লাভ জিহাদ

লাভ জিহাদ সম্পর্কে কিছু কথা  
-----------------------------
প্রথমে জানতে হবে - জিহাদ বস্তুটা কী ?  জিহাদ হলো - দার উল হারব কে দার উল ইসলামে পরিনত করার  একটি পথ । এই পথটা হলো - যুদ্ধ  । হিন্দুদের রামকৃষ্ণ পরমহংস  বলে গেছেন - যত মত তত পথ ।  উনি হয়ত কোরান  পড়েন নি । তাই এই কথাটা বলতে পেরেছিলেন । পড়লে বলতেন না । তাঁর এত যে শিষ্য সামন্ত ছিলেন তাঁদের মধ্যে  কয়জন ইসলাম ধর্মাবলম্বী  ছিলেন  ? কেউ না । ওনাদের মতে  - পথ একটাই ,  সেটা হলো - আল্লাহ । মহানবীর বানী ছিল - যেখানেই বহুদেবদেবীবাদিদের পাবে , সেখানেই  তাদের হত্যা  করবে । আর নাহলে ছলে বলে কৌশলে ইসলামে কবুল করাবে ।

জিহাদ  সম্পর্কে  কোরানে কী বলা হয়েছে সেটা দেখা যাক । কোরানের  অষ্টম সুরা  ' সুরাতুল আনফাল ' এবং নবম সুরা   সুরাতুল তওবা ' ই যথার্থ জিহাদি  সুরা । সেখানে  বলা হয়েছে  - পৃথিবী  থেকে  পৌত্তলিকদের উৎখাত  করে  সারা বিশ্বে আল্লাহর  ধর্ম প্রতিষ্ঠা  করাই  মুসলমানের  পরম কর্তব্য  ।

লুটপাট  ও অগ্নিসংযোগ  ইসলাম ধর্ম  পালনের অঙ্গ বিশেষ । হাদিস মতে তা অবশ্যই   বিধর্মীর  ঘরবাড়ি  ও ধনসম্পত্তি  হতে হবে । এই অনুযায়ী  কত যে অত্যাচার  চালানো হয়েছে অতীতে এবং বর্তমানকালে তা লিখে শেষ করা যাবে না । ইসলামী  মতে জিহাদের পারলৌকিক ফল হলো ' জান্নাতুল ফিরদৌস ' আর ইহলৌকিক ফল হলো ইসলাম প্রসার , জিজিয়া  আর গনিমতের মাল প্রাপ্তি । এই গনিমতের  মাল হলো কাফেরদের নারীরা । বন্দি করো কাফেরদের  নারীদেরকে , ভাগ বাঁটোয়ারা করে নাও এবং খুশিমতো ভোগ  কর এই হলো ইসলামের  বিধান ।

কাফের হিন্দুরা চিরকাল  পরলোক  নিয়ে  আত্মহারা  হয়েছে । তাদের কাছে ব্রহ্ম সত্য  জগৎ মিথ্যা  । আর সে কারনেই  অতি সহজেই  তারা পরাভূত  হয়েছে মরুদস্যুদের  কাছে । শস্ত্রের সাথে অস্ত্রচর্চারও যে প্রয়োজন  আছে এটা তাদের  মগজে কোনদিন ঢোকেনি । যখন বৃটিশ শাসনের " অবসান " হলো তখন মোঃকঃগান্ধীর  বক্তব্য  ছিল ভারতের কোন সেনাবাহিনী  থাকবে না , থাকবে শুধু  পুলিশ , এই পুলিশ বাহিনীর কাজ হবে দেশের  আভ্যন্তরীণ  শৃঙ্খলা  রক্ষা করা । বুঝুন  সব হয় পাগল নয়  মিচকে শয়তান  ।

এবার  আসি লাভ জিহাদের  বিষয়ে  । লাভ মানে ভালবাসা  । ইসলামিক  যুবকদের  উদ্বুদ্ধ  করা  হয় হিন্দু  মেয়েদের  সঙ্গে  প্রেমের  সম্পর্ক  স্থাপন  করা , ধর্মনিরপেক্ষতার ভান করা , সম্পর্কের গভীরে গিয়ে  শারীরিক সম্পর্ক  স্থাপন  করে বিয়েতে বাধ্য করা , তার আগে ধর্মান্তরিত  করা , বিয়ের পর সন্তান  উৎপাদন করে তারপর  খুন করা আর নাহলে লাথ মেরে  তাড়িয়ে  দেওয়া  এ সব এখন হামেশাই  ঘটছে ।  এই ব্যাপারে  তারা মসজিদ কমিটি  থেকে টাকা পয়সাও পেয়ে  থাকে ।  কী বাংলাদেশ  কী ভারত কোনখানেই হিন্দু  মেয়েরা সব দেখেশুনেও কোন শিক্ষা  গ্রহণ  করছে না ।  হলদিয়াতে সেই মুসলিম  যুবক  যে কিনা হিন্দু  মা ও মেয়েকে  ভোগ করার  পর আগুন দিয়ে  পুড়িয়ে  মারল তার  কি কোন বিচার  হয়েছে ? কামদুনির ধর্ষকদের শাস্তি  হয়েছে ? হয় নি । 

দেশের  খবরের কাগজগুলো  হয়েছে এই লাভ জিহাদের  সমর্থক  । তারাও অনেকেই  পেট্রোডলারে পুষ্ট । রিজওয়ানুর রহমান  আত্মহত্যা  করল । অমনি আনন্দবাজার পত্রিকা  প্রথম  পৃষ্ঠায়  হেডলাইন  করল - " মেরে  জানেকে বাদ আওয়াজ  উঠানা " । চারদিকে  হেচৈ পড়ে গেল । মমতা ব্যানার্জি  সামনের সারিতে  চলে এলেন এই সুযোগে । রিজওয়ানের মায়ের গলা ধরে কান্নাকাটি  করলেন । আর , এতদিন ধরে যে মুসলিম  সম্প্রদায়ের মানুষ বামফ্রন্টকে ভোট দিয়ে  34 বছর ক্ষমতায়  রেখেছিল তারা সব তৃণমূল  হয়ে গেল ।

মুসলিম  মেয়ে  ভালোবেসে হিন্দু  ছেলেকে  বিয়ে  করলে মুসলিম সমাজ  সেটা মেনে নিতে চায় না  । মুসলিম  সমাজ  থেকে হিন্দু  ছেলেকে  প্রস্তাব  দেওয়া  হয় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে  । ছেলেটি  রাজি না হলে তখন একটা কৌশল  নিয়ে  থাকে মেয়ের  বাপ মা । কয়েক  মাস কেটে যাবার পর মেয়ের  কাছে প্রস্তাব  পাঠানো  হয় - আমরা তোদেরকে মেনে নিয়েছি , এবারে জামাইকে নিয়ে  বাড়ি  আয় । হিন্দু  জামাই চক্রান্তটা ধরতে না পারার দরুন যা হবার তাই হলো । 
অল্প কিছু  উদাহরণ  দিই ।
বারাসতের   অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়  ভালবেসে  বিয়ে  করেছিলেন   বাদুড়িয়ার স্কুল  শিক্ষক   নজরুল ইসলামের  কন্যা   রেহেনা সুলতানাকে । দুজনেই  প্রাপ্তবয়স্ক  । দুই  পরিবারের  কেউই   এই বিবাহ মেনে না নেওয়ায়   তারা হাড়োয়ায়  বসবাস  করতে থাকে । বেশ কিছুদিন  পর রেহেনার বাপের বাড়ির লোকেরা  রেহেনা ও তার পুত্র  সন্তানকে  জোর করে তাদের বাড়িতে তুলে  নিয়ে  আসে । পরে অর্ক স্ত্রী  ও সন্তানকে উদ্ধার  করে  আনতে গেলে  তার শ্যালক তার  গায়ে  আগুন  ধরিয়ে  দেয়  । ঘটনাটি শ্রী  রবীন্দ্রনাথ দত্তের " নিঃশব্দ  সন্ত্রাস  " বইটি থেকে পাওয়া  । না , কোন মমতা ব্যানার্জি  বা কোন বাম নেতা অর্কের বাড়িতে ছুটে যান নি । এরকম ঘটনা আকছার  ঘটছে । রবীন্দ্রনাথ দত্ত লিখেছেন  ," এটা ধ্রুব  সত্য  যে হাজার  হাজার  হিন্দু  মেয়েকে মুসলমানরা ছলে বলে কৌশলে বিয়ে করে  নিয়েছে । আর  যদিবা 2/1 টা মুসলমান  মেয়েকে হিন্দুরা বিয়ে করেছে তো মুসলমানরা তাদেরকে  হত্যা  করেছে ।"

এর চেয়ে  দুর্ভাগ্যজনক  আর কী হতে পারে । ছেলে ও  মেয়ে  পরস্পরকে  ভালোবেসে  বিয়ে  করতেই  পারে । কিন্তু  কেন এমনটা হবে ?  আক্ষেপের  বিষয় হলো মুসলমান  মেয়েটি কিন্তু  হিন্দুদের সমাজ ও সংস্কৃতি  সম্পর্কে  অজ্ঞতার  কারনে  হিন্দু  অন্য  সব ছেলেদের সম্পর্কে  , " নোংরা  , চরিত্রহীন , লম্পট ও খিস্তিবাজ " এইসব কথা মনের মধ্যে  পোষণ  করে থাকেন । এটা প্রত্যক্ষ  সত্য  । হিন্দু  সমাজে  নারীরা দেবীর  আসনে প্রতিষ্ঠিতা । আর , মুসলিম  সমাজে  ? বলে আর বিড়ম্বনা  বাড়াতে  চাই না তাদের ।

( শেষ )

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted