার স্বপ্ন নষ্ট হবে, তা ভাবিনি।’
পাঠক, এই হদ্দ সুতিয়া মডারেট, সেকুলাঙ্গার আর আবাল আপাত কমিউনিস্টদের কাছে আমার প্রশ্ন : শতকরা ৯০% মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে, সরকারি পাঠ্যবই পঞ্চম শ্রেণির ‘ইসলাম ধর্ম ও নৈতিকতা শিক্ষা’ তে, অমুসলিমদের মিথ্যাবাদী,সম্পদ আত্মসাৎকারী এমনকি ‘পশুর চেয়ে অধম’ হিসেবে লিখিত প্রকাশ করা হয়েছে এবং সেই পাঠ্যবই বাংলাদেশের মুসলিম, অমুসলিম নির্বিশেষে সকলে পড়ছে। এই বই পড়ে, সামাজিক বৈষ্যমে মানসিক আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে, বাংলাদেশের পঞ্চম শ্রেণীতে পাঠরত শিশুরা বড় হয়ে জঙ্গি হয়ে উঠছে না কেন ? বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানদের মধ্যে থেকে তো গা কাঁপানো জঙ্গির উত্থান হওয়ার কথা ছিল কিন্তু বাস্তবে সেটা হয়নি। কারণ কি ? কারণ একমাত্র ইসলামই তার ধর্মগ্রন্থ কোরানের মাধ্যমে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছে :
➤ অমুসলিমদের বিরুদ্ধে জিহাদে নেমে তাদের খতম করতে পারলেই সাচ্চা মুসলমানের কপালে নাচছে জান্নাত।
➤ অপার্থিব জান্নাতেও থাকবে অঢেল মদ, নারী ও সুস্বাদু খাবারদাবার।
➤ চিরকুমারী সুন্দরী রমণী হুরেদের সাথে যৌন মিলন ৬০০ বছর স্থায়ী হবে (Aldous Huxley, Moksha, Chatto & Windus, London, 1980, p-112)।
কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফের জওয়ানদের গাড়িতে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো আদিল আহমেদ তার বক্তব্যে উল্লেখ করেছে যে এই জান্নাতের হুরদের সঙ্গ লাভই তাকে অনুপ্রাণিত করেছে ইসলামের ঐশী কিতাব কোরানে বর্ণিত অমুসলিমদের বিরুদ্ধে সাচ্চা মুসলিমদের অবশ্য পালনীয় পবিত্র ধর্মীয় কর্তব্য 'জিহাদ' এ অংশ নিতে। ঠিক এই একই আদর্শ উদ্বুদ্ধ করেছিল শরিফুল ইসলাম, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, খায়রুল ইসলামদের। কাল্পনিক পরকালের বেশ্যালয় জান্নাত গমনের নেশায়, বাস্তবিক ইহকালকে রক্তাক্ত করার অধিকার এই সাচ্চা মুসলমানদের কে দিলো ?
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................